মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, মাছ বাঙালির প্রোটিনের অন্যতম উৎস। তাই ছোট মাছের বিলুপ্তি রোধে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটকে (বিএফআরআই) সচেষ্ট থাকতে হবে।

শনিবার বাকৃবির মৎস্য বিভাগ, বিএফআরআই ও মৎস্য অধিদপ্তরকে অভিন্ন লক্ষ্যে কাজ করার আহ্বান জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মৎস্য বিভাগ, বিএফআরআই ও মৎস্য অধিদপ্তরকে অভিন্ন লক্ষ্যে আন্তঃসমন্বয় করে কাজ করতে হবে।

ময়মনসিংহ বিএফআরআই আয়োজিত বার্ষিক গবেষণা অগ্রগতি (২০২৪-২৫) পর্যালোচনা ও গবেষণা পরিকল্পনা (২০২৫-২৬) প্রণয়ন শীর্ষক আঞ্চলিক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ফরিদা আখতার। বিজ্ঞানীদের জাতির মূল্যবান সম্পদ উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার তাদের গবেষণা ও দেশের কল্যাণে কাজ করার জন্য সর্বোচ্চ সহযোগিতা দেবে। তিনি এমন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন যা সাধারণ মানুষের কাছে সহজবোধ্য এবং যার সুফল জনগণ সরাসরি ভোগ করতে পারবে।

উপদেষ্টা আরও জানান, কৃষি কার্যক্রমে ব্যবহৃত কীটনাশক হাওর এলাকার মাছের জন্য ব্যাপক ক্ষতিকর। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় জাতীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কীটনাশক নিয়ন্ত্রণে বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই কমিটিগুলোর কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে হাওরাঞ্চলে কীটনাশকের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য হারে কমবে এবং জলজ প্রাণীর নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাকৃবির মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড.

রফিকুল ইসলাম সরদার। সভাপতিত্ব করেন বিএফআরআইর মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্র। আরও উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ বিভাগের মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক নৃপ্রন্দ্রে নাথ বিশ্বাস। কর্মশালায় স্বাদুপানি কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হারুন উর রশিদ গবেষণা পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ময়মনস হ ব এফআরআই উপদ ষ ট মৎস য

এছাড়াও পড়ুন:

আনন্দ মোহনের অধ্যক্ষকে ওএসডি, অভিযোগ—তিনি আওয়ামী লীগের ‘দোসর’

ময়মনসিংহের সরকারি আনন্দ মোহন কলেজের অধ্যক্ষ আমান উল্লাহকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করা হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেল ৪টায় দায়িত্ব হস্তান্তর করে ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন তিনি। এ সময় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন উপাধ্যক্ষ সাকির হোসেন।

এর আগে ৩১ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে উপসচিব (সরকারি কলেজ-২) আ. কুদদুসের সই করা একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে রোববার বিকেলের আগে উপাধ্যক্ষকে অধ্যক্ষ পদের দায়িত্ব হস্তান্তর করতে বলা হয়। আমান উল্লাহকে ২০২১ সালের ৮ আগস্ট অধ্যক্ষ হিসেবে পদায়ন করা হয়েছিল। তিনি একই কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যাপনা করে আসছিলেন।

গতকাল বিকেলে দায়িত্ব গ্রহণের পর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাকির হোসেনকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের (কমিটি স্থগিত) নেতারা। এরপর বিষয়টি জানাজানি হয়। তাঁদের একজন আনোয়ার হোসেন (যিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ময়মনসিংহ জেলা শাখার আহ্বায়ক) দাবি করেন, ‘সদ্য সাবেক অধ্যক্ষ আমান উল্লাহ আওয়ামী লীগের দোসর ছিলেন।’ তাঁরা লিখিতভাবে সচিবালয়ে ও বিভাগীয় কমিশনারের কাছে অভিযোগ জানানোর পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দাবি তাঁর।

আমান উল্লাহকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ধরেননি।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাকির হোসেন বলেন, ‘গতকাল বিকেল ৪টার দিকে আমি দায়িত্ব বুঝে পেয়েছি। কলেজে যেন সুন্দর পরিবেশ তৈরি করতে পারি, এ জন্য সবার সহযোগিতা চাই।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এক দিন রিকশা চালান, আরেক দিন কারুপণ্য বানান ময়মনসিংহের জাহাঙ্গীর
  • বৃষ্টির দাপট চলবে আরো কয়েকদিন, কমবে পরের সপ্তাহে
  • চার জেলায় বন্যার সতর্কতা
  • আনন্দ মোহনের অধ্যক্ষকে ওএসডি, অভিযোগ—তিনি আওয়ামী লীগের ‘দোসর’