টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা। অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে শিরোপা জয়ের পর প্রথম ম্যাচেই দাপট দেখাল প্রোটিয়ারা। ১১ বছর পর জিম্বাবুয়ে সফরে গিয়ে প্রথম টেস্টেই কেশব মহারাজের দল স্বাগতিকদের হারিয়েছে ৩২৮ রানের বড় ব্যবধানে। এটি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তাদের সর্বোচ্চ রানের জয়। বুলাওয়ের কুইন্স স্পোর্টস ক্লাব মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া ৫৩৭ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে চতুর্থ দিনেই ২০৮ রানে অলআউট হয় স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে।

এই ম্যাচে দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করেছেন করবিন বশ। প্রথম ইনিংসে অপরাজিত ১০০ রানের পর বল হাতে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে গড়েছেন অনন্য এক কীর্তি। ২০০২ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে জ্যাক ক্যালিসের পর, তিনিই প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকান যিনি টেস্টের এক ইনিংসে পাঁচ উইকেট ও সেঞ্চুরি করার কৃতিত্ব দেখালেন। সব মিলিয়ে এই তালিকায় দেশটির চতুর্থ ক্রিকেটার বশ।

টেস্ট ইতিহাসে দীর্ঘ এই তালিকার প্রথম দুই ক্রিকেটারই দক্ষিণ আফ্রিকার। ১৮৯৯ সালে কেপ টাউনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জিমি সিনক্লেয়ার ও ১৯১০ সালে জোহানেসবার্গে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই অব্রে ফকনার গড়েন এই কীর্তি। ক্যালিস এই স্বাদ পান দুই দফায়।

বশের আগে সবশেষ বাংলাদেশের মেহেদী হাসান মিরাজ এই স্বাদ পান গত এপ্রিলে, চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই। তবে প্রোটিয়াদের ব্যাটিংয়ে প্রথম ইনিংসে মূল ভরসা ছিলেন প্রিটোরিয়াস। ২৩ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর ১৫৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে দলকে ৪১৮ রানে পৌঁছে দেন তিনি। যার ফলে ম্যাচ সেরার পুরস্কারও জিতেছেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটার।

অন্যদিকে, অভিষেক টেস্ট খেলতে নামা কোডি ইউসুফ দুই ইনিংসেই নেন ৩টি করে উইকেট। স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের পক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উইক ট প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রাম বন্দরে কার্গো পণ্য হ্যান্ডলিংয়ে রেকর্ড

চট্টগ্রাম বন্দর প্রতিষ্ঠার ১৩৭ বছরের মধ্যে এবারই সর্বাধিক কার্গো পণ্য হ্যান্ডলিংয়ের রেকর্ড হয়েছে। দেশের প্রধান এই সমুদ্র বন্দরটি সদ্য বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কার্গো (খোলা) পণ্য হ্যান্ডলিং করেছে ১৩ কোটি ৭ লাখ ২৪ হাজার ৭৮৩ লাখ মেট্রিক টন। এতদিন তাদের সর্বোচ্চ হ্যান্ডলিং ছিল ১২ কোটি ৩২ লাখ ৪২ হাজার ৪৮ মেট্রিক টন। গত অর্থবছর এটি অর্জন হয়। সে হিসাবে আগের তুলনায় কার্গো পণ্যে এবারে ৬ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে বন্দর। 

২০২১-২২ অর্থ বছরের পর এটিই এক অর্থবছরে বন্দরের সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি। চার বছর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে আগের তুলনায় সর্বোচ্চ ১১ দশমিক ৯৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করার গৌরব অর্জন করেছিল চট্টগ্রাম বন্দর।

চট্টগ্রাম বন্দর সচিব ওমর ফারুক জানান, চট্টগ্রাম বন্দর প্রতিষ্ঠা হয় ১৮৮৮ সালের ২৫ এপ্রিল। এ হিসাবে চট্টগ্রাম বন্দর পাড়ি দিয়েছে ১৩৭ বছর। দীর্ঘ এই পথ পরিক্রমায় এবারই প্রথম ১৩ কোটি মেট্রিক টন কার্গো পণ্য হ্যান্ডলিংয়ের মাইলফলক ছুঁয়েছে দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর। 

কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়েও এবার রেকর্ড করেছে বন্দর। ৪৮ বছরের মধ্যে এবার সর্বোচ্চ ৩২ লাখ ৯৬ হাজার একক কনটেইনার হ্যান্ডেল করেছে তারা।

মিউচ্যুয়াল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পারভেজ আহমেদ বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে বর্তমানে মোট আমদানির ২৩ শতাংশ হয় কনটেইনারে। বাকি ৭৭ শতাংশ আসে বাল্ক পণ্য, তেল ও কেমিক্যাল ট্যাংকারে। বন্দরে নোঙর করা জাহাজের মধ্যে ৪৫ শতাংশই কনটেইনারবাহী, ৪৫
শতাংশ বাল্ক ক্যারিয়ার এবং ১০ শতাংশ তরল পণ্যবাহী জাহাজ। 

তিনি জানান, দেশের মোট কনটেইনার বাণিজ্যের প্রায় ৯৯ শতাংশ পরিচালিত হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। বাকি এক শতাংশ মোংলা বন্দর দিয়ে পরিচালিত হয়। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ