এজবাস্টনে নিখুঁত আম্পায়ারিংয়ে সৈকতের প্রশংসায় হার্শা ভোগলে
Published: 7th, July 2025 GMT
ভারত-ইংল্যান্ডের এজবাস্টন টেস্টে নিখুঁত আম্পায়ারিং করে আলোচনায় এসেছেন বাংলাদেশের শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। ম্যাচজুড়ে স্থিরতা ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে দায়িত্ব পালন করেন আইসিসির এলিট প্যানেলে থাকা একমাত্র বাংলাদেশি এই আম্পায়ার।
পাঁচ দিনের টেস্টে সৈকতের দেওয়া ১০টি সিদ্ধান্ত রিভিউ হয়, এর মধ্যে ৮টি সিদ্ধান্তই সঠিক ছিল। অর্থাৎ ৮০ শতাংশ সফলতা, যা প্রশংসা কুড়িয়েছে ক্রিকেট বিশ্লেষকদের।
ম্যাচশেষে ভারতীয় ধারাভাষ্যকার ও বিশ্লেষক হার্শা ভোগলে বলেন, ‘এই ম্যাচে আম্পায়ারিং দুর্দান্ত হয়েছে। গ্র্যাফানির তো মান আশা করা যায়ই, তবে শরফুদ্দৌলা সৈকত ছিলেন অসাধারণ।’
সবচেয়ে আলোচিত সিদ্ধান্ত ছিল বেন স্টোকসের এলবিডব্লিউ। ওয়াশিংটন সুন্দরের ডেলিভারিতে বল ও ব্যাট কাছাকাছি থাকলেও সৈকতের সিদ্ধান্ত ছিল নিখুঁত। বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা যায়, বল আগে প্যাডে লেগে সোজা স্টাম্পে আঘাত করে। নিউ জিল্যান্ডের ক্রিস গ্র্যাফানিও এই ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেন। তার দেওয়া ৫টি রিভিউয়ের মধ্যে ৪টিই সঠিক ছিল।
৪৮ বছর বয়সী সৈকতের জন্য এটি বড় এক স্বীকৃতি। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্টেও (১০ জুলাই, লর্ডস) অনফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: হ র শ ভ গল আম প য় র স কত র
এছাড়াও পড়ুন:
কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে যারা ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করেছে, বাংলাদেশে তাদের ঠাঁই হয় নাই : নাহিদ ইসলাম
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ব্যানার ছিঁড়ে, কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে যারা ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করেছে, এই বাংলাদেশে তাদের ঠাঁই হয় নাই। যদি এখনো তারা শিক্ষা না নেয়, যদি এখনো স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন থেকে শিক্ষা না নেয়, তবে তাদের পরিণতিও সেই দিকেই যাবে।
আজ সোমবার দুপুরে নাটোরের মাদ্রাসা মোড়ের স্বাধীনতা চত্বরে এক পথসভায় নাহিদ এ কথা বলেন।
‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’র অংশ হিসেবে এনসিপির নাটোর জেলা শাখা এ পথসভার আয়োজন করে। এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
এ কর্মসূচি উপলক্ষে গতকাল রোববার রাত ১২টা পর্যন্ত দলের পক্ষ থেকে নাটোর শহরের স্টেশনবাজার, এনএস কলেজ চত্বর, কানাইখালী ও মাদ্রাসা মোড়ে বিপুলসংখ্যক ব্যানার ও ফেস্টুন ঝোলানো হয়েছিল। তবে আজ সকালে দেখা যায়, কেন্দ্রীয় নেতাদের ছবিসংবলিত অনেকগুলো ব্যানার, ফেস্টুন ছিঁড়ে কেটে ফেলা হয়েছে। এ সম্পর্কে পথসভায় নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘নাটোরের এই কর্মসূচিতে ন্যক্কারজনকভাবে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। আমাদের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। হুঁশিয়ারি দিতে চাই, মাত্র এক বছর আগের ঘটনা, এই ব্যানার ছিঁড়ে, কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে যারা ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করেছে, তাদের এই বাংলাদেশে ঠাঁই হয় নাই। যদি এখনো শিক্ষা না নেয়, যদি এখনো সেই স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদি সরকারের পতন থেকে শিক্ষা না নেয়, তবে তাদের পরিণতিও সেই দিকেই যাবে।’
আরও পড়ুননাটোরে এনসিপির জুলাই পদযাত্রার ফেস্টুন-ব্যানার ছিঁড়েছে দুষ্কৃতকারীরা৪ ঘণ্টা আগেসংস্কার প্রসঙ্গে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবেই বলছি, শুধু ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন হলেই হবে না, দেশ সংস্কারের মাধ্যমে নতুন করে বাংলাদেশকে গঠন করতে হবে। এমন একটি বাংলাদেশ গঠন করতে হবে, যেখানে গণতন্ত্র থাকবে, যেখানে সমতা থাকবে, যেখানে ইনসাফ থাকবে। একটি দুর্নীতিমুক্ত বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়া এই তরুণ প্রজন্মের ,এই গণ–অভ্যুত্থানের ছাত্র–জনতার আকাঙ্ক্ষা ছিল। কিন্তু ৫ আগস্টের পর সেই আকাঙ্ক্ষা থেকে নানা পক্ষ সরে গিয়েছে। আমরা বলছি, দেশের মৌলিক সংস্কার প্রয়োজন। আমরা বলছি, জুলাই ঘোষণাপত্র দিতে হবে, গণ-অভ্যুত্থানের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে। এই গণ–অভ্যুত্থানে যে ভাইয়েরা-বোনেরা নেমে এসেছিল, যেসব মানুষ শহীদ হয়েছিল, তাদের সেই শহীদি মর্যাদা রাষ্ট্রকে দিতে হবে। সংবিধানে স্বীকৃতি থাকতে হবে। এর জন্য আমাদের প্রয়োজন জুলাই ঘোষণাপত্র এবং জুলাই সনদ। এসব দাবি বাস্তবায়নে আমরা কোনো ধরনের টালবাহানা, কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র মেনে নেব না।’
জনতার উদ্দেশে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আপনারা আমাদের প্রতি আস্থা রাখুন। যেভাবে গণ–অভ্যুত্থানে আমাদের প্রতি আস্থা রেখেছিলেন। আমরা অন্যায়ের সঙ্গে এর আগেও আপস করিনি। আগামী দিনেও আপস করব না। আপনাদের অধিকারের জন্য সব সময় রাজপথে থাকব।’ এ কর্মসূচিকে সফল করেছেন, সেসব নেতা-কর্মীকে তিনি ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘নাটোর একটি শক্তিশালী কমিটি পেতে যাচ্ছে। যাদের হাত ধরে নাটোর থেকে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ বিতাড়িত হবে। আগামী ৩ আগস্ট ঢাকায় শহীদ মিনারে আবারও দেখা হবে।’
পথসভায় আরও বক্তব্য দেন এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সংগঠক ফয়সাল আহমেদ,এনসিপি নাটোর জেলার প্রধান সমন্বয়ক এস এম জার্জিস কাদির, সিনিয়র যুগ্ম সমন্বয়ক আবদুল মান্নাফ প্রমুখ।
এর আগে দুপুরে রাজশাহী থেকে গাড়ি বহর নিয়ে নাটোর আসেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা। বেলা একটার দিকে নাটোর সদর উপজেলার ঢালান এলাকায় জেলার প্রবেশ মুখে তাঁদের ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান দলের স্থানীয় নেতা–কর্মীরা।
নাটোরের পথসভা শেষে এনসিপির গাড়িবহর সিরাজগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া বাইপাস মোড়ে আরেকটি পথসভা করার কথা আছে।