নেত্রকোনায় গভীর রাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে ৫ দিন ধরে নিখোঁজ যুবদল নেতা
Published: 7th, July 2025 GMT
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় মো. রফিকুল ইসলাম ওরফে শামিম (৩৬) নামের যুবদলের এক নেতা বাড়ি থেকে বের হয়ে পাঁচ দিন ধরে নিখোঁজ আছেন। ওই নেতার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি গত শনিবার রাতে স্থানীয় গইচাসিয়া সেতুর নিচে পানি থেকে উদ্ধার করা হলেও তাঁর সন্ধান মেলেনি।
পরিবারের ভাষ্য, প্রতিপক্ষের করা মামলায় গ্রেপ্তার আতঙ্কে তিনি গত বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হন। এর পর থেকে তিনি নিখোঁজ। তাঁকে হয়তো গুম করা হয়েছে।
নিখোঁজ রফিকুল ইসলাম গন্ডা ইউনিয়নের মনকান্দা গ্রামের বাসিন্দা আক্কাস মিয়ার ছেলে। তিনি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য। বর্তমানে ওই কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী।
স্থানীয় বাসিন্দা, থানা-পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় মনকান্দা এম ইউ আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এ এম এন মহিবুল্লাহ এবং সহকারী অধ্যাপক সাইফুল ইসলামের মধ্যে বিরোধ আছে। সেই বিরোধের জেরে গ্রামে দুটি পক্ষ হয়। মহিবুল্লাহের পক্ষে যুবদল নেতা রফিকুল ইসলাম আর সাইফুল ইসলামের পক্ষে মোস্তফা কামাল নামে একজন।
রফিকুল ও মোস্তফা প্রতিবেশী এবং বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। বিরোধের জেরে গত ৮ জুন দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের বাড়িঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় কয়েকজন আহত হন। দুই পক্ষই মামলা করে।
রফিকুলের স্ত্রী নাজমা আক্তার বলেন, ‘মাদ্রাসার বিরোধ নিয়া গ্রামে দুইডা পক্ষ হইছে। এ নিয়া হামলা-মামলা চলতাছে। গত পাঁচ দিন ধইরা আমার স্বামীর কোনো খোঁজ নেই। তাঁর মোটরসাইকেল ব্রিজের নিচে পাওয়া গেছে। প্রতিপক্ষ সপ্তাহখানেক আগে বাড়িত আইয়া অস্ত্রের মহড়া দিয়া কইয়া গেছে আমার স্বামীরে আর জীবিত রাখতো না। তাঁরে গুম কইরালবো। আমি আমার স্বামীরে ফেরত চাই।’
রফিকুলের বাবা আক্কাস মিয়ার অভিযোগ, প্রতিপক্ষ মোস্তফার লোকজন তাঁর ছেলেকে গুম করেছেন।
এ ব্যাপারে মোস্তফা কামালের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। বাড়িতে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁর বসতঘর তালাবন্ধ ছিল। প্রতিবেশীরা বলেন, রফিক নিখোঁজের পর থেকে তাঁরা বাড়ি ছেড়ে পলাতক।
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, নিখোঁজ রফিকুল ইসলামের মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্ত অব্যাহত আছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য বদল
এছাড়াও পড়ুন:
শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।
দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।
ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।
৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।
ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট