বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি, শুল্ক ও কর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবস্থান কর্মসূচি চলবে
Published: 20th, May 2025 GMT
রাজস্ব খাত সংস্কার নিয়ে জারি করা অধ্যাদেশের বিরোধিতা করে আন্দোলন করছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা–কর্মচারীরা। এ নিয়ে আজ মঙ্গলবার অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এনবিআরের কর্মকর্তারা। কিন্তু বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি, শুল্ক ও কর কর্মকর্তা–কর্মচারীদের অবস্থান কর্মসূচি চলবে।
আজ মঙ্গলবার রাত সোয়া নয়টায় এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকটি ফলপ্রসূ হয়নি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে অর্থ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে অর্থ উপদেষ্টা এবং দুজন উপদেষ্টার উপস্থিতিতে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কাল বুধবার দুপুর ১২টায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিক প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হবে। তখন এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
এ ছাড়া আগামীকাল সকাল নয়টা থেকে প্রেস ব্রিফিং শেষ না হওয়া পর্যন্ত ঢাকায় নিয়োজিত আয়কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব স্তরের কর্মকর্তা–কর্মচারীরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নিচতলায় এবং ঢাকার বাইরের সব কর্মকর্তা–কর্মচারী নিজ নিজ দপ্তরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র কর মকর ত
এছাড়াও পড়ুন:
পঞ্চগড়ের দুই সীমান্ত দিয়ে আরও ১৫ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
পঞ্চগড়ের দুটি সীমান্ত দিয়ে নারী, শিশুসহ ১৫ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল শুক্রবার রাতে ও আজ শনিবার ভোরে ঠেলে পাঠানোর ঘটনা ঘটে।
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের অমরখানা সীমান্তে গতকাল রাত ১১টার দিকে পাঁচজন এবং চাকলাহাট ইউনিয়নের শিংরোড সীমান্তে দিবাগত রাত ৩টার দিকে ১০ জনকে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ।
ঠেলে পাঠানো নারী, শিশুসহ মোট ১৫ জনকে গতকাল গভীর রাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত দুটি সীমান্ত এলাকা থেকে আটক করে বিজিবি। পরে পঞ্চগড় সদর থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ, পাঁচজন নারী ও পাঁচজন শিশু রয়েছে। তাঁদের বাড়ি খুলনা, বাগেরহাট, যশোর ও নড়াইল জেলার বিভিন্ন এলাকায় বলে জানা গেছে।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, অমরখানা সীমান্তের ৭৪৩ নম্বর মেইন পিলারের ৩ নম্বর সাব পিলার থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার ভেতরে বোর্ডবাজার এলাকা থেকে নারী-শিশুসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়। তাঁদের ভারতের ৪৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের বালাচান ক্যাম্প থেকে পুশইন করা হয়। অন্যদিকে শিংরোড সীমান্তের ৭৬৪ নম্বর মেইন পিলারের ১৯ নম্বর সাব পিলারের কাছে খুনিয়াপাড়া এলাকা থেকে ১০ জনকে আটক করে বিজিবির সদস্যরা। তাঁদের ৯৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কৈলাশ ক্যাম্প থেকে ঠেলে পাঠানো হয় বলে জানা গেছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা বলেন, তাঁরা ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে ভারতে বসবাস করছিলেন এবং বিভিন্ন এলাকায় কাজ করতেন। সম্প্রতি মুম্বাইসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে তাঁদের আটক করে ভারতীয় পুলিশ। পরে উড়োজাহাজ ও বাসে করে সীমান্ত এলাকায় এনে বিএসএফের মাধ্যমে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ হিল জামান বলেন, প্রাথমিকভাবে তাঁরা নিজেদের বাংলাদেশি বলে জানিয়েছেন। পরিচয় ও নাগরিকত্ব যাচাই শেষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এর আগে চলতি বছরের ১৬ মে থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বিএসএফ পঞ্চগড় সীমান্ত দিয়ে আরও ৯৯ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠায়।