জোতার নাম লেখা জার্সি পরে মাঠে নামলেন, দলকে জেতালেন শিরোপা
Published: 7th, July 2025 GMT
দিয়োগো জোতার মৃত্যু শোক থেকে যেন বেরোতেই পারছে না ফুটবল বিশ্ব। বিশ্বের নানা প্রান্তে ফুটবলাররা মাঠে নেমে শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছেন সড়ক দুর্ঘটনায় অকাল প্রয়াত লিভারপুলের পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডকে। এবার জোতাকে স্মরণ করলেন তাঁরই সাবেক সতীর্থ রাউল হিমেনেজ।
আর জোতাকে স্মরণ করার দিনে মেক্সিকোকে কনক্যাকাফ গোল্ড কাপের শিরোপা জেতাতেও বড় অবদান রেখেছেন হিমেনেজ। বাংলাদেশ সময় আজ সকালে হিউস্টনের এনআরজি স্টেডিয়ামে ফাইনালে লড়াইয়ে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রকে ২–১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ক্রিস রিচার্ডসের গোলে পিছিয়ে পড়া মেক্সিকোকে দারুণ গোলে সমতায় ফেরান হিমেনেজ। পরে জয়সূচক গোলটি করেন এদসন আলভারেজ।
হিমেনেজ ও জোতা সতীর্থ হিসেবে একসঙ্গে খেলেছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ক্লাব উলভারহ্যাম্পটনে। হিমেনেজ ২০১৮–১৯ মৌসুমে ধারে খেললেও পরে ক্লাবটির সঙ্গে স্থায়ী চুক্তি করেন। ২০২৩ সালে ফুলহামে যোগ দেওয়ার আগপর্যন্ত তিনি উলভসেই ছিলেন।
আরও পড়ুনপ্রিয় জোতা, এভাবে চলে যেতে নেই০৩ জুলাই ২০২৫জোতাও শুরুতে ধারে এসে পরে স্থায়ী হন উলভারহ্যাম্পটনে। লিভারপুলে যাওয়ার আগে ২০১৮–২০২০ পর্যন্ত উলভসে খেলেছেন তিনি। সেখানে আক্রমণভাগে জুটি বেঁধে খেলার সময় দুজনের মধ্যে বন্ধুত্বও গড়ে উঠে। আজ সেই বন্ধুত্বকেই যেন মাঠে ফিরিয়ে আনলেন হিমেনেজ।
জোতা ও হিমেনেজ যখন সতীর্থ.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইবিতে স্নাতক পাসের ১ বছর পরও মিলছে না নম্বরপত্র
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ২০১৮-১৯ বর্ষের অধিকাংশ বিভাগের শিক্ষার্থীরা বছরখানেক আগেই স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। কিন্তু নম্বরপত্র না পেয়ে উচ্চশিক্ষার আবেদনসহ গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তারা।
সফটওয়্যার সিস্টেমে সমস্যা থাকার কারণে নম্বরপত্র উত্তোলনে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তবে কবে নাগাদ সমাধান হবে সে বিষয়েও নিশ্চিত বলতে পারেননি তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পূর্বে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের সনদ ও নম্বরপত্র প্রদান করা হত। ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে অনলাইনের মাধ্যমে এসব ডকুমেন্টস প্রদানে প্রিন্ট সেবা মাধ্যম চালু হয়। স্নাতক ২০১৮-১৯ বর্ষ থেকে পরবর্তী বর্ষের শিক্ষার্থীরা এই সেবা পাবেন বলে জানানো হয়। তবে বাস্তবে কেবল সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্ট প্রদান করা হলেও নম্বরপত্র পাচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা।
আরো পড়ুন:
কুবি উপাচার্যের মেয়ের পোষ্য কোটায় ভর্তি নিয়ে বিতর্ক
গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠালেন জবি শিক্ষার্থীরা
বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী সোহেল রানা বলেন, “২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্নাতক শেষ করি। তবে ১ বছর পরও নম্বরপত্র হাতে পাইনি। চলতি বছরের ফ্রেব্রুয়ারিতে মাস্টার্স শেষ করে ক্যাম্পাস ছেড়েছি। অন্য সব কাগজপত্র তুলতে পারলেও গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস নম্বরপত্র না নিয়েই ক্যাম্পাস ছাড়তে হয়েছে। কবে নাগাদ প্রদান করা হবে সেটাও আমাদের নিশ্চিত করা হয়নি।”
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ফুয়াদ হাসান বলেন, “আমাদের শিক্ষাবর্ষের অনেকেই ইতোমধ্যে অনার্স-মাস্টার্স সম্পন্ন করে বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ করেছেন। তবে দুঃখজনকভাবে বলতে হয়, এখনো অনেকেই নম্বরপত্র পাননি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ ক্ষেত্রে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।”
তিনি বলেন, “সফটওয়্যার সিস্টেমের অজুহাতে কাগজপত্র উত্তোলনে বারবার ভুল ও বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। নিয়মমাফিক প্রয়োজনীয় নথি জমা দেওয়ার পরও নম্বরপত্র দেওয়া হচ্ছে না। দ্রুত এসব সমস্যার সমাধান করা জরুরি।”
বৈষম্যবিরোধী ইবির সমন্বয়ক এসএম সুইট বলেন, “কাগজপত্র উত্তোলনের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা আগের মতোই হয়রানির শিকার হচ্ছেন। নতুন বাংলাদেশে এমন আচরণ লজ্জাজনক। শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি নিরসনে এবং দ্রুত নম্বরপত্র প্রাপ্তিতে প্রশাসন কার্যকর পদক্ষেপ নেবে বলে আশা রাখছি।”
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর পরিচালক ওয়ালিউর রহমান বলেন, “সফটওয়্যারের সিস্টেমের মেয়াদ শেষ হওয়ায় এমন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়েছে মূলত পূর্বের কোম্পানির সঙ্গে কাজের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। নতুনভাবে কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করতে হবে। তারপর তারা কাজ শুরু করবে। কিন্তু এখনো চুক্তিপত্র হয়নি কিংবা কোম্পানিও ঠিক হয়নি বলে জানি। কবে নাগাদ সমাধান হতে পারে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলতে পারছি না।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক ড. শাহজাহান আলী বলেন, “বিষয়টি অবগত আছি। শুধু নম্বরপত্র নিয়েই সমস্যা হচ্ছে, বাকিগুলো ঠিকমতো আসছে। যে কোম্পানি সফটওয়্যার তৈরি করেছে, তারা সমাধান না করলে এটা আমাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। তবে বিভিন্নভাবে বিষয়টির সমাধানের চেষ্টা চলছে।”
তিনি বলেন, “নতুনভাবে কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে হবে। নতুন করে সফটওয়্যার ডেভেলপ ও ডিজাইন করতে হবে। এটা সময় সাপেক্ষ এবং এর সঙ্গে আর্থিক বিষয়াদিও জড়িত। বিষয়টির সমাধানে অফিসিয়ালি কাজ চলছে। আশা করছি, দ্রুতই সমাধান আসবে।”
ঢাকা/মেহেদী