হল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন কলেজের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আলী আহমেদ।

গতকাল সোমবার বিকেল থেকে কলেজের ১০ থেকে ১৫ জন শিক্ষার্থী নতুন ও পুরোনো দুটি ছাত্র হল খুলে দেওয়ার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করেন।

হল খুলে দেওয়া নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বিষয়ে শিক্ষার্থী আলী আহমেদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচির পরিপ্রেক্ষিতে আজ একটি সভা হয়েছে। সভায় যেসব সিদ্ধান্ত হয়েছে, এর আলোকে আমাদের অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরে যাচ্ছি। আমাদের মূল দাবি ছিল, দীর্ঘদিন ধরে হল যে বন্ধ রয়েছে, সেটা যাতে চালু করা হয়। সর্বশেষ সিদ্ধান্ত হচ্ছে ঈদের আগেই হল উদ্বোধন হবে। ঈদের বন্ধে হলের বাকি কাজ করা হবে। পয়লা জুলাই শিক্ষার্থীরা হলে উঠতে পারবেন।’

আলী আহমেদ আরও বলেন, ‘হল যাতে চালু হয় সেটিই চেয়েছিলাম। সেটি যেন নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হয়। অবশেষে কলেজ প্রশাসন থেকে লিখিত প্রতিশ্রুতি পেয়েছি। নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যাঁরা আবেদন (হলে থাকতে) করেছিলেন, তাঁরা খোঁজ নেবেন। আর কলেজ প্রশাসন যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, সেই সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হলে আবারও কর্মসূচি দেওয়া হবে।’

শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচির পরিপ্রেক্ষিতে আজ দুপুরে কলেজের ছাত্রাবাসে ছাত্রদের আবাসিক সিট বরাদ্দ ও শিক্ষার্থীদের বসবাসের উপযোগীকরণের বিষয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি সভা হয়। সভায় ৫টি সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্তগুলো হলো—ছাত্রদের দাবিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দ্রুততম সময়ে ছাত্রাবাস চালু, আগামী ৩০ মের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষে কলেজ কর্তৃপক্ষের নিকট ‘শহীদ মামুন ছাত্রাবাস’ হস্তান্তর, শহীদ মামুন ছাত্রাবাসে আসন বরাদ্দের তালিকা ২৫ মে প্রকাশ, আসনপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা আগামী ৪ জুনের মধ্যে নির্ধারিত হোস্টেল ফি অনলাইনে জমা দেবেন, পয়লা জুন শহীদ মামুন ছাত্রাবাসের উদ্বোধন এবং পয়লা জুলাই থেকে আবাসিক ব্যবস্থা চালু এবং আক্কাছুর রহমান আঁখি ছাত্রাবাস শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে কার্যাদেশ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে ছাত্রদের জন্য চালুর সিদ্ধান্ত হয়।

জরুরি সভায় কলেজের অধ্যক্ষ ছদরুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে উপাধ্যক্ষ, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক, কলেজের নিরাপত্তা কমিটি, শৃঙ্খলা কমিটি ও হোস্টেল পরিচালনা কমিটির সদস্যরা এবং সব হোস্টেলের পরিচালকেরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট কাজের ঠিকাদার উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুনহল খুলে দেওয়ার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে তিতুমীর কলেজের ১০–১৫ শিক্ষার্থী১৯ মে ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কল জ র প রক শ হল খ ল

এছাড়াও পড়ুন:

চাকসু নির্বাচন: চার হলের ভিপি-জিএস হলেন যারা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে সমাপ্ত হয়েছে।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে এ গণনার কার্যক্রম শুরু হয়। গণনার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ হচ্ছে সিসি ক্যামেরায়, প্রদর্শন করা হচ্ছে সব কেন্দ্রের এলইডি স্কিনে।

আরো পড়ুন:

প্রাণ ফিরে পেতে যাচ্ছে রাকসু, রাত পোহালেই ভোট

চাকসুর ফল: এক কেন্দ্রে ভিপি-এজিএসে এগিয়ে ছাত্রদল, জিএসে বাম

নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ি, পাঁচটি কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসার তথা ডিন কার্যালয়ে ভোট গণনা শেষে সেখান থেকেই আলাদাভাবে হল সংসদের ফলাফল ঘোষণা করা হবে। আর চাকসুর ফল ঘোষণা হবে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ মিলনায়তনে।

নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেন বলেছিলেন, “ভোট গণনার পুরো বিষয়টি সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতিটি কেন্দ্রের এলইডি স্কিনে প্রদর্শন করা হচ্ছে। কোনো কারণে স্কিন বন্ধ হয়ে গেলে ভোট গণনাও বন্ধ রাখা হবে।”

তিনি বলেন, “ওএমআর পদ্ধতিতে ভেন্ডর মেশিন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেল- এই দুই প্রক্রিয়ায় ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হবে। পুরোদমে ভোট গণনার কাজ চলছে। যত দ্রুত সম্ভব ফলাফল ঘোষণা করা হবে।”

ইতোমধ্যে হল সংসদের ভোটের ফলাফল ঘোষণা শুরু হয়েছে।

মাস্টার দ্য সূর্যসেন হল

চাকসু নির্বাচনে মাস্টার দ্য সূর্যসেন হল সংসদের ফলাফল রাত পৌনে ১টায় ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
ফলাফলে ১৮২ ভোট পেয়ে সহ-সভাপতি (ভিপি) হয়েছেন তাজিন ইবনে হাবিব, ১৪৪ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) হয়েছেন সাদমান আল-তাছিন এবং ২৯০ ভোট পেয়ে সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) হয়েছেন শাখাওয়াত হোসেন।

হলটিতে মোট ভোটার ছিলেন ৫১৬ জন। হলটির কেন্দ্র ছিল বিজ্ঞান অনুষদে।

সোহরাওয়ার্দী হল

সোহরাওয়ার্দী হল সংসদের ফলাফল রাত ১টার পর ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

ঘোষিত ফলাফলে ভিপি হয়েছেন নেয়ামত উল্লাহ ফারাবি, জিএস হয়েছেন নুরন্নবী সোহান এবং এজিএস হয়েছেন রেসালাতুর রহমান।

এ হলে ছাত্রশিবিরের পুরো প্যানেল বিজয়ী হয়েছে।

এফ রহমান হল

এরপর এফ রহমান হল সংসদের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, ৩৬৯ ভোট পেয়ে ভিপি হয়েছেন শাহরিয়ার সোহাগ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রবিউল পেয়েছেন ৩৪৩ ভোট।

৩৭৯ ভোট পেয়ে জিএস হয়েছেন মো. তামিন চৌধুরী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. জাবের আহমদ পেয়েছেন ৩২ ভোট।

এছাড়া ২৯৮ ভোট পেয়ে এজিএস হয়েছেন সাইদুল ইসলাম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাইফুর রহমান পেয়েছেন ২৬০ ভোট।

শাহজালাল হল

শাহজালাল হল সংসদের ফলাফল রাত দেড়টার দিকে ঘোষণা করা হয়েছে।

ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, হলটিতে ভিপি পদে ৯৩৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আলাউদ্দিন। তার নিকতম প্রতিদ্বন্দ্বী মামুনুর রশিদ পেয়েছেন ৭৩৪ ভোট।

৬৯৭ ভোট পেয়ে জিএস হয়েছেন রায়হান চৌধুরী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ওয়াহিদুল ইসলাম পেয়েছেন ৬৭৩ ভোট।

এছাড়া ১১০১ ভোট পেয়ে এজিএস হয়েছেন ইমতিয়াজ জাবের। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল্লাহ আল নোমান পেয়েছেন ৫৯১ ভোট।

ঢাকা/মিজান/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ