রাজধানীসহ দেশের নানা স্থানে বৃষ্টি, ভারী বর্ষণের সতর্কবার্তা
Published: 20th, May 2025 GMT
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আজ মঙ্গলবার থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। সন্ধ্যা সাতটার দিকে এ প্রতিবেদন লেখার সময়ও রাজধানীর আকাশ মেঘলা। কোথাও হালকা বৃষ্টিও হচ্ছে। সেই সঙ্গে আছে বিকট শব্দ করে বজ্রপাত।
আজ দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে উত্তর–পূর্বাঞ্চলের সিলেটে। এটি এ মাসেরও সর্বোচ্চ বৃষ্টি।
আবহাওয়া অধিদপ্তর গত রোববার সন্ধ্যায় পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় দেশজুড়ে ভারী বর্ষণের সতর্কবার্তা দিয়েছিল। সে অনুযায়ী আগামীকাল বুধবারও দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আজ সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রাজধানীতে ২৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক। তিনি আজ বলেন, এ সময়ে দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয় সিলেট ১৯৩ দশমিক ৫ মিলিমিটার। এটি এ মাসে দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টির রেকর্ড।
চলতি মে মাসের শুরু থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। এর মধ্যে অবশ্য কিছু কিছু এলাকায় বৃষ্টিও হয়েছে। তবে তাতে তাপ খুব বেশি কমেনি। গতকাল সোমবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে থাকে।
গত রোববার আবহাওয়া অফিস রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণের সতর্কবার্তা দিয়েছিল। যদি ২৪ ঘণ্টায় ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়, তবে তাকে ভারী বৃষ্টি বলা হয়। আর বৃষ্টির পরিমাণ ৮৮ মিলিমিটারের বেশি হলে তা অতি ভারী বৃষ্টি হিসেবে গণ্য হয়।
আবহাওয়া অফিস বলছে, আকাশে সঞ্চারণশীল মেঘের সক্রিয়তার কারণেই এমন বৃষ্টি হচ্ছে।
আজ বৃষ্টির কারণে শেরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় নদীতে পানি বেড়েছে। তবে শেরপুরে প্রবাহিত পানি এখনো বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি বলে জানিয়েছেন বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান।
আগামীকাল দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী বর্ষণ হতে পারে, এ তথ্য জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সতর ক
এছাড়াও পড়ুন:
ঋত্বিকের বাড়ি যেন ‘মেঘে ঢাকা তারা’
বরেণ্য চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক ঘটকের পৈতৃক বাড়িটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার এক বছর পার হয়েছে। একসময়ের ঐতিহ্যবাহী বাড়িটি এখন কেবলই ইটের স্তূপ আর আগাছায় ভরা এক ধ্বংসস্তূপ। স্মৃতিচিহ্ন বলতে টিকে আছে ভাঙা ইটের পাঁজা আর কয়েকটি ভাঙা দেয়াল, যেখানে গত বছর আঁকা হয়েছিল ঋত্বিকের একটি পোর্ট্রেট। সেই দেয়ালই যেন নির্বাক হয়ে জানান দিচ্ছে এক সাংস্কৃতিক অবহেলার করুণ ইতিহাস।
গতকাল রোববার ঋত্বিকের পৈতৃক ভিটায় গিয়ে দেখা যায়, খসে পড়া দেয়ালে ‘বাড়ী থেকে পালিয়ে’, ‘মেঘে ঢাকা তারা’, ‘অযান্ত্রিক’-এর মতো সিনেমার নাম ও চিত্রকর্ম আঁকা। এর মাঝে মোটা ফ্রেমের চশমা চোখে ছোট চুলের ঋত্বিক ঘটক যেন তাকিয়ে আছেন তাঁরই বাড়ির ধ্বংসাবশেষের দিকে।
অথচ এই বাড়ির সূত্রেই বহু মানুষ রাজশাহীকে চিনেছেন। কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক ঋত্বিকের ‘মেঘে ঢাকা তারা’ দেখার স্মৃতিচারণায় একবার বলেছিলেন, ‘সেই সিনেমা দেখার মুগ্ধতা বুকের মধ্যে মধুর মতো জমে আছে।’ কালের পরিক্রমায় ঋত্বিকের সেই বাড়িই আজ ‘মেঘে ঢাকা তারা’ হয়ে গেছে। স্মৃতি আছে, কিন্তু অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। রাজশাহীর চলচ্চিত্রকর্মীরা চান, এই ধ্বংসস্তূপের ওপরই ঋত্বিকের স্মৃতি সংরক্ষণে টেকসই কোনো উদ্যোগ নেওয়া হোক।
ঋত্বিক ঘটক