এবার অস্ত্র আইনের মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ সোমবার এ আদেশ দেন।

প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আজিজুল হক দিদার।

এর আগে বনানী থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় আনিসুল হককে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। আসামিপক্ষ থেকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন নাকচ চাওয়া হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত আনিসুল হকের দুই দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপর ১৩ আগস্ট গ্রেপ্তার হন আনিসুল হক। বিভিন্ন মামলায় আনিসুল হকের এখন পর্যন্ত ৫৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে।

গত ১ জানুয়ারি আনিসুল হকের বিরুদ্ধে ১৪৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক।

দুদক বলছে, ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন আনিসুল হক। এ ছাড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনকালে নিজের এবং স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ২৯টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ৬৬৫ কোটি টাকা সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

চাকসু নির্বাচন: প্রথম ৪ ঘণ্টায় ৩৫ শতাংশ ভোট পড়েছে

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে প্রথম ৪ ঘণ্টায় ৩৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। 

বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ৯টায় ১৫টি কেন্দ্রে ৬০টি নির্বাচনি কক্ষে ভোট শুরু হয়েছে, যা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ভোটের শুরুতেই কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে।  

আরো পড়ুন:

চাকসু নির্বাচন: শিক্ষার্থীদের আনা নেওয়ায় ২২ বার যাতায়াত করবে শাটল ট্রেন

চাকসু জাতীয় নির্বাচনের জন্য রিহার্সেল: চবি উপাচার্য

চাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব ড. এ কে এম আরিফুল হক সিদ্দিকী জানান, সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর দুপুর ১টা পর্যন্ত কেন্দ্রগুলোতে মোট ভোটারের ৩৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। এখনও প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন রয়েচে। ভোটাররা শান্তিপূর্ণ এবং নির্বিঘ্নে ভোট প্রদান করছেন।

চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে লড়ছেন ৯০৮ প্রার্থী। এর মধ্যে শুধু চাকসুর ২৬টি পদে লড়বেন ৪১৫ জন প্রার্থী। চাকসুর সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ২৩ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ২২ জন, সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) ২১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সবচেয়ে বেশি প্রার্থী পাঁচটি নির্বাহী সদস্য পদে ৮৫ জন।

৬০টি নির্বাচনি কক্ষের প্রত্যেকটি কক্ষে রয়েছে পাঁচটি ব্যালট বাক্স। একটি কক্ষে ৫০০ জন ভোটার ভোট দিতে পারবেন। ভোট দেওয়ার জন্য প্রত্যেক ভোটার পাচ্ছেন ১০ মিনিট সময়। একজন ভোটার চাকসুতে ২৬টি ও হল সংসদে ১৪টিসহ মোট ৪০টি ভোট দিচ্ছেন। 

চাকসু নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ছাত্র ভোটার ১৬ হাজার ৮৪ জন এবং ছাত্রী ভোটার ১১ হাজার ৩২৯ জন শিক্ষার্থী। ছাত্র ভোটার শতকরা ৫৮.৪৭ শতাংশ এবং ছাত্রী ভোটার ৪১.১৭ শতাংশ। মোট ভোটারের ৭০ শতাংশই অনাবাসিক, বাকি ৩০ শতাংশ ভোটার থাকেন হল, হোস্টেল ও বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কটেজে।

ঢাকা/রেজাউল/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ