২ মিনিটের ট্রেলারে ভয়, রহস্য আর শুভ—এই ঈদে ‘নীলচক্র’
Published: 23rd, May 2025 GMT
একটা ক্লিক। একটা ভিডিও। আর তাতেই পাল্টে যাচ্ছে জীবনের গতিপথ। শহর জুড়ে ফাঁস হচ্ছে একের পর এক ব্যক্তিগত ভিডিও; অন্ধকার, আতঙ্ক আর রহস্যের এই সময়ের গল্প
নিয়ে এই ঈদে আসছে আরিফন শুভর সাসপেন্স থ্রিলার সিনেমা ‘নীলচক্র’।
২২ মে রাত ৮টায় সিনেমাটি দুই মিনিট ১৯ সেকেন্ডের যে ট্রেইলার প্রকাশিত হয়েছে তাতে স্পষ্ট, ব্লু ফিল্ম র্যাকেটকে ঘিরে তৈরি এই থ্রিলার এবার ঈদে নামছে আলো ছাপিয়ে অন্ধকারে গল্প বলতে। যেখানে ভিডিও ফাঁস হওয়া মানেই শুধু ব্যক্তিগত লজ্জা নয়, বরং একটি সমাজের ভীত নড়বড়ে হয়ে যাওয়া।
সম্প্রতি প্রকাশিত ট্রেইলারে দেখা যাচ্ছে, একের পর এক ভিডিও ছড়িয়ে পড়ছে, আর আতঙ্ক ছড়াচ্ছে শহরের অলিগলিতে। সেই আতঙ্কের কেন্দ্রবিন্দুতে এক অদৃশ্য চক্র—যাদের মুখোশ উন্মোচনে নামছে কেউ একজন।
‘নীলচক্র’ শব্দটার ভেতরেই যেন লুকিয়ে আছে এক নীল বিষণ্নতা, এক অজানা নরক। পরিচালক মিঠু খান বলছেন, আমরা গল্প বলেছি রহস্য আর অন্ধকারকে সঙ্গী করে। একদিকে সাসপেন্স, অন্যদিকে বাস্তব সমাজে ঘটে চলা এক নিষিদ্ধ অথচ অস্বীকারযোগ্য নয় এমন এক বিপজ্জনক বাস্তবতা। বাংলা সিনেমায় এমন বিষয়বস্তু নিয়ে এর আগে কাজ হয়েছে বলে আমার মনে হয় না। ব্লু ফিল্ম র্যাকেট—যেটা আমাদের সমাজে আড়ালে ঘটে চলা এক অপরাধজগত, তার ছায়া পড়েছে এবার বড় পর্দায়। রিলেটিভলি নতুন এই প্লট একদিকে যেমন সাহসী, তেমনি সময়োপযোগীও।
আরিফিন শুভ নিজের ফেসবুকে ট্রেইলার শেয়ায় করে সিনেমার ট্যাগলাইনই জুড়েছেন একটি বাক্যে সেটা এমন, একটা ভিডিও বদলে দিচ্ছে জীবনের গতিপথ…
এই ঈদে ‘নীলচক্র’ মুক্তি পাচ্ছে দেশের বিভিন্ন সিনেমা হলে। ভরসার আলো নয়, এইবার পা রাখুন অন্ধকার হলে। কারণ সত্য কখনো কখনো আলোয় নয়, বেরিয়ে আসে গোপন এক ছায়া থেকে।
‘নীলচক্র’ সিনেমার প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন আরিফিন শুভ। তার সঙ্গে আরও আছেন মন্দিরা চক্রবর্তী, ফজলুর রহমান বাবু, শিরীন আলম, খালেদা আক্তার কল্পনা, শাহেদ আলী, প্রিয়ন্তী ঊর্বী, মাসুম রেজওয়ান প্রমুখ। মিঠু খানের সঙ্গে যৌথভাবে চিত্রনাট্য করেছেন নাজিম উদ দৌলা।
ফিল্ম ফায়োস প্রোডাকশন প্রযোজিত ও ফিল্ম লাইফ প্রোডাকশন নিবেদিত সিনেমাটি যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে আমেরিকান ফিল্ম মার্কেটে বিশ্ব প্রিমিয়ার হয়ে এবারের ঈদে দেশের সিনেমা হলে মুক্তি পেতে চলেছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আর ফ ন শ ভ ঈদ র স ন ম ন লচক র
এছাড়াও পড়ুন:
অনুমোদনের প্রথম দিন সেন্ট মার্টিন যায়নি কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ
দীর্ঘ ৯ মাস পর শনিবার থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রথম দিন কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনে না যাওয়ার কারণে পর্যটকেরা দ্বীপে যেতে পারেননি। হাজারো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। অন্যদিকে জাহাজমালিকেরা বলছেন, সরকারের বিভিন্ন শর্তের কারণে পর্যটকদের আগ্রহ না থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে সরকারের কোনো বাধা নেই। লিখিতভাবে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দিনে গিয়ে দিনেই চলে আসতে হবে; রাতে থাকা যাবে না।
এদিকে রাতে থাকার সুযোগ না থাকায় পর্যটকেরা যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না। কারণ, দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করে দ্বীপে গিয়ে আবার সেদিনই চলে আসতে হবে। এ কারণে জাহাজমালিকেরাও জাহাজ চালাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাঁদের দাবি, দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, জাহাজমালিকেরা যদি জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন।
শাহিদুল আলম বলেন, আগে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করলেও নিরাপত্তার কারণে এখন কক্সবাজার শহর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাতায়াত করবে।
সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে জাহাজ ছেড়ে গেলে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে পর্যটকেরা কিছুই ঘুরে দেখতে পারবেন না। দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যবসার জন্যও তা অলাভজনক। এ কারণেই অনেক পর্যটক সেন্ট মার্টিন যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।
হোসাইন ইসলাম আরও বলেন, রাতযাপন করার সুযোগ না থাকলে সেন্ট মার্টিনের পর্যটন মৌসুম জমে না। পর্যটকেরা রাতের সৈকত দেখতে চান, ঢেউয়ের শব্দ শুনতে চান। সেটাই তো সেন্ট মার্টিনের আসল আকর্ষণ।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনসেন্ট মার্টিনে নিষেধাজ্ঞা উঠছে কাল, তবে জাহাজ চলবে কি৩১ অক্টোবর ২০২৫