এশিয়ার দেশগুলোয় ট্রাম্পের শুল্কনীতির কী প্রভাব পড়বে
Published: 7th, July 2025 GMT
বিশ্বায়নের যুগে বাণিজ্যনীতি কেবল অর্থনৈতিক বিষয় নয়, এটি ভূরাজনৈতিক কৌশল, প্রযুক্তিগত আধিপত্য ও কূটনৈতিক সম্পর্কের প্রতিফলন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক শুল্কনীতি একদিকে যেমন এশীয় দেশগুলোর ওপর চাপ তৈরি করছে, অন্যদিকে তাদের বিশ্ববাণিজ্য–ব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে।
শুল্ক, সরবরাহ চেইন, উৎপাদনকেন্দ্র, বাজার—সবকিছু যেন এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ধাবিত হচ্ছে। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো যেখানে একসময় যুক্তরাষ্ট্রকে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য বাণিজ্যিক অংশীদার মনে করত, আজ সেখানেই তৈরি হচ্ছে সবচেয়ে বেশি দ্বিধা ও দ্বন্দ্ব।
টান ইউ কং তাঁর কোম্পানিকে দরজির দোকানের সঙ্গে তুলনা করেন, যেখানে গ্রাহকের পছন্দ অনুযায়ী চিপ তৈরি হয়। বিবিসিকে তিনি বলেন, ‘আমরাই কাপড় দিই, হাতার বোতাম থেকে শুরু করে সবকিছু দিই। গ্রাহক শুধু বলেন কী ডিজাইন তাঁর পছন্দ, আমরা তা বানিয়ে দিই।’ টানের কোম্পানির নাম গ্লোবাল ফাউন্ড্রিজ। এখন প্রতিষ্ঠানটি শুধু চিপ নয়, নিজেদের ভবিষ্যৎও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনিশ্চিত শুল্কনীতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নির্ধারণ করতে চান। ৯ জুলাইয়ের আগে ওয়াশিংটনকে খুশি রাখতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও দেশ। শুল্কযুদ্ধে যে ৯০ দিনের বিরতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প, সেদিন তা শেষ হবে।
গত শুক্রবার ট্রাম্প ঘোষণা দেন, ১ আগস্ট কার্যকর হতে যাওয়া নতুন উচ্চ শুল্কের বিস্তারিতসংবলিত ১২টি চিঠি বিভিন্ন দেশকে পাঠানো হবে। এই শুল্কের হার হবে ১০ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত। এখন পর্যন্ত সেমিকন্ডাক্টরে শুল্ক আরোপ করা হয়নি, কিন্তু ট্রাম্প এ নিয়ে বারবার হুমকি দিয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে কোম্পানিগুলোর পক্ষে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
ব্লুমবার্গ সম্প্রতি জানিয়েছে, হোয়াইট হাউস মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে এআই চিপ রপ্তানির ওপর কড়াকড়ি আরোপ করতে যাচ্ছে। তাদের সন্দেহ, এসব প্রযুক্তি চীনে পাচার হচ্ছে। টানের প্রশ্ন, প্রতিদিন নীতি বদলাতে থাকলে কীভাবে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করা সম্ভব।
এএমডি, ব্রডকম ও কোয়ালকমের মতো বড় কোম্পানির জন্য চিপ তৈরি করে গ্লোবাল ফাউন্ড্রিজ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে, বিশেষ করে এশিয়ায়-ভারত থেকে দক্ষিণ কোরিয়া পর্যন্ত রয়েছে তাদের কারখানা। প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছে, চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় তারা ১৬ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ বাড়াবে। যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন ও সরবরাহব্যবস্থার একাংশ স্থানান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গেও কাজ করছে কোম্পানিটি।
চিপ, বস্ত্রশিল্প ও গাড়ির যন্ত্রাংশ—এসব খাত যাদের সরবরাহব্যবস্থা এশিয়া অঞ্চলে ঘনীভূত, তারা এখন বাজারের অস্থিরতার মধ্যে টিকে থাকতে হিমশিম খাচ্ছে। বোস্টন কনসালটিং গ্রুপের অপর্ণা ভরদ্বাজ বিবিসিকে বলেন, এখন ব্যবসা-বাণিজ্যে বিকল্প পরিকল্পনা করে রাখতে হচ্ছে। তাঁর মতে, এতে নতুন সুযোগ তৈরি হলেও কিছু দেশের বাজার হারানোর ঝুঁকিও রয়েছে।
জয়-পরাজয়ের হিসাবএপ্রিল মাসে ট্রাম্পের ঘোষিত পাল্টা শুল্কের সময় এশিয়ার দেশগুলোই ছিল মূল নিশানায়-জাপানের ওপর ২৪ শতাংশ, দক্ষিণ কোরিয়ার ওপর ২৫ শতাংশ ও ভিয়েতনামের ওপর সর্বোচ্চ ৪৬ শতাংশ শুল্ক। পরে তিনি ৯০ দিনের জন্য তা ১০ শতাংশে নামিয়ে আনেন। তবে আগামী বুধবার থেকেই তা ২ এপ্রিলের ঘোষিত শুল্কহারে ফিরতে পারে।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই শুল্কের কারণে বস্ত্র, আসবাব, রাবার ও প্লাস্টিকশিল্পের ভয়াবহ ক্ষতি হবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি থাকা সত্ত্বেও সিঙ্গাপুরকে ১০ শতাংশ শুল্কের আওতায় আনা হয়েছে—এ নীতি বন্ধুত্বসুলভ নয় বলে মনে করেন তিনি।
২০২৪ সালে বিশ্ব অর্থনীতির মোট জিডিপির ৭ দশমিক ২ শতাংশের জোগান দিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো। নতুন শুল্ক এসব দেশের জন্য দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক ঝুঁকি তৈরি করছে।
এ অঞ্চলে এখন পর্যন্ত কেবল ভিয়েতনাম যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি করতে পেরেছে—তাদের পণ্যে ২০ শতাংশ শুল্ক ধার্য হলেও যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানি থাকবে শুল্কমুক্ত। জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া এখনো আলোচনার টেবিলে থাকলেও ট্রাম্প জাপানের পণ্যে ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন। মাজদার মতো গাড়ি কোম্পানি বলছে, সরবরাহকারী বদলানো বা উৎপাদন স্থানান্তর করা সময়সাপেক্ষ, যে কারণে তারা এখন কেবল টিকে থাকার পর্যায়ে চলে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ সামরিক মিত্র অস্ট্রেলিয়া বলছে, তাদের ওপর শুল্ক ‘শূন্য’ হওয়া উচিত। অন্যদিকে ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ড যুক্তরাষ্ট্র থেকে বেশি পণ্য কিনতে চাইছে এবং তারা শুল্কছাড় দিতে প্রস্তুত। কিন্তু কম্বোডিয়ার মতো দরিদ্র দেশের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমভাবে লেনদেন করা সম্ভব নয়, তাদের জন্য ৪৯ শতাংশ শুল্ক ভয়ংকর আঘাত।
অর্থনীতি ও রাজনীতির অধ্যাপক পুষণ দত্ত বলেন, এশিয়ার অর্থনীতি চীন ও যুক্তরাষ্ট্র—উভয়ের ওপর নির্ভরশীল.
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের মতো দেশগুলো চিপ নির্মাণ ও ডেটা সেন্টারে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেছে। এ উদ্যোগ উৎপাদন ও সরবরাহ চেইন এমন বন্ধুপ্রতিম বা মিত্রদেশগুলোয় সরিয়ে নেওয়া, অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক আছে এমন দেশে উৎপাদন স্থানান্তর করা। একই সঙ্গে ‘চায়না + ১’ কৌশলের মাধ্যমে অনেক প্রতিষ্ঠান চীন ও তাইওয়ান ছাড়াও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় কার্যক্রম বিস্তার করছে।
এই কৌশলের মূল লক্ষ্য ছিল মার্কিন বাজারে প্রবেশাধিকার ধরে রাখা। অপর্ণা ভরদ্বাজ বলেন, ‘যা–ই ঘটুক, যুক্তরাষ্ট্র এখনো অনেক এশিয়ান ব্যবসার জন্য বড় বাজার। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অর্থনীতি এবং সবচেয়ে গতিশীল ভোক্তা বাজার।’ তবে শুল্ক শুধু দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোকেই আঘাত করছে না, এ অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসা বহু মার্কিন প্রতিষ্ঠানও ক্ষতির মুখে।
বিশেষ করে পোশাক ও জুতাশিল্প—যেমন নাইকি—অনেক আগেই উৎপাদন স্থানান্তর করেছে ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশে; এখন তারা পণ্যের দাম বাড়িয়ে তা ভোক্তার ওপর চাপাতে বাধ্য হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন বিনিয়োগকারীরা কম শুল্কের দেশের দিকে ঝুঁকতে পারেন, যেমন ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মধ্যপ্রাচ্য ও লাতিন আমেরিকার মতো বাজারেও নতুন গ্রাহক খুঁজছে অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।
গ্লোবালফাউন্ড্রিজের টান বলেন, ‘আমরা এখন আর বিশ্বায়ন করছি না, বরং আঞ্চলিকীকরণ করছি।’ যেখানে নিরাপদ, যেখানে সরবরাহব্যবস্থা নিশ্চিত থাকবে, সেখানে বসতি গড়তে হবে। তবে আগের মতো সস্তা আর থাকবে না—এটা বুঝতে হবে।’
যেমনটা বাণিজ্য সম্পর্ক বদলে যাচ্ছে, তেমনি যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানও অনিশ্চিত হয়ে উঠছে। পুষণ দত্ত বলেন, চীন এই সুযোগই নিয়েছে—নিজেকে নতুন বিশ্ববাণিজ্য–ব্যবস্থার অভিভাবক হিসেবে উপস্থাপন করার। যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত মাত্র তিনটি চুক্তি করেছে—যুক্তরাজ্য, চীন ও ভিয়েতনামের সঙ্গে। এর বাইরে বাকি এশীয় দেশগুলোর পক্ষে নিজেদের পথ খুঁজে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই।
অপর্ণা ভরদ্বাজ বলেন, ‘যখন যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশ সুরক্ষাবাদী নীতি গ্রহণ করছে, তখন এশিয়ার ব্যবসাবান্ধব সরকারগুলো উল্টো পথ নিচ্ছে—বাণিজ্য উন্মুক্ত করছে।’ ট্রাম্পের শুল্কনীতির কারণে দুটি বৃহৎ প্রবণতা জোরদার হয়েছে—চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে বাণিজ্য কমে যাওয়া এবং চীন ও এশিয়ার উদীয়মান দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য বেড়ে যাওয়া।
এ নীতিই হয়তো নতুন অর্থনৈতিক বিশ্বব্যবস্থার সূচনা করবে। কিন্তু কথা হলো, যুক্তরাষ্ট্রই যে এর নেতৃত্বে থাকবে, এমন নিশ্চয়তা নেই। পুষণ দত্ত প্রাচীন এ পরিস্থিতি বোঝাতে এক প্রবাদের আশ্রয় নেন, ‘রাজাকে সালাম দাও, তারপর নিজের মতো চলো।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স থ ন ন তর ব যবস থ র সরবর হ র জন য ব শ বব সবচ য় র ওপর এখন প
এছাড়াও পড়ুন:
৩৮ মিলিয়ন ডলার কিনল বাংলাদেশ ব্যাংক
দেশের ব্যাংকগুলোতে ডলার সরবরাহ বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে বাজার স্থিতিশীল রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৬টি ব্যাংক থেকে নিলামে ৩৮ মিলিয়ন ডলার কিনেছে।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
সিএমএসএমই ঋণ সহজ করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা
ব্যাংকের কার্ড থেকে নগদ, বিকাশে টাকা পাঠানোর নতুন সুবিধা
তিনি জানান, বাজারে বর্তমানে ডলারের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি। এ কারণে রিজার্ভ থেকে বিক্রি না করে বাজার থেকেই ডলার কিনছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ভবিষ্যতেও এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংকগুলো থেকে মাল্টিপল অকশন পদ্ধতিতে ৩৮ মিলিয়ন ডলার কেনা হয়েছে। নিলামের বিনিময় হার ছিল ১২১ টাকা ৮০ পয়সা পর্যন্ত। আর এই প্রাইসেই ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক নিলামে ডলার কেনার ফলে বাজারে তারল্য বাড়ছে, আর রিজার্ভে যোগ হচ্ছে নিলামে কেনা ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২০২৫-২৬ অর্থবছরে মোট দুই হাজার ১২৬ মিলিয়ন ডলার ক্রয় করেছে। এসব ডলার দেশের ব্যাংকগুলো থেকে মাল্টিপল অকশন পদ্ধতিতে কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৯ দফায় ডলার কিনেছিল। এর মধ্যে গত ৬ অক্টোবর ৮টি ব্যাংক থেকে নিলামে ১৪০ মিলিয়ন ডলার কিনেছে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর ২৬টি ব্যাংক থেকে নিলামে ৩৫৩ মিলিয়ন ডলার কিনেছে। গত ৪ সেপ্টেম্বর ১২১ টাকা ৭৫ পয়সা দরে ১৩৪ মিলিয়ন ডলার কিনেছে, ২ সেপ্টেম্বর একই দরে বাংলাদেশ ব্যাংক ৮ ব্যাংক থেকে ৪৭.৫০ মিলিয়ন ডলার কিনেছে, ১৩ জুলাই ১৮টি ব্যাংকের কাছ থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা দরে, একই দরে গত ১৫ জুলাই ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এছাড়া গত ২৩ জুলাই ডলার কিনেছে ১২১ টাকা ৯৫ পয়সা দরে। গত ৭ আগস্ট ১২১ টাকা ৩৫ পয়সা থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সায় এবং গত ১০ আগস্ট ১১টি ব্যাংকের কাছ থেকে ১২১ টাকা ৪৭ পয়সা থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সায় ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, দেশে প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ বাড়ায় ডলারের বাজারে স্থিতিশীলতা এসেছে। দেশের ব্যাংকগুলোতে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে, চাহিদা কমেছে। এ কারণে ডলারের দাম কিছুটা কমে গেছে। আর ডলারের দাম আরও কমে গেলে রপ্তানিকারকরা একদিকে সমস্যায় পড়বে অপরদিকে রেমিট্যান্স আয় বৈধ পথে আসা কমে যাবে। এমন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার কেনার সিদ্ধান্ত নেয়। যা খুবই যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত। তাতে ডলারের বাজার স্থিতিশীল থাকবে ও চাহিদার ভারসাম্য রক্ষা করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন তারা।
গত ১৫ মে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর সঙ্গে আলোচনার পর ডলারের বিনিময় মূল্য নির্ধারণে নতুন পদ্ধতি চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তখন থেকে ব্যাংক ও গ্রাহক নিজেরাই ডলারের দর নির্ধারণ করছে।
ঢাকা/নাজমুল/সাইফ