বাংলাদেশে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণির মতো কিছু বিদেশি প্রজাতির গাছ উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে গাছ দুটির চারা রোপণ, উত্তোলন ও বিক্রয় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বন-১ অধিশাখা এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সরকারি, বেসরকারি সংস্থা ও ব্যক্তি পর্যায়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে এখন থেকে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণি গাছের চারা রোপণের পরিবর্তে দেশীয় প্রজাতির ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপণ করে বনায়ন করতে হবে।

পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণির মতো গাছ মাটি থেকে অত্যধিক পানি শোষণ করে। ফলে মাটির আর্দ্রতা কমে যায় এবং শুষ্ক বা মৌসুমি জলবায়ুযুক্ত এলাকায় এটি গুরুতর ক্ষতির কারণ। এসব গাছের পাতায় থাকা টক্সিন গোড়ায় পড়ে মাটিকে বিষাক্ত করে তোলে। যার ফলে উর্বরতা নষ্ট হয়। এগুলোর চারপাশে অন্য কোনো গাছ সহজে জন্মাতে পারে না। এটি স্থানীয় জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি। পরিবেশ সুরক্ষা এবং প্রাণবৈচিত্র্য রক্ষায় সব সংস্থা ও নাগরিককে দেশি প্রজাতির বৃক্ষরোপণে উদ্বুদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সরকার।
এ বিষয়ে পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, কোনোভাবেই আগ্রাসী ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণি গাছ লাগানো যাবে না। বন বিভাগকে বনের পরিমাণ বাড়াতে হবে। ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণি সরিয়ে যে বনে যে প্রজাতির গাছ, সে প্রজাতি দিয়েই বন বাড়াতে হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর ব শ সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

দুর্নীতি খ‌তি‌য়ে দেখতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনে তদন্ত ক‌মি‌টি

ইসলামিক ফাউন্ডেশনে বি‌ভিন্ন উন্নয়ণ প্রকল্পে অ‌নিয়ম, কর্মকর্তা কর্মচারী‌দের ঘুষ দুর্নী‌তির অ‌ভি‌যোগ দীর্ঘ‌দি‌নের। এবার অনিয়ম ও দুর্নীতি খ‌তি‌য়ে দেখ‌তে তিন সদ‌স্যের এক‌টি তদন্ত ক‌মি‌টি গঠন ক‌রে‌ছে সরকার।

গত বুধবার (১৪ মে) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে‌ছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীরকে ক‌মি‌টির প্রধান করা হ‌য়ে‌ছে। 

কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. সাখাওয়াত হোসেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব কমিটিতে সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। কমিটি প্রয়োজনে সদস্য অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

কমিটি আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে বিগত সরকারের আমলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনে যেসব অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে- এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করবে‌।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গত ৬ এপ্রিলের একটি স্মারক এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের গত ১১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ২২৮তম সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্তের লক্ষ্যে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ