যমুনা সেতু থেকে খুলে ফেলা হচ্ছে রেললাইন
Published: 27th, June 2025 GMT
যমুনা সেতুর ওপর থেকে রেললাইন খুলে ফেলা হচ্ছে। পশ্চিমাঞ্চল রেল বিভাগ গত বৃহস্পতিবার নাট-বোল্টসহ যন্ত্রাংশ খোলার কাজ শুরু করেছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) ও যমুনা রেলসেতুর প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান জানান, গত ১৮ মার্চ যমুনা রেলসেতু চালু হয়েছে। এরপর থেকে সড়ক সেতু দিয়ে ট্রেন চলছে না। যমুনা সেতুর ওপর রেললাইনের প্রয়োজন নেই। এ কারণে সেতু বিভাগ ও রেল বিভাগের মাধ্যমে যৌথ পরিকল্পনায় সড়ক প্রশস্ত করা হচ্ছে।
যমুনা সেতু রক্ষণাবেক্ষণ প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.
টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে রংপুর পর্যন্ত চার লেন রাস্তা প্রশস্তকরণ প্রকল্প সাউথ এশিয়া সাব রিজিওনাল কো-অপারেশনের (সাসেক-২) পরিচালক ড. ওয়ালীউর রহমান। সড়ক ও জনপথ বিভাগের এ অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী বলেন, এবারের ঈদে সেতু দিয়ে এক দিনে ৬৫ হাজারের বেশি যানবাহন পারাপার হয়েছে। যানবাহনের চাপ নিয়ন্ত্রণে সেতু কর্তৃপক্ষ, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঈদের আগে-পরে বিপাকে পড়ে। সেতুর ওপর কয়েকটি দুর্ঘটনায় এলেঙ্গা ও সিরাজগঞ্জসহ দুই পারে থেমে থেমে যানজট হয়। সেতুর উপরিভাগ প্রশস্ত করা হলে দুর্ঘটনা ও যানজট কমতে পারে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন যমুনা সেতু উদ্বোধন হয়। এর নকশায় রেলপথ ছিল না। পরে সেতুর ওপর উত্তর পাশে লোহার খাঁচা, বার ও অ্যাঙ্গেল যুক্ত করে রেললাইন বসানো হয়। ২০০৪ সালের ১৫ আগস্ট যমুনা সেতুতে আনুষ্ঠানিকভাবে রেল চলাচল শুরু হয়। নির্দেশনা উপেক্ষা করে দ্রুতগতিতে ট্রেন চলার কারণে সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতি বেঁধে দেয় কর্তৃপক্ষ। সমস্যা সমাধানে ২০২০ সালের ৩ মার্চ যমুনা নদীর ওপর উজানে আলাদা রেল সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই বছরের ২৯ নভেম্বর রেলসেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটি তৈরি হয়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ত র ওপর প রশস ত দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
আশুগঞ্জে বিস্ফোরক মামলায় আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার
আশুগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় করা বিস্ফোরক মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা কবিরুল ইসলামকে (৫৬) গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী।
শুক্রবার সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর একটি দল আশুগঞ্জ রেলগেট এলাকায় তার নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার বাসা থেকে নগদ ৭ লক্ষাধিক টাকা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার কবিরুল ইসলাম আশুগঞ্জ রেলগেট এলাকার মৃত আবু তাহেরের ছেলে। তিনি আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি ছিলেন।
আশুগঞ্জ থানার ওসি মো. খাইরুল আলম বলেন, কবিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক বিস্ফোরক মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারের পর তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।