‎চাকরিচ্যুতের সময় থেকে এখন পর্যন্ত সম্পূর্ণ বেতন-ভাতা দেওয়া, বরখাস্ত হওয়া গ্রেপ্তার সৈনিকের মুক্তিসহ কয়েকটি দাবিতে আন্দোলনরত চাকরিচ্যুত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে সেনা সদর থেকে আসা প্রতিনিধিদল। রোববার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে বৈঠক শুরু হয়। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত বৈঠক চলে।

এর আগে চাকরিচ্যুত সেনাসদস্যরা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। সেখানে দাবি জানিয়ে তারা আলটিমেটাম দেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেনা সদর থেকে কেউ আলাপের জন্য না এলে জাহাঙ্গীর গেটের উদ্দেশে লংমার্চ করবেন। বাংলাদেশ সহযোদ্ধা প্ল্যাটফর্মের (বিসিপি) আয়োজনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

বেলা ২টার পর সেনা সদর থেকে একটি প্রতিনিধিদল বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মাসুদ আলম।

‎তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- চাকরিচ্যুতের সময় থেকে অদ্যাবধি সম্পূর্ণ বেতন-ভাতা, অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাসহ চাকরি পুনর্বহাল; কাউকে পুনর্বহাল করা সম্ভব না হলে সরকারি সব সুযোগ-সুবিধাসহ সম্পূর্ণ পেনশনের আওতায় আনা; যে আইনি কাঠামো ও বিচারব্যবস্থার প্রয়োগে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, সেই বিচারব্যবস্থা ও সংবিধানের অনুচ্ছেদ-৪৫ সংশোধন করা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সশস ত র ব হ ন চ কর চ য ত

এছাড়াও পড়ুন:

অস্বস্তিকর পরিস্থিতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে

প্রায় দুই সপ্তাহ আগে পররাষ্ট্রসচিবের পদ থেকে মো. জসীম উদ্দিনকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ-বদলি ও শৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকেও এ বিষয়ে আলোচনা হয়। যদিও কোনো এক অজানা কারণে নতুন পররাষ্ট্রসচিব নিয়োগের বিষয়ে গতকাল রোববার পর্যন্ত কোনো দাপ্তরিক আদেশ জারি হয়নি। এই পরিস্থিতিতে মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন দেশের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগের ক্ষেত্রে তৈরি হয়েছে সমস্যা। সব মিলিয়ে হযবরল অবস্থা চলছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে।

অবশ্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা গত শনিবার প্রথম আলোকে জানান, শনিবার দুপুরে জসীম উদ্দিনের উত্তরসূরি বেছে নিতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন পাঁচ কূটনীতিকের নাম প্রস্তাব করে একটি সারসংক্ষেপ তৈরি করেছেন। ওই তালিকায় থাকা পাঁচ কূটনীতিকের সবাই বিসিএস (পররাষ্ট্র ক্যাডার) ১৫তম ব্যাচের কর্মকর্তা।

গতকাল বিকেলে সরকারের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা এই প্রতিবেদককে জানান, জসীম উদ্দিন আর পররাষ্ট্রসচিব থাকছেন না, তা নিশ্চিত। তাঁর স্থলাভিষিক্ত কে হবেন, তা আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে চূড়ান্ত হতে পারে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নানা পর্যায়ের বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মূলত পররাষ্ট্রসচিব পরিবর্তনকে ঘিরে ১০ দিনের বেশি সময় ধরে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে মন্ত্রণালয়ে। এরই মধ্যে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের মৌখিক নির্দেশনায় গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) মো. নজরুল ইসলাম।

দেশে ও দেশের বাইরের বিভিন্ন বৈঠকে পররাষ্ট্রসচিব জসীম উদ্দিনের অনুপস্থিতির বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের অস্বস্তিকর পরিস্থিতিকে দৃশ্যমান করেছে বলে মনে করেন ঢাকার কর্মকর্তারা। ১৫ মে টোকিওতে জাপানের সঙ্গে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেন মো. নজরুল ইসলাম। কর্মকর্তারা বলছেন, এই দুই দেশের সম্পর্কের পাঁচ দশকের মধ্যে এ ধরনের বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিবের পরিবর্তে অন্য কোনো কর্মকর্তার নেতৃত্ব দেওয়ার নজির এবারই প্রথম। গত ১০ দিনে আন্তমন্ত্রণালয়ের কোনো বৈঠকে জসীম উদ্দিন ছিলেন না। বৈঠকগুলোতে সচিব পদমর্যাদার অন্য দুই কর্মকর্তা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ