Risingbd:
2025-12-01@11:14:28 GMT

নাটোরে ১৬ টন সরকারি চাল জব্দ

Published: 23rd, May 2025 GMT

নাটোরে ১৬ টন সরকারি চাল জব্দ

নাটোরের সিংড়া উপজেলায় ১৬ টন সরকারি চাল জব্দ করেছে সেনাবাহিনীর টহল দল। 

বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিকেলে জব্দ করা চালগুলো সিংড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। 

এর আগে বুধবার রাতে সিংড়া উপজেলার হাট এলাকা থেকে খাদ্য অধিদপ্তর লেখাযুক্ত দুই ট্রলি চাল জব্দ করা হয়।

সেনাবাহিনীর সিংড়া ক্যাম্প সূত্র জানিয়েছে, কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের জন্য বরাদ্দ করা চাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের কাছে এলাকাভিত্তিক পাঠানো হয়। শ্রমিকদের কাজের বিনিময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ চাল দেওয়া হয়। নিয়ম অনুযায়ী কাবিখার চাল বিক্রি করলে সরকারি বস্তা পরিবর্তন করে দরপত্রের মাধ্যমে করতে হয়। কিন্তু, সেই নিয়ম না মেনে কলম ইউনিয়নের প্যানেল মেম্বার হারুনুর রশিদ, ইটালি ইউনিয়নের মোকলেসুর রহমান, চৌগ্রাম ইউনিয়নের মোজাফফর রহমান, রামানন্দ খাজুরা ইউনিয়নের রেবেকা বেগম সরকারি চাল রাজু ও বাবু নামের দুই ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দেন। রাতের আঁধারে দুটি ট্রলিযোগে পরিবহনের সময় সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসব চাল জব্দ করে। সেনা সদস্যরা চাল বিক্রির বৈধ কাগজপত্র দেখতে চাইলে জনপ্রতিনিধিরা তা দেখাতে ব্যর্থ হন। 

চালের ক্রেতা বাবু কমিশনার জানিয়েছেন, তিনি জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে নিয়ম মেনেই চাল কিনেছেন। তার কাছে চাল কেনার বৈধ কাগজপত্র আছে।

সিংড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম জানিয়েছেন, সরকারি চাল জব্দের বিষয়ে তিনি অবগত নন। এ বিষয়ে জনপ্রতিনিধি বা সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাকে কিছু জানানো হয়নি।

ঢাকা/আরিফুল/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সরক র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

মাওনায় কম দামে জমি—এ কথা বলে সাবেক অতিরিক্ত সচিবের কাছ থেকে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা নেন তাঁরা

গাজীপুরের শ্রীপুরে জমি বিক্রি করার কথা বলে সাবেক একজন অতিরিক্ত সচিবের কাছ থেকে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে দুই প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বছিলা রোড এলাকার একটি বাসা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে চারটি মুঠোফোন, একটি প্রাইভেট কার ও সাড়ে ৪৬ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সায়েদুল ইসলাম (৪১) ও মো. শাহীন কাজী (৪৪)। আজ শুক্রবার সিআইডির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাবেক ওই অতিরিক্ত সচিব গত ৩১ মে দারুস সালাম থানায় প্রতারণার মামলা করেন। পরে ওই মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি। মামলাটির তদন্তভার গ্রহণের পর সিআইডি আসামিদের ব্যাংক লেনদেন যাচাই, আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে তথ্য বিশ্লেষণ এবং ভুক্তভোগীর বর্ণনার ভিত্তিতে প্রতারক সায়েদুল ইসলাম ও শাহীন কাজীকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে চারটি মুঠোফোন, চারটি সিম, একটি প্রাইভেট কার এবং সাড়ে ৪৬ হাজার টাকা জব্দ করে। সিআইডির তদন্তে দেখা যায়, আসামিরা পরিকল্পিতভাবে বায়নানামার কথা বলে অর্থ গ্রহণ করলেও জমিটি তাঁদের মালিকানায় ছিল না।

মামলা তদন্তের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তারা প্রথম আলোকে জানান, আসামিরা সাবেক ওই সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং এক পর্যায়ে তাঁর আস্থা অর্জন করেন। পরে তাঁরা গাজীপুরের শ্রীপুর এলাকায় ২২ বিঘা জমি কিনতে তাঁকে প্রলুব্ধ করেন। এরপর দলিলপত্র তৈরি, ভূমি অফিসে যোগাযোগ, রেজিস্ট্রি প্রস্তুত—এমন নানা অজুহাতে প্রতারিত ব্যক্তির কাছ থেকে চলতি বছরের ৬ এপ্রিল থেকে ২৫ মে পর্যন্ত বিভিন্ন ধাপে মোট ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। এরপর তাঁরা ভুক্তভোগীকে ২৬ মে জমি রেজিস্ট্রি (নিবন্ধন) করে দেবে বলে জানান। কিন্তু ওই দিন সকাল থেকেই প্রতারকদের ফোন বন্ধ পাওয়ার পর ভুক্তভোগী নিশ্চিত হন যে তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন।

আজ সন্ধ্যায় নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রতারণার শিকার সাবেক ওই অতিরিক্ত সচিব প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকায় একটি ফ্ল্যাট বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন তিনি। এর সূত্রে সায়েদুল তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং তিনি জানান তাঁর ‘বস’ ফ্ল্যাটটি কিনবেন। সায়েদুল নিজেকে একটি ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি বলে পরিচয় দেন। ফোন করে ও দেখা করে সায়েদুল তাঁর সঙ্গে আন্তরিকতা গড়ে তোলেন। সায়েদুল একদিন তাঁকে বলেন, শ্রীপুরের মাওনায় অনেক কম দামে ২২ বিঘা জমি বিক্রি হবে। দাম কম হওয়ায় তিনি (সায়েদুল) জমিটি বায়না করলেও ওই জমি কেনার তাঁর সামর্থ্য নেই। এখন জমিটি যদি সাবেক অতিরিক্ত সচিব কিনে আরেকজনের কাছে বিক্রি করেন, তাতে বিপুলভাবে (সাবেক অতিরিক্ত সচিব) লাভবান হবেন তিনি। এ জন্য সায়েদুল একজনকে একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক সাজিয়ে তাঁর সঙ্গে ভুক্তভোগীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। কিন্তু কথিত ওই ক্রেতা প্রতারক চক্রের সদস্য, তা তিনি বুঝতে পারেননি।

ভুক্তভোগী বলেন, সায়েদুলের নামে করা বায়না ও জমির কাগজপত্রও তাঁকে দেওয়া হয়। সায়েদুলের মামা দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত এবং তিনি বিদেশে আছেন, সেখানে ব্যয়বহুল চিকিৎসার জন্য প্রচুর টাকা ব্যয় হচ্ছে। টাকার জন্য বিভিন্ন পারিবারিক সমস্যায় আছেন—এমন আকুতি করে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে কয়েক ধাপে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা নেন সায়েদুল। তিনি কেমন যেন সায়েদুলের আচরণে ‘কনভিন্সড’ হয়ে গিয়েছিলেন। যেদিন জমি রেজিস্ট্রি হওয়ার কথা, সেদিন সায়েদুলকে ফোন করলে তিনি বলেন, তাঁর মা মারা গেছেন। লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছেন। পরে আরেক দিন ফোন করলে সায়েদুল বলেন, তাঁর খালাকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছেন। সায়েদুল ও তাঁর সহযোগীদের কর্মকাণ্ডে সন্দেহ হওয়ায় সায়েদুলের দেওয়া জমির কাগজপত্র শ্রীপুরের এসি ল্যান্ডের (সহকারী কমিশনার-ভূমি) কাছে পাঠালে ওই কর্মকর্তা পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে বলেন, এসব কাগজপত্র ভুয়া। এ সময় বুঝতে পারেন তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইমিগ্রেশনে ঘুষ-জালিয়াতির অভিযোগে শাহজালাল বিমানবন্দরে দুদকের অভিযান
  • মাওনায় কম দামে জমি—এ কথা বলে সাবেক অতিরিক্ত সচিবের কাছ থেকে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা নেন তাঁরা