লন্ডনের বৈঠক পছন্দ না হওয়ায় আলোচনায় আসেনি একটি দল: মির্জা ফখরুল
Published: 18th, June 2025 GMT
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক একটি দলের পছন্দ হয়নি। এ কারণে নারাজ হয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে মঙ্গলবার তারা হাজির হয়নি।
বুধবার উত্তরায় দলীয় সদস্যপদ নবায়ন কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি এই আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, সংঘর্ষে না গিয়ে দুই নেতা শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছেন। একেই বলে রাষ্ট্রনায়কোচিত নেতা। রাষ্ট্রনায়ক জনগণের শান্তির কথা চিন্তা করে কোনো বিভাজনে না গিয়ে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের সুযোগ করে দিয়েছেন। এটা অনেকের পছন্দ হয়নি। কারণ নির্বাচন হলেই তাদের বিপদ। এখন নির্বাচন নেই, তাই তাদের অনেক গুরুত্ব। নির্বাচন হলে জনগণের ভালোবাসার দল ক্ষমতায় এলে তাদের গুরুত্ব কমে যাবে এটা তারা জানে। যে কারণে ওরা নারাজ হয়েছে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ দুঃশাসন চালিয়েছে। যারা আওয়ামী লীগের মতো আচরণ, জোর করে অধিকার হরণ ও চাঁদাবাজি করে- তারা তো সেই দলটির মতো হয়ে যাবে। এগুলো করা যাবে না। আমরা নতুন বাংলাদেশ চাই। আগের মতো দুঃশাসন চাই না।
সবাইকে সতর্ক করে তিনি বলেন, সদস্য নবায়নে যেন কোনো আওয়ামী লীগ না থাকে। কারণ এটা পরীক্ষিত, আওয়ামী লীগের কেউই ভালো না। আওয়ামী লীগ নিজের স্বার্থ ছাড়া আর কারও স্বার্থ দেখতে পারে না। তবে নিরপেক্ষ কেউ থাকলে তাকে অবশ্যই দলে আসার জন্য আহ্বান জানানো হবে।
তুরাগ থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হারুন অর রশীদ খোকনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন, বিএনপির ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক, সদস্য সচিব মোস্তফা জামান, যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন প্রমুখ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ ম র জ ফখর ল ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
একাত্তরের গণহত্যার জন্য জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে হবে: আলাল
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, ‘‘বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি তোলা উচিত, চব্বিশ এবং আগের গণহত্যা, নির্যাতন-নিপীড়ন, ভোটাধিকার হরণ—এসবের জন্য যদি আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হতে পারে। তাহলে একাত্তরে গণহত্যা, ধর্ষণ, নারকীয় হত্যাযজ্ঞের জন্য জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করতে হবে। তাদের কার্যক্রমও নিষিদ্ধ করতে হবে। একই অপরাধে দুই রকমের বিচার হতে পারে না।’’
শনিবার (১ নভেম্বর) রাজধানী ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের আয়োজনে ‘স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অপরিহার্য’ শীর্ষক মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন: দুলু
নৌকা ডুবেছে, শাপলা ভাসবে: এনসিপির তুষার
মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘‘যদি আওয়ামী লীগের মতো একই ধরনের অপরাধে জামায়াতের বিচার না হয়, তাহলে সেটা হবে ইতিহাসের প্রতি অবিচার।’’
তিনি বলেন, ‘‘আজকে জামায়াত তাদের পোশাক-চেহারা, আচরণ পাল্টে নতুন রূপে হাজির হয়েছে। তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে বৈঠক করছে। কিন্তু, মূল উদ্দেশ্য বিএনপিকে আক্রমণ করা। এই বহুরূপীদের চেহারা জনগণ চিনে ফেলেছে।’’
বিএনপির এই নেতা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে বিএনপিই একমাত্র শক্তি। অথচ এই শক্তিকে দুর্বল করার ষড়যন্ত্র চলছে। সরকার নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে নির্বাচনের নামে প্রক্রিয়া চালালেও জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা কেড়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
আলাল আরো বলেন, ‘‘বর্তমান সরকার মনে করেছে, দেশের সব অনাচারের মূলে সংবিধান। কিন্তু সমস্যার মূল সংবিধান নয়—ক্ষমতার অপব্যবহার ও জনগণের ভোটাধিকার হরণ। শেখ হাসিনার ১৬-১৭ বছরের শাসনে এই অন্যায়, নির্যাতন, দুর্নীতি ও অর্থ পাচারই হয়েছে সবচেয়ে বড় বাস্তবতা।’’
ঢাকা/রায়হান/রাজীব