দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের নতুন হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহর পরিচয়পত্র পেশ শেষ মুহূর্তে স্থগিত করেছে ভারত। আজ বৃহস্পতিবার দেশটির রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করার কথা ছিল। দুপুরে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ফোন করে জানানো হয়, অনুষ্ঠানটি স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী দিনক্ষণ জানিয়ে দেওয়া হবে।

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন সূত্র জানায়, শুধু বাংলাদেশ নয়, তুরস্ক, থাইল্যান্ডসহ পাঁচটি দেশের কূটনীতিকের পরিচয়পত্র পেশ অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ হাইকমিশনের এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে সমকালকে জানান, সাম্প্রতিক সংঘাতে পাকিস্তানকে সমর্থনের জেরে তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয় ভারতের। তুরস্ক শক্তিশালী রাষ্ট্র। হঠাৎ করে তাদের পরিচয়পত্র পেশ অনুষ্ঠান স্থগিত করতে পারছিল না দিল্লি। এ জন্য একসঙ্গে পাঁচটি দেশের পরিচয়পত্র পেশ অনুষ্ঠান স্থগিত করেছে দিল্লি।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সময়সূচি-সংক্রান্ত সমস্যার কারণে বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে পরিচয়পত্র পেশ অনুষ্ঠান পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।

রিয়াজ হামিদুল্লাহ গত ৭ এপ্রিল দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে যোগ দেন। তিনি মোস্তাফিজুর রহমানের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন। এ দায়িত্ব নেওয়ার আগে রিয়াজ হামিদুল্লাহ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে আঞ্চলিক সংস্থা ও বহুপক্ষীয় অর্থনৈতিক বিষয়গুলো দেখভাল করতেন।

রিয়াজ হামিদুল্লাহ নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার ছিলেন। বিসিএস ফরেন ক্যাডারের ১৫তম ব্যাচের কর্মকর্তা রিয়াজ হামিদুল্লাহ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। জাতিসংঘ ও নয়াদিল্লি মিশনে বিভিন্ন পদে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।


 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সঞ্চয়পত্রে মুনাফা বাড়ালে কেউ ব্যাংকে টাকা রাখবে না: অর্থ উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার বাড়িয়ে দিলে মানুষ সবাই সঞ্চয়পত্র কিনবে, ব্যাংকে টাকা রাখবে না। ব্যাংকেও তো তারল্যের ব্যাপার আছে। ব্যালেন্স করে দেখতে হবে। সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে দিলে ব্যাংক কোত্থেকে টাকা পাবে?

শনিবার (৫ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, খারাপ ব্যাংকগুলোকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ইসলামী ব্যাংক এর একটি উদাহরণ। এ ব্যাংকে আস্থা ফিরে আসছে। অন্য ব্যাংকগুলোর জন্য ব্যাংক রেজুলেশন অ্যাক্ট করা হয়েছে। এটার প্রথম শর্ত হলো—যারা ব্যাংকে টাকা জমা দিয়েছে, তাদের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ। কারো টাকা মার যাবে না। তবে, একটু সময় লাগতে পারে। কারণ, টাকা নিয়ে চলে গেছে অনেকে। পৃথিবীর কোনো দেশে এরকম ঘটনা ঘটেনি।

এনবিআরে চলমান অস্থিরতা প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সমস্যা সমাধানে তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। আলোচনার মাধ্যমে যা যা করা লাগবে, আমরা করব। পাঁচ সদস্যের শক্তিশালী কমিটিও করে দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বিদেশি বিনিয়োগকারী আনতে আমরা নিশ্চিত করছি যে, ব্যবসার জন্য যেন ১০-১২ জায়গায় যেতে না হয়। যত ধরনের ছাড়পত্র আছে, সেগুলো আমরা কেন্দ্রীয়ভাবে করার চেষ্টা করছি।

এ সময় উপদেষ্টার সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম, নবীনগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব চৌধুরী, নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিয়াস বসাক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/পলাশ/রফিক 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সঞ্চয়পত্রে মুনাফা বাড়ালে কেউ ব্যাংকে টাকা রাখবে না: অর্থ উপদেষ্টা