‘বড় ভাই আসবেনে, খুশি হয়ে কিছু দিবা’, চাঁদা দাবির অভিযোগ ২ ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে
Published: 6th, July 2025 GMT
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) এক দোকানদারের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রদলের দুই নেতার বিরুদ্ধে। চাঁদা না দিলে তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার অনুষদ ভবন সংলগ্ন আব্দুল আহাদের দোকানে এ ঘটনা ঘটে। চাঁদা দাবি করা ছাত্রদল নেতারা হলেন- ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী উল্লাস মাহমুদ এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন। তারা নিয়মিত ছাত্র নন এবং শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদের অনুসারী বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী দোকানি বিচার চেয়ে আজ (শনিবার) বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলেও প্রায় দুই ঘণ্টা পর তা প্রত্যাহার করে নেন। তার দাবি, অভিযুক্তরা মাফ চাওয়ায় তিনি অভিযোগ তুলে নিয়েছেন। তবে মাফ চাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন অভিযুক্তরা।
লিখিত অভিযোগ অনুযায়ী, কয়েকদিন আগে ছাত্রদল নেতা উল্লাস দোকানিকে দোকান বন্ধ করার কথা জানান। কিন্তু দোকান বন্ধ না করায় শনিবার দুপুর একটার দিকে সাব্বিরকে নিয়ে দোকানে যান উল্লাস। এ সময় চাঁদা দাবি করেন তারা। চাঁদা না দিলে দোকানি আহাদকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন তারা। এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী আব্দুল আহাদ বলেন, ‘একদিন উনারা আমাকে ফোন দিয়ে দেখা করতে বলেন। আমি ক্যাম্পাসে এসে দেখা করার পর তারা বলে, তুমি কি দোকানদারি করবা নাকি ছেড়ে দিবা?’ আমি বললাম দোকানদারি করব। সেদিন আর তেমন কিছু বলেনি। আজকে আবার ছাত্রদলের উল্লাস ভাই আর সাব্বির ভাই আমাকে দোকানের বাইরে ডেকে নিয়ে বলেন, তোমাকে এর আগে একবার বলেছিলাম। আজকে আবার বলছি যে, কিছু টাকাপয়সা দেও। দেও বলতে বড় ভাই আসেবেনে তারে দিবা। আমি বলে দিবানে। তোমার কোনো সমস্যা হইলে আমরা দেখব। আজকে শনিবার, বুধবারের মধ্যে টাকা দিবা। বড় ভাই আসবেনে, তুমি খুশি হয়ে কিছু দিবা।’
পরে অভিযোগ তুলে নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি অভিযোগ দেওয়ায় তারা আমার কাছে এসেছিল। আমার কাছে মাফ চেয়ে গেছে। বলেছে, যা হওয়ার হয়ে গেছে অভিযোগটা তুলে নাও। তাই আমি অভিযোগ তুলে নিয়েছি।’
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত উল্লাস মাহমুদ ও সাব্বির হোসেন বলেন, ‘আমরা আহাদের দোকানেই যাইনি। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন কথা।’ এছাড়া মাফ চাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা জানান, তারা আজকে (শনিবার) আহাদের দোকানে যাননি।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ বলেন, ‘উভয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলছে, এসব কিছুই জানে না। ছাত্রদল করে চাঁদাবাজির কোনো সুযোগ নেই। যদি কেউ এমন করে থাকে আমরা সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেব। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেও ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাব।’
প্রক্টর অধ্যাপক ড.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ছ ত রদল ছ ত রদল র দ ক নদ র উল ল স
এছাড়াও পড়ুন:
শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।
দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।
ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।
৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।
ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট