খুলনার আড়ংঘাটায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে তেলিগাতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিলীপ কুমার সরকার (৫৫) আহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে তেলিগাতি সরদারপাড়া জামে মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (খুমেক) ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, জমিজমাসংক্রান্ত বিরোধ ও চাঁদা দাবিকে কেন্দ্র করে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। কয়েক দিন ধরে একটি সন্ত্রাসী চক্র দিলীপ কুমার সরকারের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল। তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানান। আজ সকাল ১০টার দিকে বাড়ি থেকে হেঁটে স্কুলে যাওয়ার পথে মসজিদের সামনে পৌঁছালে একটি মোটরসাইকেলে আসা দুই ব্যক্তি তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। একটি গুলি তাঁর বাঁ পায়ের হাঁটুর ওপরের অংশে লাগে। গুলির শব্দ শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে তাঁকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেন। প্রথমে তাঁকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.

তুহিনুজ্জামান বলেন, জমিজমাসংক্রান্ত বিরোধ এবং চাঁদা দাবির জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। দিলীপ কুমার সরকার বর্তমানে শঙ্কামুক্ত। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি ও ভর্তুকি কমানোর পরামর্শ আইএমএফের

রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি ও ভর্তুকি হ্রাসে জোর দিতে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। নতুন বিনিময় হার ব্যবস্থা চালু করায় সংস্থাটি বাংলাদেশকে স্বাগত জানিয়েছে। আবার এ–ও বলেছে, ভবিষ্যতে বিনিময় হার পরিপূর্ণভাবে বাজারের ওপর ছেড়ে দিতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে আইএমএফের কার্যালয় থেকে গতকাল রোববার বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে পাঁচটায় বাংলাদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত ভার্চ্যুয়াল ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির মিশনপ্রধান পাপাজর্জিও এসব কথা বলেন। উপমিশনপ্রধান আইভো ক্রিজনার ও আইএমএফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি জয়েন্দু দে এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আইএমএফ বলেছে, স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বের হচ্ছে বাংলাদেশ। এ সময়ে রপ্তানি পণ্যের বহুমুখিতা দরকার। আরও দরকার সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ, শাসনব্যবস্থার শক্তিশালীকরণ ও তথ্যের মানোন্নয়ন।

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, আইএমএফের সঙ্গে বাংলাদেশের ঋণ কর্মসূচির মেয়াদ একটু বেড়েছে। ২০২৬ সালের বদলে এটা শেষ হবে ২০২৭ সালের জানুয়ারিতে এবং বাকি সময়ে আরও ৮০ কোটি মার্কিন ডলার বাড়তি ঋণ পাবে বাংলাদেশ। ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের পর সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি হলেও ঋণ কর্মসূচি বাস্তবায়নে মোটামুটি সঠিক পথেই আছে বাংলাদেশ।

আইএমএফ আরও বলেছে, রাজস্ব আদায় পরিস্থিতি ও এনবিআর পৃথককরণ নিয়ে যৌথভাবে কাজ শুরু করেছে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংক। মিশনপ্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও বলেন, বাংলাদেশ কীভাবে কার্যকরভাবে রাজস্ব আহরণ বাড়াবে, সে লক্ষ্যে সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

আইএমএফের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশকে ২ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করতে হবে। চলমান আন্দোলনের পরিস্থিতিতে তা কি অর্জন করা সম্ভব, এমন প্রশ্নের জবাবে পাপাজর্জিও বলেন, ‘কঠিন পরিস্থিতির কথা স্বীকার করছি। তবে লক্ষ্যমাত্রা উচ্চাকাঙ্ক্ষী হলেও তা অর্জনযোগ্য। মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) তুলনায় রাজস্ব সংগ্রহের অনুপাতের দিক থেকে বিশ্বে সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে বাংলাদেশ। এ অবস্থার উত্তরণ দরকার।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ