কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলা কৃষক দল নেতা আহমেদ হোসেন তালুকদারের ওপর হামলা হয়েছে। ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান প্রধানের সমর্থকদের বিরুদ্ধে এ হামলার অভিযোগ উঠেছে।
গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে গোয়ালমারী বাজারে এই হামলার ঘটনা ঘটে। আহত আহমেদ হোসেন তালুকদার দাউদকান্দি উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক। তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার দাউদকান্দি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক লতিফ ভূঁইয়া ও সদস্য সচিব ভিপি জাহাঙ্গীর আলম গোয়ালমারী ইউনিয়ন কমিটির অনুমোদন দেন। এতে রায়হান উদ্দিন রেণু মুন্সিকে সভাপতি এবং মিজানুর রহমান প্রধানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। ইউনিয়ন বিএনপির এই কমিটিতে মিজানুর রহমান প্রধানকে সভাপতি না করায় তাঁর সমর্থকরা আহমদ হোসেন তালুকদারকে গোয়ালমারী বাজারে পেয়ে হামলা চালায়। এতে তাঁর মাথা ফেটে গেছে। হামলার ঘটনায় মিজানুর রহমানকে দল থেকে শুক্রবার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।  
আহমেদ হোসেনের ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন সাকু বলেন, ‘আমার ভাই মিজানুর রহমানকে সমর্থন করেননি বলে তিনি সভাপতি হতে পারেননি এমন অভিযোগ তুলে হামলা চালিয়েছে।’
উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ভিপি জাহাঙ্গীর আলম জানান, হামলার ঘটনায় ইন্ধন ও সংশ্লিষ্টতা থাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা চেয়ে মিজানুর রহমানকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ঘটনায় বিএনপির নির্বাহী সদস্য ড.

খন্দকার মারুফ হোসেন বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমি ফেসবুকে একটি বিবৃতি দিয়েছি, সন্ত্রাসীর কোনো দল নাই। সন্ত্রাসী যে দলেরই হোক না কেন তাকে ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নাই।’
অভিযোগের ব্যাপারে বক্তব্য জানতে মিজানুর রহমান প্রধানকে ফোন করা হলেও রিসিভ করেননি। দাউদকান্দি থানার ওসি জুনায়েদ চৌধুরী জানান, হামলার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: দ উদক ন দ ব এনপ র উপজ ল ঘটন য়

এছাড়াও পড়ুন:

ভাবিকে হত্যার সাজা খেটে বাড়ি ফিরেছিলেন, এবার ভাতিজিকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার

বরগুনার তালতলী উপজেলায় ছয় বছরের এক শিশুকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে তার চাচাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার ইদুপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শিশুর নাম নাহিল আক্তার। সে ওই গ্রামের বাসিন্দা দুলাল খানের মেয়ে। অন্যদিকে অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম হাবিব খান (২৭)। তিনি দুলালের ছোট ভাই ও নাহিলের চাচা।

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুরে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে দোকানে বিস্কুট আনতে যাচ্ছিল নাহিল। এ সময় শিশুটিকে পেছন থেকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন তার চাচা হাবিব খান। এতে শিশুটির মাথা ও হাত গুরুতর জখম হয়। এ অবস্থায় স্বজনেরা তাকে তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে বরিশালে নেওয়ার পথে সন্ধ্যায় নাহিলের মৃত্যু হয়। পুলিশ রাতেই মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

ওই ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা হাবিবকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। এর আগে ২০১৫ সালে বড় ভাই দুলাল খানের প্রথম স্ত্রী তানিয়া বেগমকে হত্যার অভিযোগ ওঠে হাবিবের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় শিশু আইনে তাঁর কারাদণ্ড হয়। গত বছরের প্রথম দিকে কারাগার থেকে মুক্তি পান হাবিব। এবার তাঁর বিরুদ্ধে দুলালের দ্বিতীয় স্ত্রী ফাহিমা আক্তারের মেয়ে নাহিলকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

এ সম্পর্কে দুলাল খান বলেন, ‘হাবিব আমার জীবনটা শেষ করে দিয়েছে। ২০১৫ সালে আমার প্রথম স্ত্রীকে হত্যা করে। তখন ওর বয়স ছিল ১৭ বছর। হাজত খেটে সে বাড়ি ফিরে এসেছে। এর দেড় বছরের মাথায় আমার মেয়েকেও পিটিয়ে হত্যা করল। আমি হাবিবের ফাঁসি চাই।’

তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহজালাল বলেন, শিশুটিকে হত্যার ঘটনায় হাবিবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। শিশুটির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা দুলাল খান বাদী হয়ে হাবিবের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ