সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিয়ের অনুষ্ঠান ঘিরে অবস্থান
Published: 5th, July 2025 GMT
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহিদুল হককে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় যুবশক্তি ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা-কর্মীরা।
শুক্রবার রাত ১১টা থেকে চট্টগ্রাম নগরের ‘চিটাগং ক্লাবের’ মূল ফটকে নেতা-কর্মীরা অবস্থান নেন। তাঁরা সাবেক চেয়ারম্যান জাহিদুল হককে গ্রেপ্তারের দাবিতে নানা ধরনের স্লোগান দেন।
রাত একটায় এ প্রতিবেদন লেখার সময়ও নেতা-কর্মীরা সেখানে অবস্থান করছিলেন। ঘটনাস্থল থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম নগর কমিটির সদস্যসচিব নিজাম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান জাহিদুল হকের ছেলের বিয়ে হচ্ছে চিটাগং ক্লাবে। জাহিদুল হক আওয়ামী লীগের নেতা। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। তাই তাঁকে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন। গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত তাঁরা কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।
নিজাম উদ্দিন আরও বলেন, ‘কর্মসূচিতে এনসিপি, জাতীয় যুবশক্তির নেতা-কর্মীরাও উপস্থিত আছেন। আমরা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগের বিষয়ে কোনো আপস করব না। কারণ, তাঁরা জুলাই আন্দোলনে হাজারো মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছেন।’
ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, বিয়ের অনুষ্ঠানে জাহিদুল হক আছেন, এমন খবর পেয়ে বৈষম্যবিরোধী ও এনসিপির নেতা-কর্মীরা জড়ো হয়েছেন। খবর পেয়ে তাঁরাও এসেছেন। এখনো কোনো বিশৃঙ্খলা হয়নি। তাঁরা কাউকে গ্রেপ্তার করেননি। তবে বিশৃঙ্খলা এড়াতে জাহিদুল হককে গ্রেপ্তার করা হবে, এমন আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আইনে পরিণত হলো ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদে সবচেয়ে আলোচিত ‘বিগ বিউটিফুল’ বিলটিতে স্বাক্ষর করেছেন, যা কংগ্রেসে অল্প ব্যবধানে পাস হওয়ার একদিন পর আইনে পরিণত হলো।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার বিকেলে হোয়াইট হাউজে এক উৎসবমুখর অনুষ্ঠানে বিলটিতে স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প। এতে তার এজেন্ডার কয়েকটি মূল দিক—কর হ্রাস, প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বৃদ্ধি এবং অভিবাসন দমন কার্যক্রম—আইন হিসেবে কার্যকর হলো।
স্বাধীনতা দিবসের আতশবাজি ও সামরিক পিকনিকের আগে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেন বিগ বিউটিফুল বিল পাসে সহায়তাকারী কিছু রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা। ট্রাম্প বিলটিতে সই করে একে আইনে রূপ দেয়ার সময় তারা দাঁড়িয়ে স্বাগত জানান।
আরো পড়ুন:
কার অপেক্ষায় মাহি?
মার্কিন হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ২ বছর পিছিয়েছে: পেন্টাগন
ট্রাম্প তার ভাষণে বলেন, “এই বিলটি আমেরিকান পরিবার এবং ব্যবসার জন্য একটি নতুন সূচনা। আমরা কর কমাচ্ছি এবং অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমাচ্ছি, যাতে আমাদের অর্থনীতি আরো শক্তিশালী হয়।”
ট্রাম্প হাউজ স্পিকার মাইক জনসন এবং সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা জন থুনকে ধন্যবাদ জানান, যাদের নেতৃত্বে আমেরিকার উভয় কক্ষেই এই বিলটি পাস হয়েছে।
ক্যাপিটল হিলে দীর্ঘ অধিবেশনের পর বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রতিনিধি পরিষদে বিলটি ২১৮ বনাম ২১৪ ভোটে পাস হয়। এর আগে মঙ্গলবার সিনেটে এটি মাত্র এক ভোটের ব্যবধানে অনুমোদিত হয়েছিল।
ট্রাম্প রিপাবলিকান-নিয়ন্ত্রিত কংগ্রেসকে এই বিল ৪ জুলাইয়ের মধ্যে তাকে চূড়ান্তভাবে পাঠাতে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন, যাতে তিনি এটিকে আইনে পরিণত করতে পারেন।
‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল’ আইনে কর হ্রাস, সামরিক বাজেট, প্রতিরক্ষা ও জ্বালানি উৎপাদনের জন্য বর্ধিত ব্যয়, সেইসঙ্গে স্বাস্থ্য ও পুষ্টি কর্মসূচিতে কর হ্রাসের মতো বিধান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই আইনটি অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বৃহৎ পরিসরে নির্বাসনের জন্য ব্যয় বৃদ্ধির সঙ্গেও সম্পর্কিত। তবে, আইন সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
ট্রাম্প প্রশাসন দাবি করেছে, এই পদক্ষেপগুলো মধ্যবিত্তদের স্বস্তি দেবে। ছোট ব্যবসাকে উৎসাহিত করবে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করবে। যদিও অন্যান্য বিরোধীরা বিশ্বাস করেন এই ব্যয় দেশের স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মতো ক্ষেত্রগুলোকে প্রভাবিত করার সম্ভাবনা রয়েছে। এই কারণেই ধনকুবের ইলন মাস্ক সহ একটি বড় অংশ এই আইনের বিরুদ্ধে।
ঢাকা/ফিরোজ