Prothomalo:
2025-08-17@09:30:10 GMT

সরলতা, একা থাকতে দাও

Published: 2nd, July 2025 GMT

অপ্রকৃতস্থ

সরলতা, একা থাকতে দাও। গুম্ফার রাত্রির মতো এখনই

দ্রুত নেমে এসো না। আমার সময় আছে

ত্রুটি যা ছিল, সেসব জুয়ায়ই প্রকৃত সুন্দর। ক্ষীণ আলোর

সাথে যোগাযোগ আজ বহুদিন হলো নেই। আলস্য বিক্রি

করে স্মৃতির সাথে এখনো চলছি ক্ষত নিয়ে, মেরামতে

পড়ে আছে, হে অনাদি

পরস্ত্রীর মুখোমুখি এখন কালক্রমে ডানাধীন রাখো কাকে

পঙ্‌ক্তি ভালোবাসত কতিপয় শব্দকে, আজ এরা নিবিড় হলো

সলিলসমাধি ঘটে গেছে, আক্রান্ত তুমি এখন এসেছ—

যখন আমাদেরই ওঠবার সময়, আমরা কি আর

বসে থাকতে পারি? সুচতুরভাবে দুটি পক্ষে ভিড়ে গেলে

এখন এসব বিপথগামী সুপরিকল্পিত পথে

দ্রুত চলে যাওয়া ছাড়া তেমন কাজ নেই।

যুক্তিতর্কের কাছাকাছি পৌঁছবার প্রয়াস দেখে মনে হয়

তুমি প্রচণ্ড স্বাধীন। আমরা

বয়ঃসন্ধিতে যখন পৌঁছেছি, তখন তুমি রীতিমতো

প্রথাবিরোধী। তোমার হাতের লেখা আমাদের কাছে

অতি পবিত্র। অস্মিতার ভারে এতকাল যতখানি করেছি ফলাহার

শাকাশী প্রাণীর কোষে যেসব নরম লুকিয়ে আছে, তাকেও কিছুটা খাও

সরলতা, এবার একটু একা থাকতে দাও।

অরুচি শরীরে, আসন্ন স্নিগ্ধের গান শুনে মনে হয়

আরও কিছুটা বাঁচি, কত কাজ বাকি আছে

কত নারীর কাছে প্রতিজ্ঞা করেছি মায়ের মতো

কত পুরুষের কাছে আমার সাবালক যৌবন

বড়োর মতো এগিয়ে দিয়েছি, কত শিশুর

সাথে তাদের ভাষায় করেছি যোগাযোগ—এ আর কবে লিখি বলো

মুষড়ে পড়া হয় না বহুকাল, জীবনের ধ্বনি শুনে

সিগারেট খেতে খেতে ভাবি, এখনই মরে যাওয়া হবে প্রচণ্ড গিমিক

সফলতার খোঁজে কিছু তো হলো না, সংজ্ঞা ভুলেছি, তাও—

সরলতা পিছু কেন ছাড়ছ না? একটু একা থাকতে দাও

একা থাকি, বড় ভালো লাগে।

শঙ্কিত হলে সঙ্গ দিতে আবার এসো।

অবিভক্তি

সুন্দরের মন খারাপ, মাধুর্যের জ্বর—

এমন সুন্দরের পাশে বসে ছিলাম একদিন। করতলে

মাথাপিছু একটি সূর্য নিয়ে ঘুরছি, আহা, এমন প্রতিভা

সচেতন বহুমুখী একটি হৃদয়, তাকে ডাকো

ক্রন্দনে ত্বরণ ঘটুক কিছুকাল, তবুও তো শীতল

থাকবে দেহ। প্রচুর জল শরীর থেকে নেবে

মৃদুস্বরে চলে যাবে, পেছনে তাকানোর কি আর জরুরত

এই বিঘ্নিত রাত্তিরে? অতএব

চূর্ণিকা, এসো—কোলাহল করো। বুকের সাথে

বুক মিশিয়ে সামগ্রিক জ্বরের অমুদ্রিত তাপ

খানিকটা দাও। কোথায় হারিয়েছি বোঝা যেত। পরস্পর,

এ সুন্দরের মন খারাপ, মাধুর্যের জ্বর।

নৈকট্যকক্ষে রয়েছ, অবিকল যেমনই আছ

তেমনই দেখেছি, তোমাকে। একদিন এসেছিলে

বিম্বের ভেতর থেকে ক্রমাগত একাধিক, আরও বেশি

কবিতা পড়ে আছে, সাহিত্যের আমিষ গন্ধে শরীরের

সবটুকু মেদ ঝরে পড়ে আছে নিরঙ্কুশ এস্প্লানেডে

আহা, বিতরণ কত ক্লান্তি, কত অস্পষ্ট চোখের ভেতর

সুন্দরের ভয়াবহ ক্লান্তি আজ, মাধুর্যের তীব্র জ্বর।

হ্যালোজেনের কাছাকাছি

আমরা কোথাও বসতে পারি বিমর্ষতার মাঝামাঝি।

করতে পারি রাত্রিযাপন শহর থেকে দূরে

গানবাজনার শরৎকালে টিপয় থেকে ব্যাগটা কাঁধে হাতটা তুলে উঁচুস্বরে।

আমরা কোথাও যেতে পারি

বসতে পারি দেয়ালগায়ে। পলেস্তারার মাংস খেয়ে

পেটটা তখন টুলু টুলু। শব্দ করে চলবে গাড়ি ডান কবাটে কিংবা বাঁয়ে।

আমরা কোথাও দাঁড়াতে পারি হ্যালোজেনের কাছাকাছি

বিষ বিষয়ে কতক কথা, সবার কথায় কান দেব না

শহরে থেকে খানিক দূরে, যুদ্ধ তখন কেবল শুরু

মানুষ পোড়ার সাঁ সাঁ ধ্বনি কানের কাছে শুধুই বাজে

আমরা কোথাও থামব নাকি? দেখব কারা ব্যস্ত কাজে—

দেখব কারা যাচ্ছে ছুটে সড়কপথে নোংরা বেগে

পুকুরপাড়ে ডাইনি থাকে, ঘাড় মটকায় বেদম রাগে

আমরা এখন ভুতুম থাকি, রাত্রিবেলায় বাঘারপাড়া

আমরা কোথাও থামব কি না—আমরা এখন শক্তিছাড়া

আমরা কোথাও বসতে পারি, বিষণ্নতার কাছাকাছি।

তোমরা থাকো যুদ্ধ নিয়ে। আমরা এখন শহর থেকে অনেক দূরে

অলাতচক্র

নিকটতম মানুষের হাতে হাত ধরা থাক

ক্রমাগত, আমাদের ইনফেরিওর ভবিষ্যৎ

জাগ্রত হতে শুরু করে, শতদ্রু যতদ্রুত বাক

সংক্ষেপ রচিত হয়, মস্তিষ্কের অকস্মাৎ

সৃজনীচতুর নিয়মনিচয় একনিষ্ঠ ভক্তের মতো

নির্বিঘ্নে বৃষ্টির দিনে আপতিত হয়, ক্ষতগুলোও

একই প্রকার, সুললিত কণ্ঠে ধরা পড়ে

শরতের শেষকালে বৈশিষ্ট্যহীন শীতের যত

এলোমেলো বেদনা—আমাদের হাতের ফাঁকে ঝরে

সারা মহাকাশ আলোকিত, সকলই বোঝার বাইরে

স্পষ্ট, ক্ষেত্রবিশেষে গাণিতিক বাক্যের বিলীয়মান

ধ্রুব রাশির বরকত–বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় স্থান

ও অলাতচক্রে পরিধিরেখা ভাগ করে, এমন ব্যাস ভালোবাসি।

পগাড়পারে যাই

পগাড়পারে যাই—বসে থেকে ভাবি

কখন আসবে নিঃসঙ্গ নৌকোর একখানা মন্দাগ্রস্ত ট্রেলার

স্রোতের আসন্ন কনফিউশন দূর হোক দ্রুত, এ–ও ভাবি

ভাবনার স্মারকগ্রন্থ খুলে দেখি বারবার

যা আছে লেখা, পাঠযোগ্য কি না

সমার্থক এই প্রশ্নের বিরুদ্ধে একটি ভ্রান্ত অভিযোগ

রাখা আছে। সুতরাং এসো শুরু করি বিনা

বাক্যব্যয়ে। বর্তমান কাজে অতীতের সংযোগ

মিলিয়ে দেখা এখনই জরুরি।

‘তবুও তো ক্লান্ত করো’—সিসিলিয়ানের বিরূপ

একটি তাগড়া ঘোড়া চলে আড়াই পায়ে

কখন আসবে চেকমেটের একান্ত তছরুপ

বোর্ড পেতে বসে থাকি সম্ভাবনার উন্মুক্ত নায়ে—

কে কাকে করে আউটপ্লে, কার দৌড় শেষ হলো কোথায়

উদ্ভট সাবজেক্টের ভিড়ে এ-ই একমাত্র ধ্যান

পর্যুদস্ত আবহাওয়াবিদ হয়ে যাওয়া বাকি, ছায়ায়

যেহেতু লুকোনো থাকে রেকলেস বর্ষার ট্রেন

উত্তম মদের পাখি—নেশাতুর সুলভ দুটি ডানা

উড়ুক্কু চিলের সকাল—বাসভূমে লিপিবদ্ধ থাকো তাই

স্রোতের আসন্ন কনফিউশন দূরীকরণ শেষে

এই দেখো, দুর্লভ তোমাকে কেমন ভাবাই!

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ন দর র আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

সোমবার শুরু জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ, উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা

‘অভয়াশ্রম গড়ে তুলি, দেশি মাছে দেশ ভরি’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ১৮ থেকে ২৪ আগস্ট দেশব্যাপী উদ্‌যাপিত হবে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৫। দেশের মৎস্য সম্পদের সম্প্রসারণ, সংরক্ষণ, উন্নয়ন এবং টেকসই ব্যবহারে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে মৎস্য সপ্তাহ পালন করা হবে। 

সোমবার (১৮ আগস্ট)  সকাল ১০টায় বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে মৎস্য সপ্তাহ উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এতে সভাপতিত্ব করবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মৎস্য খাতে অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৬ জন ব্যক্তি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় মৎস্য পদক ২০২৫ প্রদান করা হবে। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে যথাক্রমে স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জের পদক বিতরণ করা হবে।

সারা দেশে সপ্তাহব্যাপী র‌্যালি, সেমিনার, প্রযুক্তি প্রদর্শন, আলোচনা সভা, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, মতবিনিময় সভা, সমাপনী এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচি হিসেবে থাকছে
১৮ আগস্ট বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে সকাল ১০টায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৫ এর আনু্ষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন ও মৎস্য পদক বিতরণ অনুষ্ঠান।
১৯ আগস্ট সকাল সাড়ে ৮টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে সড়ক র‌্যালি, সকাল ১০টায় বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে প্রযুক্তি প্রদর্শন ও ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আলোচনা সভা।

২০ আগস্ট সকাল ১০টায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি)-এ মৎস্য অভয়াশ্রমের গুরুত্ব ও ভবিষ্যৎ করণীয় বিষয়ক সেমিনার।

২১ আগস্ট সকাল ১০টায় কারওয়ান বাজার মৎস্য আড়তে মৎস্য বিষয়ক আলোচনা সভা ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন।

২২ আগস্ট সকাল ১০টায় চট্টগ্রামে মৎস্য ও মৎস্যপন্য রপ্তানি বৃদ্ধিতে সম্ভাবনা ও করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা।

২৩ আগস্ট সকাল ১০টায় মৎস্যভবনে মৎস্যজীবী, মৎস্যচাষী, জেলে এবং আড়ৎদারদের সাথে মতবিনিময় সভা ও ভ্রাম্যমাণ প্রচার প্রচারণা।

২৪ আগস্ট বিকেল ৪টায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি)-এ জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৫ এর মূল্যায়ন, সমাপনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনের মাধ্যমে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৫ এর সমাপ্তি হবে।

জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মসূচি হিসেবে থাকছে: প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় র‌্যালি, উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, সফল মৎস্য উদ্যোক্তাদের পুরস্কার প্রদান, পোনা অবমুক্তকরণ, মতবিনিময় সভা, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, নিরাপদ মাছ চাষ ক্যাম্পেইন, তরুণদের অংশগ্রহণে কর্মশালা, কুইজ ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং মৎস্যজীবীদের নিয়ে ক্রীড়া আয়োজনসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সপ্তাহের শেষ দিনে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৫ এর মূল্যায়ন, সমাপনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনের মাধ্যমে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৫ এর সমাপ্তি হবে।

জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৫ সফলভাবে উদ্‌যাপনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সকল সংগঠন, মৎস্যজীবী, উদ্যোক্তা ও জনগণের সহযোগিতা কামনা করছে।

ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনার কারণে ২২ জুলাই জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৫-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানসহ সকল কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। এ ঘটনায় নিহতদের প্রতি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় গভীর শোক ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছে।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ