কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা মিঠামইনের কেওয়ার জোড় ইউনিয়নে সরকারি ভিজিএফের চাল বিতরণে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. ওসমান হোসেন ও ইউপি সচিব মোহাম্মদ আলমগীর হোসেনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। বৃহস্পতিবার রাতে ইটনা সেনা ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন আব্দুল্লাহ আল কাফির নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। 

স্থানীয়রা জানায়, সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে ভিজিএফের চাল বিতরণে সময় জনপ্রতি ১ হাজার টাকা আর্থিক লেনদেন করেছে প্যানেল চেয়ারম্যান এবং ইউপি সচিব—এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে যৌথ বাহিনী। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় দুইজনকে আটক করে মিঠামইন থানায় হস্তান্তর করা হয়।

এ বিষয়ে মিঠামইন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

আলমগীর কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সেনাবাহিনী দুইজনকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছেন। এ ছাড়া ঘটনাস্থল থেকে জব্দকৃত চাল উদ্ধার প্রক্রিয়াধীন। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আটক

এছাড়াও পড়ুন:

সিদ্ধিরগঞ্জে হত্যা মামলার বাদীকে হুমকি, স্বজনদের মানববন্ধন

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মাকসুদুল হাসান জনি হত্যা মামলার বাদী ও তার পরিবারকে হত্যার হুমকি প্রদানের অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিক্ষোভ ও  মানববন্ধন করে নিহতের পিতা শুক্কর আলী ও স্ত্রী ইভা আক্তার এ অভিযোগ করেন। এসময় মামলার পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবি জানান তারা।

নিহতের স্ত্রী ইভা আক্তার বলেন, আমাকে যারা অল্প বয়সে বিধবা ও ৩ বছরের প্রতিবন্ধী ছেলে জুনায়েদকে এতিম করেছে আমি তাদের ফাঁসি চাই। আসামিরা আমার স্বামীকে হত্যা করেছে এখন আবার হুমকিও দিচ্ছে।  

মামলার বাদী নিহতের পিতা শুক্কুর আলী বলেন, আমার ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। মামলার এজাহার নামীয় ৩ জন আসামি গ্রেফতার হলেও মূল পরিকল্পনাকারী মহাসিন ভূঁইয়াসহ ৪ জন এখনো গ্রেফতার হয়নি।

তারা পলাতক থেকে তাদের লোকজনের মাধ্যমে মিমাংসা করে মামলা তুলে দেয়ার জন্য আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন হুমকি দিচ্ছে। এতে আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানাচ্ছি।

নিহতের মা মাজেদা বেগম বলেন, আমার ছেলে নিখোঁজ হওয়ার পর আমি ও ছেলের বউ ইভা তার সন্ধান করতে নূরুল আনোয়ারের নির্মাণাধীন তাকওয়া ভবনের সামনে গেলে নিরাপত্তারক্ষী আলমগীর আমাদের ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়নি।

অথচ সে জানতো আমার ছেলেকে ওই ভবনের একটি কক্ষে হত্যা করেছে। লাশ ভনের লিফটের হাউজের নর্দমা পানিতে রয়েছে। আমি এ পাষাণদের ফাঁসি চাই। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন নিহতের ভাই জুয়েল, ফাহিম ও বোন সুমাইয়া।

মানববন্ধনে নিহতের স্বজন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি আফজাল হোসেন, ফজলুল হক মাদবর, লিটন, মাসুদ, জসিম, আব্দুল মজিদ, সুমন, শাহিন, আসলাম ও বাধনসহ প্রমুখ।

উল্লেখ্য, নিখোঁজের ৩ দিন পর গত মাসের ১৮ জুলাই দুপুরে নিমাইকাশারী এলাকার নির্মাণাধীন তাকওয়া ভবনের লিফটের জন্য রাখা ফাঁকা জায়গায় জমে থাকা নর্দমা পানি থেকে জনির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ১৯ তারিখে নিহতের পিতা শুক্কুর আলী বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৩ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। 

মামলার এজাহার নামীয় আসামি আলমগীর হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন ও আকাশ হোসেনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব ও পুলিশ।

গ্রেফতারের পর তারা পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন বলে নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহিনূর আলম। গ্রেফতাররা বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে বলে জানা গেছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাতক্ষীরার সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক আহত
  • ভোমরা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি আহত
  • চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ২
  • কাউনিয়ায় মিলাদ মাহফিলে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত ২, আহত ১o
  • উনি আসবেন, আমাদের নেতৃত্ব দেবেন, আমাদের পথ দেখাবেন
  • জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে যুবদলের ৭৮ শহীদ পরিবারের সম্মাননা কাল
  • সিদ্ধিরগঞ্জে হত্যা মামলার বাদীকে হুমকি, স্বজনদের মানববন্ধন
  • বাবা-মেয়ের কাছ থেকে টাকা ছিনতাই, গ্রেপ্তার ২
  • সিংড়ার ভ্যানচালক জিহাদ হত্যার রহস্য উদঘাটন, ২ বন্ধু গ্রেপ্তার