Prothomalo:
2025-09-18@02:31:56 GMT

মঙ্গল কেন মরু গ্রহ

Published: 4th, July 2025 GMT

দূর থেকে মঙ্গল গ্রহকে একটি বিশাল লোহার লাল বলের মতো মনে হয়। আর তাই লাল রঙের মঙ্গল গ্রহ নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। অনেকেই মঙ্গল গ্রহে জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত উপাদান রয়েছে বলে ধারণা করলেও নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, অতীতে মঙ্গল গ্রহে বিভিন্ন নদী বিক্ষিপ্তভাবে প্রবাহিত হলেও সেগুলো কোটি কোটি বছর আগে শুকিয়ে গেছে। নদীগুলোর পলি ও ধুলাবালুর কারণে মঙ্গলগ্রহ এখন প্রায় পুরোটাই মরুভূমির মতো একটি বিরান গ্রহ।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, বর্তমানে দূর থেকে মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠে বিভিন্ন প্রাচীন নদী ও হ্রদের চলার পথ দেখা যায়। আর তাই ধারণা করা হচ্ছে, একসময় পৃথিবীর মতোই পানির প্রবাহ ছিল মঙ্গল গ্রহে। সেই গ্রহে বর্তমানে বেশ কয়েকটি রোভার প্রাণের আদি আবাসের সন্ধান করছে। লাখ লাখ বছর আগে মঙ্গলগ্রহ কতটা বাসযোগ্য ছিল, সেই বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করছে রোভারগুলো। এরই মধ্যে মঙ্গল গ্রহে কার্বনেট খনিজ সমৃদ্ধ শিলার খোঁজ পেয়েছে কিউরিওসিটি রোভার। এই কার্বনেট পৃথিবীর চুনা পাথরে পাওয়া যায়।

মঙ্গল গ্রহের শিলা বিশ্লেষণের মাধ্যমে গ্রহটির অতীত সম্পর্কে কিছু তথ্য প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, মঙ্গল গ্রহে তরল পানির উপস্থিতি ছিল স্বল্প সময়ের জন্য। সেই সময়ের ১০ কোটি বছর পর গ্রহটি মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে। তবে মঙ্গল গ্রহের গভীরে তরল পানির কিছু অংশ এখনো থাকতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী এডউইন কাইট জানিয়েছেন, মনে হচ্ছে মঙ্গল গ্রহ কিছু সময়ের জন্য বাসযোগ্য ছিল। গ্রহটিতে যেসব মরূদ্যানের খোঁজ পাওয়া গেছে, তা পৃথিবী থেকে কিছুটা আলাদা। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই–অক্সাইড আছে, যা গ্রহকে উষ্ণ করে। পৃথিবীতে দীর্ঘ সময় ধরে কার্বনেটের মতো পাথরে কার্বন ধারণের বিষয়টি খেয়াল করা যায়। আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত গ্যাসকে বায়ুমণ্ডলে ফিরিয়ে আনে, যা ধারাবাহিকভাবে জলবায়ু চক্র তৈরি করে। একই ধরনের একটি চক্র মঙ্গল গ্রহেও ছিল। পৃথিবীর তুলনায় মঙ্গল গ্রহের আগ্নেয়গিরির গ্যাস নির্গত হওয়ার হার দুর্বল ছিল বলে তাপমাত্রার ভারসাম্য দ্রুত নষ্ট হয়ে গেছে।

সূত্র: এনডিটিভি

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক র বন

এছাড়াও পড়ুন:

ঋণ নেওয়ার আগে যে ১০টি বিষয় অবশ্যই জানা উচিত

নানা কারণে আপনার ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। অনেক সময় মানুষ ব্যক্তিগত ঋণ, গৃহঋণ নেয়। আবার গাড়ি কেনার জন্যও অনেকে ঋণ নেন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও ঋণ নেওয়া হয়।

কিন্তু অনেকেই ঋণের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু মৌলিক শব্দ সম্পর্কে জানেন না। ব্যাংকের কর্মকর্তারা যখন এসব শব্দ বলেন, তখন অনেক কিছুই বোঝেন না ঋণ নিতে ইচ্ছুক গ্রাহকেরা। ফলে নিয়মকানুন না জেনেই ঋণ নেন। এতে নানা অপ্রত্যাশিত ঝামেলা তৈরি হয়। তাই ঋণ নেওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বোঝা খুব দরকার।

১. আসল টাকা (প্রিন্সিপাল)

আপনি যে পরিমাণ টাকা ঋণ নিচ্ছেন, সেটিই আসল। এর ওপরই সুদ ধরা হয়। কিস্তি পরিশোধের সঙ্গে আসল ধীরে ধীরে কমতে থাকে।

২. সুদের হার (ইন্টারেস্ট রেট)

ঋণ নেওয়ার আগে সবচেয়ে ভাবতে হয় সুদের হার নিয়ে। সুদের হার বেশি হলে খরচ বেড়ে যায়। ঋণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুদের হার। এটি স্থিরও হতে পারে, আবার বাজারদরের ওপর নির্ভর করে বাড়তে-কমতেও পারে।

৩. মাসিক কিস্তি (ইএমআই)

ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ বাবদ প্রতি মাসে যে নির্দিষ্ট টাকা আপনাকে দিতে হবে। সেটি হলো ইএমআই বা ঋণের কিস্তি।

৪. ঋণের মেয়াদ

কত বছরের মধ্যে ঋণ শোধ করতে হবে, সেটিই হলো ঋণের মেয়াদ। মেয়াদ বেশি হলে কিস্তি ছোট হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা বেড়ে যায়। ছোট মেয়াদে কিস্তি বড় হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা কমে।

৫. অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)

শুধু সুদ ও আসল নয়, বরং ঋণের সব খরচ (যেমন ফি, চার্জ) মিলিয়ে আসল ব্যয় কত হবে, তার হিসাব হলো অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)। এটিই প্রকৃত খরচ বোঝায়।

৬. আগাম পরিশোধ (প্রিপেমেন্ট)

ঋণের বোঝা কমাতে অনেকে ঋণের সুদ ও আসলের টাকা আগেই শোধ করে দিতে চান। এতে সুদের খরচ কমে যায়।

৭. প্রসেসিং ফি

আপনি ঋণের জন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আবেদন করলেন। কিন্তু ঋণ আবেদন মঞ্জুর থেকে শুরু করে ছাড় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কিছু মাশুল দিতে হয়। এটিই প্রসেসিং ফি। এটি কখনো ঋণের টাকা থেকে কেটে নেওয়া হয়, আবার কখনো আলাদা দিতে হয়।

৮. স্থগিতকাল (মোরাটোরিয়াম)

বিশেষ পরিস্থিতিতে কিছুদিনের জন্য কিস্তি বন্ধ রাখার সুযোগকেই বলে স্থগিতকাল। তবে এই সময়েও সুদ জমতে থাকে। অনেক সময় ঋণ পরিশোধের জন্য বিশেষ কিস্তি ভাগও করে দেওয়া হয়।

৯. জামানত (কোলেটারাল)

ঋণের নিরাপত্তা হিসেবে আপনার সম্পদ (যেমন বাড়ি, সোনা, জমি) ব্যাংকে বন্ধক রাখা হয়। কিস্তি না দিলে ব্যাংক ওই সম্পদ বিক্রি করে টাকা তুলে নেয়।

১০. লোন-টু-ভ্যালু রেশিও

আপনি যত টাকা ঋণ নিচ্ছেন আর জামানতের মূল্য কত—এই অনুপাতকে বলে লোন টু ভ্যালু রেশিও (এলটিভি)। এর অনুপাত যত কম হয়, ব্যাংকের ঝুঁকি তত কম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ