ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতা দিলীপ ঘোষ বলেছেন, বাংলাদেশ যদি ভারতের বিরুদ্ধে টক্কর দিতে চায় তবে তারা টিকতে পারবে না। ভারত বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন ধরণের পণ্য আমদানির উপর বন্দর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর রবিবার সংবাদমাধ্যম এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন।

পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সাবেক সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমরা যখন পাকিস্তানের উপর কড়াকড়ি আরোপ করতে পারি, তখন বাংলাদেশ আর কী? চারদিক থেকেই ভারত দিয়ে বেষ্টিত বাংলাদেশের আকাশ থেকে জল, ব্যবসা থেকে বাণিজ্য সবকিছুই আমাদের হাতে। তাদের বোঝা উচিত যে তারা যদি ভারতের বিরুদ্ধে যায় তবে তারা টিকতে পারবে না। ”

শনিবার ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তরের (ডিজিএফটি) জারি করা নির্দেশনায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের স্থলবন্দরগুলো দিয়ে বাংলাদেশি পণ্য প্রবেশে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে দিল্লি। বাংলাদেশ থেকে শুধুমাত্র নহাভা শেভা এবং কলকাতা সমুদ্র বন্দর দিয়ে পণ্য আনা যাবে। এছাড়া আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, মিজোরাম এবং পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্ধা ও ফুলবাড়িতে ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশন (এলসিএস) এবং ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট (আইসিপি) থেকে ফলের স্বাদযুক্ত এবং কার্বনেটেড পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাবার, তুলার বর্জ্য, পিভিসি এবং প্লাস্টিকের তৈরি পণ্য (অনুমোদিত শিল্প উপকরণ ব্যতীত) এবং কাঠের আসবাবপত্র আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পঞ্চগড়ের দুই সীমান্ত দিয়ে আরও ১৫ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ

পঞ্চগড়ের দুটি সীমান্ত দিয়ে নারী, শিশুসহ ১৫ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল শুক্রবার রাতে ও আজ শনিবার ভোরে ঠেলে পাঠানোর ঘটনা ঘটে।

বিজিবি ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের অমরখানা সীমান্তে গতকাল রাত ১১টার দিকে পাঁচজন এবং চাকলাহাট ইউনিয়নের শিংরোড সীমান্তে দিবাগত রাত ৩টার দিকে ১০ জনকে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ।

ঠেলে পাঠানো নারী, শিশুসহ মোট ১৫ জনকে গতকাল গভীর রাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত দুটি সীমান্ত এলাকা থেকে আটক করে বিজিবি। পরে পঞ্চগড় সদর থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ, পাঁচজন নারী ও পাঁচজন শিশু রয়েছে। তাঁদের বাড়ি খুলনা, বাগেরহাট, যশোর ও নড়াইল জেলার বিভিন্ন এলাকায় বলে জানা গেছে।

বিজিবি সূত্রে জানা যায়, অমরখানা সীমান্তের ৭৪৩ নম্বর মেইন পিলারের ৩ নম্বর সাব পিলার থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার ভেতরে বোর্ডবাজার এলাকা থেকে নারী-শিশুসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়। তাঁদের ভারতের ৪৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের বালাচান ক্যাম্প থেকে পুশইন করা হয়। অন্যদিকে শিংরোড সীমান্তের ৭৬৪ নম্বর মেইন পিলারের ১৯ নম্বর সাব পিলারের কাছে খুনিয়াপাড়া এলাকা থেকে ১০ জনকে আটক করে বিজিবির সদস্যরা। তাঁদের ৯৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কৈলাশ ক্যাম্প থেকে ঠেলে পাঠানো হয় বলে জানা গেছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা বলেন, তাঁরা ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে ভারতে বসবাস করছিলেন এবং বিভিন্ন এলাকায় কাজ করতেন। সম্প্রতি মুম্বাইসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে তাঁদের আটক করে ভারতীয় পুলিশ। পরে উড়োজাহাজ ও বাসে করে সীমান্ত এলাকায় এনে বিএসএফের মাধ্যমে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়।

পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ হিল জামান বলেন, প্রাথমিকভাবে তাঁরা নিজেদের বাংলাদেশি বলে জানিয়েছেন। পরিচয় ও নাগরিকত্ব যাচাই শেষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এর আগে চলতি বছরের ১৬ মে থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বিএসএফ পঞ্চগড় সীমান্ত দিয়ে আরও ৯৯ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ