চট্টগ্রাম বন্দর সংস্কার করা হবে, এটা কাউকে দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।  

রবিবার (২৫ মে) দুপুরে ঢাকার বিজয়নগরে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) অডিটরিয়ামে আয়োজিত 'সিএমজেএফ টক' অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

শফিকুল আলম বলেন, “বিশ্বের সবচেয়ে বড় বড় কোম্পানিগুলো চট্টগ্রাম বন্দরকে যেন ম্যানেজ করতে পারে, আমরা তা চাচ্ছি। আমরা চট্টগ্রাম বন্দর কাউকে দেব না। আমরা চাই, টার্মিনালে যেন তারা বিনিয়োগ করেন, ম্যানেজ করেন।”

তিনি আরো বলেন, “এরই মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে আশ্বাস পেয়েছি, তারা তিন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবেন।” 

এ সময় সিএমজেএফ সভাপতি এস এম গোলাম সামদানী ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক আবু আলীসহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে চট্টগ্রাম বন্দরকে বাংলাদেশের অর্থনীতির ‘হৃদপিণ্ড’ হিসেবে বর্ণনা করে এর আধুনিকায়নে জোর দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এই বন্দরের উন্নয়ন ছাড়া দেশের অর্থনীতিতে নতুন অধ্যায় খোলার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। তবে এ বন্দরের ব্যবস্থাপনা বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পাকিস্তানে আকস্মিক বন্যায় মৃতের সংখ্যা ১০৪

পাকিস্তানে আকস্মিক বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০৪ জনে দাঁড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ)।

শনিবার রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, পাঞ্জাব প্রদেশে মৃত্যু হয়েছে আরও ২ জনের। গত ২৬ জুন থেকে এখন পর্যন্ত মোট ৩৯ জন মারা গেছেন এবং ১০৩ জন আহত হয়েছেন। খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১ জন। মোট মৃত্যু হয়েছে ৩১ জনের এবং আহত হয়েছেন ৫১ জন।

বেলুচিস্তানে শনিবার মারা গেছেন ৩ জন। সেখানে এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের, আহত আরও ৪ জন। সিন্ধু প্রদেশে মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের, আহত আরও ৩৭। আজাদ জম্মু ও কাশ্মির এলাকায় মৃত্যু হয়েছে ১ জনের, আহত হয়েছেন আরও ৫ জন।

পাকিস্তানে জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বর্ষা মৌসুমে নিয়মিত বজ্রসহ ভারী বৃষ্টিপাত এবং আকস্মিক বন্যা দেখা দেয়। এই সময়ে পাহাড়ি ও উত্তরের এলাকা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

জাতীয় ও স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উজান থেকে নেমে আসা ঢলে বহু ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে, রাস্তা-ঘাট ও ফসলি জমিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক জায়গায় মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এবং জরুরি উদ্ধার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ