অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহতরা চাইলেন বিচার–মর্যাদা–সংস্কার
Published: 5th, July 2025 GMT
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের বছর পেরোলেও বিচার ও মর্যাদা না পাওয়ায় এবং সংস্কার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহত যোদ্ধারা। শুক্রবার রাজধানীর বিএমএ মিলনায়তনে ‘জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের সম্মিলন’–এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা। এই সময় তাঁরা ক্ষোভ ও কষ্টের কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন।
গণ–অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই সম্মিলনের আয়োজন করে গণসংহতি আন্দোলন। পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গণসংহতি আন্দোলন এ তথ্যগুলো জানিয়েছে।
এই সম্মিলন থেকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে গত বছরের জুলাই ও আগস্ট মাসে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড ও হামলার বিচারের দাবি জানানো হয়েছে।
সম্মিলনে শহীদ মনির হোসেনের স্ত্রী রেহানা বেগম বলেন, এক বছর হয়ে গেলেও এখনো তিনি স্বামীর লাশ পাননি।
এক বছর কেউ মনে রাখেনি বলে অভিযোগ করেন জুলাই শহীদ মাসুদ রানার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস সাফা। তাঁর প্রশ্ন, এক বছর পর মনে পড়ল? জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, শহীদ পরিবার এখনো স্বীকৃতি পায়নি। এখনো বিচার হয়নি।
মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর বাবা মীর মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, জাতির স্বার্থে সবাইকে এক থাকতে হবে। যত মতভেদ থাকুক, দেশের সংস্কারের জন্য একমত থাকতে হবে। নির্বাচনের আগেই যেসব সংস্কার সম্ভব, সেগুলো করে ফেলা জরুরি। আগামী নির্বাচনে উচ্চকক্ষে সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতি হলে ভালো হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শহীদ সানির মা রহিমা বেগম বলেন, তিনি এমন একটি দেশ চান, যেখানে আর কেউ শেখ হাসিনার মতো হতে পারবে না। শেখ হাসিনার আমলের মতো শহীদ বা আহত ব্যক্তিদের চৌদ্দগোষ্ঠীর চাকরি চান না।
এখনো যে বেঁচে আছেন, এটা বোনাস—বলে মন্তব্য করেন আহত জুলাই যোদ্ধা নাহিদ হাসান।
‘জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের সম্মিলন’–এ বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। শুক্রবার রাজধানীর বিএমএ মিলনায়তনে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ও আহত
এছাড়াও পড়ুন:
মাদুরোর অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছেন ট্রাম্প
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর পদত্যাগ এবং মার্কিন নিরাপত্তার আওতায় দেশ ত্যাগ করার বিকল্প ফুরিয়ে আসছে। গত মাসে একটি সংক্ষিপ্ত ফোন কলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার নেতার একাধিক অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছেন। এই ফোন কল সম্পর্কে অবহিত চারটি সূত্রের বরাত দিয়ে সোমবার রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
২১ নভেম্বরের এই ফোন কলটি ভেনেজুয়েলার উপর কয়েক মাস ধরে ক্রমবর্ধমান মার্কিন চাপের পরে এসেছিল। ভেনেজুয়েলাকে যেসব মার্কিন চাপ সামাল দিতে হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে মাদক চোরাচালানের অভিযোগে নৌকাগুলোর ওপর হামলা, ট্রাম্পের সামরিক অভিযান সম্প্রসারণের বারবার হুমকি এবং কার্টেল দে লস সোলসসহ মাদুরোকে অন্তর্ভুক্ত করে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে ঘোষণা করা।
মাদুরো এবং তার সরকার সবসময় অপরাধমূলক অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে এবং বলেছে যে তেলসহ ভেনেজুয়েলার বিশাল প্রাকৃতিক সম্পদের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শাসন ব্যবস্থা পরিবর্তন চাইছে।
তিনটি সূত্র জানিয়েছে, ফোনালাপের সময় মাদুরো ট্রাম্পকে বলেছিলেন যে তিনি এবং তার পরিবারের সদস্যদের পূর্ণ আইনি ক্ষমা পেলে তিনি ভেনেজুয়েলা ছেড়ে যেতে ইচ্ছুক, যার মধ্যে রয়েছে সব মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে তার মুখোমুখি একটি প্রধান মামলার অবসান।
এর পাশাপাশি মাদুরো ভেনেজুয়েলার সরকারি কর্মকর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারেরও অনুরোধ করেছিলেন, যাদের অনেকের বিরুদ্ধেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার লঙ্ঘন, মাদক পাচার বা দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুটি সূত্রের মতে, মাদুরো নতুন নির্বাচনের আগে ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেলসি রদ্রিগেজকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পরিচালনা করতে বলেছিলেন।
১৫ মিনিটেরও কম সময় ধরে চলা এই ফোনালাপে মাদুরোর বেশিরভাগ অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন ট্রাম্প। তবে তিনি মাদুরোকে বলেছিলেন যে তার পরিবারের সদস্যদের সাথে তার পছন্দের গন্তব্যে ভেনেজুয়েলা ছেড়ে যাওয়ার জন্য এক সপ্তাহ সময় আছে।
শুক্রবার সেই নিরাপদ পথের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এর ফলে ট্রাম্প শনিবার ঘোষণা করেন যে ভেনেজুয়েলার আকাশসীমা বন্ধ করা হয়েছে বলে দুটি সূত্র জানিয়েছে।
রবিবার ট্রাম্প নিশ্চিত করেছেন যে তিনি মাদুরোর সাথে কথা বলেছেন, তবে বিস্তারিত কিছু জানাননি। হোয়াইট হাউস আরো বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে এবং ভেনেজুয়েলার তথ্য মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধের জবাব দেয়নি।
ঢাকা/শাহেদ