যুদ্ধবিরতি চুক্তির পরই পুতিন-জেলেনস্কির বৈঠক সম্ভব: রাশিয়া
Published: 17th, May 2025 GMT
যুদ্ধবিরতি নিয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে বৈঠক যে সম্ভব নয়, তা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে ক্রেমলিন। যুদ্ধবিরতি নিয়ে দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে বৈঠকের পরদিনই রাশিয়ার পক্ষ থেকে এমন কথা জানানো হলো।
আজ শনিবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘আমরা মনে করছি, এটি (পুতিন ও জেলেনস্কির বৈঠক) সম্ভব। তবে তা হবে দুই পক্ষের মধ্যে একটি চুক্তির মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট কিছু ফলাফল অর্জনের পর। আপাতত গতকাল (শুক্রবার) তুরস্কে দুই দেশের প্রতিনিধিরা যে বিষয়ে একমত হয়েছেন, তা সম্পন্ন করা প্রয়োজন। অর্থাৎ, এক হাজার করে বন্দিবিনিময়।’
রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর তিন বছরের মধ্যে গতকাল শুক্রবার তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে প্রথম সরাসরি আলোচনায় বসে মস্কো ও কিয়েভ। ওই আলোচনায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে কোনো ঐকমত্য হয়নি। তবে এক হাজার করে বন্দিবিনিময়ে রাজি হয় দুই পক্ষ। বৈঠকের পর ইউক্রেনের প্রতিনিধিদলের প্রধান রুস্তেম উমেরভ বলেন, পরবর্তী ধাপে পুতিন ও জেলেনস্কির বৈঠকের বিষয়ে আশাবাদী তিনি।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতি নিয়ে বৈঠকের পর আজ ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বে সুমি অঞ্চলে বেসামরিক একটি বাসে রাশিয়ার ড্রোন হামলায় অন্তত নয়জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও চারজন। বার্তা আদান–প্রদানের অ্যাপ টেলিগ্রামে ইউক্রেনের ন্যাশনাল পুলিশের পক্ষ থেকে দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়, ‘এটি শুধুই আরেকটি গোলাবর্ষণ নয়, এটি একটি ঠান্ডা মাথার যুদ্ধাপরাধ।’
হামলার পর টেলিগ্রামে একটি নীল রঙের যাত্রীবাহী গাড়ির ছবি প্রকাশ করে ন্যাশনাল পুলিশ। দেখা যায়, গাড়িটি প্রায় পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। এর ছাদ উড়ে গেছে এবং জানালাগুলো চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে পড়েছে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাস বলেছে, সুমি অঞ্চলে ইউক্রেনীয় বাহিনীর সামরিক সরঞ্জাম জড়ো করার একটি স্থানে ড্রোন হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী।
এদিকে শুক্রবারের বৈঠকের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ফোন করেন জেলেনস্কিসহ ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও পোল্যান্ডের নেতারা। এদিন আলবেনিয়ায় ইউরোপীয় নেতাদের এক বৈঠক শেষে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক শেষে আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ফোন করেছি। তাঁর সঙ্গে আলোচনার অগ্রগতি নিয়ে কথা হয়েছে।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইউক র ন র
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকায় রাজউকের এক কর্মচারীর ৩৬ ফ্ল্যাট
‘আমি চাকরিজীবনে কারও ক্ষতি করিনি। বিভিন্ন সাংবাদিকের উপকার করেছি। বিভিন্ন সময় তিনজন সাংবাদিক আমাকে নিয়ে লিখেছেন। আল্লার কী খেল, তিনজনই অকালে মারা গেছেন।’
রাজধানীতে ৩৬টি ফ্ল্যাট থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পরিদর্শক কাজী আমীর খশরু এই বক্তব্য দিয়েছেন। দ্রুত তাঁর কাছে তিন সাংবাদিকের নাম জানতে চাওয়া হয়। তিনিও সঙ্গে সঙ্গে তিনজনের নাম জানালেন।
তাৎক্ষণিক খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই তিন সাংবাদিকই জীবিত আছেন। একজন বর্তমান প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, আরেকজন একটি দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক। অন্যজন একটি দৈনিকে কর্মরত। এ তথ্য জানালে কাজী আমীর খশরু কিছুটা নমনীয় হন। তাঁর সম্পদপ্রাপ্তির নিজস্ব ব্যাখ্যাও দেন।
রাজউক সূত্রে জানা গেছে, উপইমারত পরিদর্শক হিসেবে চাকরিতে যোগদানের সময় আমীর খশরুর বেতন স্কেল ছিল ১ হাজার ৪৮০ টাকা। মাসে মূল বেতন ছিল প্রায় চার হাজার টাকা। চাকরিজীবনের ৩২ বছরে নানা সময় নানা অভিযোগে এক যুগেরও বেশি সময় তিনি সাময়িক বরখাস্ত ছিলেন। বর্তমানে তাঁর বেতন প্রায় ৫০ হাজার টাকা।
রাজধানীতে আমীর খশরু ও তাঁর স্ত্রীর নামে ৩৬টি ফ্ল্যাট আছে। উত্তরায় ৩০ কোটি টাকা দামের দুটি প্লট আছে। সব মিলিয়ে শতকোটি টাকার সম্পদ তাঁর। প্রাপ্ত অভিযোগ ও কাগজপত্র যাচাই করেছে সমকাল। তথ্য সংগ্রহ করেছে সরেজমিন।
বাড্ডা পুনর্বাসন প্রকল্পের ১০ নম্বর রোডের ৭৪ নম্বর হোল্ডিংয়ের ছয়তলা বাড়িটির নাম ফারিয়া নিশাত কুঞ্জ। আনুমানিক পাঁচ কাঠা আয়তনের কর্নার প্লটের বাড়িটির কাজ শেষ হয়েছে বছরখানেক আগে। নিচতলায় পার্কিং, গার্ডরুম, একটি ফ্ল্যাট ছাড়াও অন্য তলাগুলোতে রয়েছে দুটি করে ১১টি ফ্ল্যাট। ফ্ল্যাটগুলো ভাড়া দেওয়া। আমীর খশরু মাঝেমধ্যে সেখানে যান। ভবনটির নিরাপত্তাকর্মী মো. কালাম ও পার্শ্ববর্তী ভবনের বাসিন্দা জানান, এই বাড়ির মালিক আমীর খশরু; রাজউকে বড় চাকরি করেন। এ এলাকায় তাঁর আরও বাড়ি আছে বলেও জানান তারা।
সেই সূত্রে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাড্ডা পুনর্বাসন প্রকল্পের ১১ নম্বর রোডের ৬৯ ও ৭১ নম্বর হোল্ডিংয়ে দুটি প্লটেরও মালিক এই রাজউক কর্মচারী। তিন কাঠা আয়তনের দুটি প্লটকে এক করে সেখানে ছয়তলা আরেকটি বাড়ি বানিয়েছেন তিনি। বাড়িটিতে গাড়ি ঢোকা ও বের হওয়ার জন্য রয়েছে দুটি বড় ফটক। প্রতিটি ফ্ল্যাটে রয়েছে তিনটি বেডরুম, তিনটি বারান্দা, ড্রইং-ডাইনিং, চারটি বাথরুম ও কিচেন কেবিনেট। প্রতিটি ফ্ল্যাটের আয়তন প্রায় দুই হাজার বর্গফুট।
ভবনের এক নিরাপত্তাকর্মী ও একাধিক বাসিন্দা জানান, এ বাড়ির তিনটি ফ্ল্যাট বিক্রি করে দিয়েছেন আমীর খশরু। তারা বলেন, একেকটি ফ্ল্যাটের বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় দুই কোটি টাকা। ভবনের নিচতলায় পার্কিং, গার্ডরুম ও একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। এ ভবনে ফ্ল্যাটের সংখ্যা ১১।
আমীর খশরু সমকালকে বলেন, ‘এই দুটি প্লটের মালিক আমার স্ত্রী। যখন বাড্ডা পুনর্বাসন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়, তখন ক্ষতিগ্রস্তদের কাছ থেকে আমি কয়েকটি অ্যাওয়ার্ড (মালিকানাস্বত্ব) কিনে নিই। তখন একেকটি অ্যাওয়ার্ড ৪০-৫০ হাজার টাকায় কেনা যেত। পরে ডেভেলপারকে দিয়ে বাড়ি করি এবং অর্ধেক ফ্ল্যাট পাই।’
বাড্ডা পুনর্বাসন প্রকল্পের ১২ নম্বর রোডের ৬৫ নম্বর হোল্ডিংয়ে তিন কাঠার ওপর আরেকটি ছয়তলার বাড়ির সঙ্গে আমীর খশরুর নাম জড়িয়ে আছে। এটিরও প্রতি তলায় দুটি করে ফ্ল্যাট। তবে এই বাড়ির মালিকের নাম আসলাম বলে জানান বাড়ির একজন নিরাপত্তাকর্মী। আমীর খশরুর একজন ঘনিষ্ঠ সহকর্মী জানান, খশরুর ভাগনে এই আসলাম। বাড়িটির মূল মালিক তিনি নিজেই। বোন ও ভাগনের নামে এ বাড়ি করেছেন তিনি।
এ বাড়ির বিষয়ে আমীর খশরু বলেন, ‘আমার আত্মীয়স্বজনের কার কী সম্পত্তি আছে, তা আমি জানি না।’
পশ্চিম শেওড়াপাড়ার ৭৪১ নম্বর হোল্ডিংয়ে ১৭টি ফ্ল্যাটের ছয়তলা বাড়ি রয়েছে আমীর খশরুর। এটি তাঁর প্রথম করা বাড়ি। আনুমানিক পাঁচ কাঠার ওপর গোলাপি, লাল ও আকাশি রং করা বাড়িটিতে একসময় তিনি নিজেই থাকতেন।
বাড়ির এক নিরাপত্তাকর্মী জানান, বাড়ির মালিক খশরু তেমন একটা আসেন না। তবে একটি ফ্ল্যাটে তাঁর এক আত্মীয় থাকেন। আর ভাড়া তুলে মালিকের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
কাজী আমীর খশরু সমকালকে বলেন, পশ্চিম শেওড়াপাড়ার বাড়িটিই কেবল তাঁর নামে। তাঁর মা পৈতৃক সূত্রে সেখানে এক কাঠা জমি পেয়েছিলেন। আরও কয়েক কাঠা কিনে পারিবারিকভাবে বাড়িটি তিনি তৈরি করেছেন।
উত্তরায় দুই প্লট
উত্তরার ১০ নম্বর সেক্টরে ৭ নম্বর রোডে ২২/এ নম্বর হোল্ডিংয়ে আমীর খশরুর রয়েছে পাঁচ কাঠার একটি প্লট। গত ৩০ এপ্রিল সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সেখানে টিনশেড বানিয়ে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। সামনে তিনটি দোকান।
পোশাক দোকানি অজন্তা সেলাইঘরের স্বত্বাধিকারী আবদুস সালাম সমকালকে নিশ্চিত করেন, কাজী আমীর খশরু নামে রাজউকের এক ‘কর্মকর্তা’র কাছ থেকেই দোকান ভাড়া নিয়েছেন। তিনি জানান, দোকানগুলো ছাড়াও পেছনে আরও কিছু ভাড়াটিয়া আছেন। সব মিলিয়ে মাসে লাখ টাকার মতো ভাড়া ওঠে। মাস শেষে খশরু নিজে এসে ভাড়া নিয়ে যান। স্থানীয়রা জানান, প্লটটির বাজারমূল্য অন্তত ১৫ কোটি টাকা।
উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরের ৮ নম্বর রোডের ৪১ নম্বর প্লটের মালিকও এই আমীর খশরু। কর্নারের এই প্লটটিতেও কিছু দোকানপাট বানিয়ে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। দোকানগুলো থেকে মাসে লক্ষাধিক টাকা ভাড়া পান তিনি।
একটি দোকানের মালিক নিশ্চিত করেন, এটিও আমীর খশরুর। তিনি জানান, মাস শেষে প্লটের মালিক ভাড়া নিয়ে যান। স্থানীয়রা জানান, এই প্লটটির বর্তমান বাজারমূল্য অন্তত ১৫ কোটি টাকা।
রাজউক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোটায় পূর্বাচলে আরেকটি প্লট বরাদ্দ পেয়েছিলেন আমীর খশরু। কিন্তু বিভিন্ন অভিযোগে বরখাস্ত থাকার কারণে রাজউক তাঁকে প্লটের আইডি দেয়নি।
এ প্লটের বিষয়ে আমীর খশরু বলেন, ‘একটি প্লট আমার মায়ের নামে।’ ভাড়াটিয়ারা বলছেন, অন্য প্লটটিও আপনার। আপনি ভাড়া তোলেন। এর জবাবে তিনি কিছু বলেননি।
রাজউকে একচেটিয়া প্রভাব
বিভিন্ন প্লটের ফাইল আটকে রেখে বাণিজ্য করার অভিযোগে ওয়ান-ইলেভেনের সময়ে যৌথ বাহিনীর হাতে আটক হন আমীর খশরু। সে সময় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তাঁর নামে একটি মামলা করে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ওই মামলা থেকে দায়মুক্তি পান তিনি। তখন তাঁর আইনজীবী ছিলেন বর্তমান রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন। আমীর খশরু এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পরে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে খশরুর বিরুদ্ধে দুদক ফের মামলা করে। এবার তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করে রাজউক। বর্তমানে মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আছে।
১৯৯৩ সালে রাজউকে চাকরিতে যোগদানের পর থেকে রাজউকের বিএনপিপন্থি শ্রমিক ইউনিয়নে সক্রিয় ছিলেন। একসময় ইউনিয়নের সভাপতিও হন। ওই সময় রাজউকে ছিল তাঁর একচেটিয়া প্রভাব। গত ৬ আগস্ট দলবল নিয়ে রাজউকের তৎকালীন চেয়ারম্যান ছিদ্দিকুর রহমানকে চাপ দিয়ে ইন্সপেক্টর পদ নেওয়ার অভিযোগও আছে তাঁর বিরুদ্ধে। তবে রাজউক এখনও তাঁকে কোনো সুনির্দিষ্ট জায়গায় পদায়ন করেনি।
এর পর রাজউকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করলে গত অক্টোবরে তাঁকে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে বদলি করা হয়। তিন মাস পর আমীর খশরু আবার রাজউকে বদলি হয়ে আসেন। তিনি সমকালকে বলেন, ‘আমাকে অন্যায়ভাবে বদলি করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ ভুল বুঝতে পেরে আবার আমাকে ফিরিয়ে এনেছেন।’
এ প্রসঙ্গে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, যেভাবেই তিনি ব্যাখ্যা করুন না কেন, রাষ্ট্রের একজন সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা হয়েও বৈধ আয়ে এত সম্পত্তির মালিক হওয়া সম্ভব না। এটা খুবই সোজাসাপ্টা ব্যাপার, রাজউকে অনিয়ম-দুর্নীতি আছে। তার ওপর তিনি রাজউকে শ্রমিক রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রভাব কাজে লাগিয়ে রাজউকের কর্মকর্তা-কর্মচারীর সহায়তায় তিনি এসব সম্পত্তির মালিক হয়েছেন, বোঝাই যায়। রাজউকের উচিত হবে, এটা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া। পাশাপাশি দুর্নীতি দমন কমিশনও তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে পারে। এটা না হলে দুর্নীতির অসুস্থ সংস্কৃতি থেকে আমরা বের হতে পারব না।’