ভারতের সঙ্গে কোনো চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়নি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
Published: 21st, May 2025 GMT
স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি পণ্য আমদানি বন্ধ করায় দিল্লিকে চিঠি পাঠাচ্ছে ঢাকা। তবে, এখনো দেশটির সঙ্গে সই হওয়া কোনো চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
বুধবার (২১ মে) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।
পুশইন বন্ধে দিল্লিকে চিঠি দিয়েছে ঢাকা। এরপরও এটি থেমে নেই, সরকার এ বিষয়ে দিল্লির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, “দিল্লির সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ অব্যাহত আছে এবং আমরা চেষ্টা করছি যাতে নিয়মের বাইরে যেন কিছু না ঘটে।”
আরো পড়ুন:
চিকেন নেক নিয়ে পুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশ মমতার
ভারতের ‘গোর্খা রেজিমেন্ট’ সম্পর্কে কতটা জানেন?
দিল্লি এ বিষয়ে রেসপন্স করেছে কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, “তারা তাদের অবস্থান কিছুটা জানিয়েছে। আমরা আমাদের অবস্থান তাদের কাছে ব্যাখ্যা করেছি। এভাবে ঠেলে দেওয়াটা যে ঠিক না, এটা আমরা তাদের বুঝিয়েছি এবং আমরা তাদের বলেছি, আমাদের স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) আছে, সেই প্রক্রিয়া অনুযায়ী আমরা যাব। তারা কিছু তালিকা দিয়েছে, আমরা সেই তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে চেকআপ করছি।”
ভারতীয় নাগরিক ও যারা রোহিঙ্গা তাদের পুশব্যাক করা হবে না কী, এখানে রাখছি এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “এ ব্যাপারে আমার কাছে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা এখনো নেই। আমরা সাধারণত পুশ ব্যাক করি না। বিষয়টা হলো যারা ভারতীয় নাগরিক বলে প্রমাণিত হবে তাদের অবশ্যই ফেরত নিতে হবে।”
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ভারতের সঙ্গে বিগত সময়ে হওয়া চুক্তি যেগুলোতে বাংলাদেশ লাভবান হয়নি সেগুলো বাতিলের কথা ওঠে। এখন পর্যন্ত সরকার কোনো চুক্তি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কিনা বা পর্যালোচনা করেছে কিনা, জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, “ছোট ছোট বিভিন্ন চুক্তি বিভিন্ন সময়ে হয়েছে, এমওইউ হয়েছে। সেগুলো কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে আপনাদের জানানো হয়েছে। তার মধ্যে চুক্তি যেগুলো সেগুলো কিন্তু দুই পক্ষের সম্মতিতে বাতিল করতে হবে অথবা প্রভিশন থাকে যে কোনো এক পক্ষ আপত্তি করলে বাতিল করা যাবে।”
তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে আমরা কোনটি বাতিল করিনি। আমরা চাই, নিয়ম অনুযায়ী যেন সব কিছু এগোয়। দেখা যাক, আমরা কি করতে পারি।”
ভারত নিয়মের ব্যত্যয় ঘটাচ্ছে কিনা, জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, “দেখুন, নিয়মকে এক্সটেন করা যায় বিভিন্নভাবে। এখন আপনি এটাকে ইতিবাচকভাবে ব্যাখ্যা করতে পারেন, কখনো কখনো নেতিবাচকভাবেও ব্যাখ্যা করতে পারেন। সব মিলিয়ে আমাদের সেভাবে এগোতে হচ্ছে। কেউ তো স্বীকার করে না সে নিয়মের বাইরে যাচ্ছে।”
ভারতের সঙ্গে শ’খানেকের বেশি চুক্তি আছে, এরমধ্যে কতগুলো পর্যালোচনা করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমরা কোনোটাই এখনো বাতিল করার ব্যবস্থা করিনি। পর্যালোচনা বলতে আপনারা কী বোঝান? সব চুক্তিরই আমরা আমাদের অবস্থান যাচাই-বাছাই করার চেষ্টা করেছি। সময়মতো সেগুলো ভারতের সঙ্গে টেকআপ করা হবে।”
সম্প্রতি ভারত সরকার স্থলপথে বাংলাদেশি পণ্যে আমদানি নিষিদ্ধ করেছে। বাংলাদেশ এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নিয়েছে কিনা এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি চিঠি দিল্লিতে পাঠানোর কথা। এ বিষয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, “বাণিজ্য উপদেষ্টা বিষয়টা দেখছেন এবং আমরা এটা টেকআপ করছি। চিঠি যাচ্ছে দিল্লিতে।”
বুধবার (২১ মে) প্রধান উপদেষ্টা ড.
ঢাকা/হাসান/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট পরর ষ ট র উপদ ষ ট ব ত ল কর আম দ র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকায় জামায়াতসহ ৭ দলের বিক্ষোভ আজ, কোথায়, কখন, কোন দল
ফেব্রুয়ারিতে জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ কয়েক দফা দাবিতে রাজধানী ঢাকায় আজ বৃহস্পতিবার একযোগে বিক্ষোভ মিছিল করবে জামায়াতে ইসলামীসহ সাতটি দল।
বিক্ষোভের আগে বায়তুল মোকাররম, জাতীয় প্রেসক্লাবসহ আশপাশের এলাকায় দলগুলো সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করবে। বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব কর্মসূচি চলবে।
প্রায় অভিন্ন দাবিতে সাতটি দল তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। আজ প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকায়, আগামীকাল শুক্রবার বিভাগীয় শহরে এবং ২৬ সেপ্টেম্বর সব জেলা ও উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি রয়েছে দলগুলোর।
জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) এই কর্মসূচি পালন করবে। সাতটি দলের কেউ ৫ দফা, কেউ ৬ দফা, কেউ ৭ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করলেও সবার মূল দাবি প্রায় অভিন্ন। দাবিগুলো হচ্ছে
জুলাই সনদের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন এবং তার ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান, জাতীয় সংসদের উভয় কক্ষে (কেউ কেউ উচ্চকক্ষে) সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতি চালু করা
অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা
বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
সাড়ে চারটায় জামায়াতআজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ ফটকের সামনে সমাবেশের পর বিক্ষোভ মিছিল করবে জামায়াত। সমাবেশে দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর কমিটির নেতারা বক্তব্য দেবেন। জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।
জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটক থেকে মিছিল বের হয়ে পুরানা পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেসক্লাব ও মৎস্য ভবনের পাশ দিয়ে শাহবাগ পর্যন্ত যেতে পারে।
বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটক থেকে মিছিল বের হয়ে পুরানা পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেসক্লাব ও মৎস্য ভবনের পাশ দিয়ে শাহবাগ পর্যন্ত যেতে পারে।জোহরের পর ইসলামী আন্দোলনজোহর নামাজের পর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তরে প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিল করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। মিছিলে নেতৃত্ব দেবেন দলের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম। ইসলামী আন্দোলনের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা যৌথভাবে এ কর্মসূচির আয়োজন করেছে।
জোহর নামাজের পর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তরে প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিল করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।আসরের পর বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসআসর নামাজের পর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর ফটকের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করবে মাওলানা মামুনুল হকের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। গতকাল এক বিবৃতিতে দলের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ কর্মসূচিতে সবাইকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এ ছাড়া খেলাফত মজলিস বেলা তিনটায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে। এতে দলের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন।
একই সময়ে, একই জায়গায় মিছিল করবে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনও। বিকেল চারটায় একই জায়গায় বিক্ষোভ করবে বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি।
আসর নামাজের পর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর ফটকের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করবে মাওলানা মামুনুল হকের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস।জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) বিকেল সাড়ে চারটায় বিজয়নগর পানির ট্যাংকের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করবে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, রাজধানীর মধ্য এলাকায় একযোগে সাতটি দলের বিক্ষোভের কর্মসূচি ঘিরে নেতা-কর্মীদের সমাগমে সড়কে যানজটের সৃষ্টি হতে পারে। এ জন্য নগরবাসী দুর্ভোগের সম্মুখীন হতে পারেন। যদিও আজ ও আগামীকাল সকালে বিসিএস পরীক্ষা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের জন্য এই সাত দল কর্মসূচি বিকেলে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) বিকেল সাড়ে চারটায় বিজয়নগর পানির ট্যাংকের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করবে।