এবার অস্ত্র আইনের মামলায় আনিসুল হক দুই দিন রিমান্ডে
Published: 7th, July 2025 GMT
এবার অস্ত্র আইনের মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ সোমবার এ আদেশ দেন।
প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আজিজুল হক দিদার।
এর আগে বনানী থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় আনিসুল হককে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। আসামিপক্ষ থেকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন নাকচ চাওয়া হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত আনিসুল হকের দুই দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপর ১৩ আগস্ট গ্রেপ্তার হন আনিসুল হক। বিভিন্ন মামলায় আনিসুল হকের এখন পর্যন্ত ৫৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে।
গত ১ জানুয়ারি আনিসুল হকের বিরুদ্ধে ১৪৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক।
দুদক বলছে, ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন আনিসুল হক। এ ছাড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনকালে নিজের এবং স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ২৯টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ৬৬৫ কোটি টাকা সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মাইমুনা হত্যার প্রতিবাদে জবিতে মানববন্ধন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নয় বছর বয়সী শিশু মাইমুনা আক্তার ময়নার নৃশংস হত্যার প্রতিবাদে এবং জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৭ জুলাই) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্বরে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে জবি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদ।
এ সময় জবি ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি একেএম রাকিব বলেন, “যারা ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ করে, তারা মানসিকভাবে বিকৃত। তবে আমার মতে, এ সমস্যার মূলে রয়েছে রাষ্ট্রীয় বিচার কাঠামোর দুর্বলতা। ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলেও তা কার্যকর না হওয়ায় অপরাধ বাড়ছে। উন্মুক্তভাবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে, তাহলে এমন অপরাধ রোধ হবে।”
আরো পড়ুন:
মাগুরায় সাপের কামড়ে মাদরাসা ছাত্রীর মৃত্যু
গোপালগঞ্জে জমিজমা বিরোধের জেরে শিশুকে বেদম প্রহার
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মুন্না বলেন, “আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মাইমুনার হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। সরকার যদি তা করতে ব্যর্থ হয়, তবে আমরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে নামব।”
আরো পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মসজিদে পড়ে ছিল শিশুর মরদেহ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক শাহরিয়ার হোসেন বলেন, “এই বর্বর ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত ও ক্ষুব্ধ। যারা শিশু ধর্ষণ ও হত্যার মতো অপরাধ করে, তাদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নেই—তারা শুধু ‘অপরাধী’। এদের বিচার দ্রুত সময়ের মধ্যে করতে হবে, নইলে রাষ্ট্রের প্রতি মানুষের আস্থা আরো দুর্বল হয়ে পড়বে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. নাসির উদ্দিন বলেন, “স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও শিশুদের এমন নির্মম পরিণতি মেনে নেওয়া যায় না। অন্তর্বর্তী সরকারকে অনুরোধ করব, দেশের প্রতিটি মা-বোনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। এই হত্যার দ্রুত বিচার আমরা দেখতে চাই।”
রবিবার (৬ জুলাই) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার একটি মসজিদের ছাদ থেকে শিশু মাইমুনার নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার গলায় পেঁচানো ছিল ওড়না। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী