খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে এক নারী নিহত হয়েছেন। তিনি মোটরসাইকেলটির আরোহী। আজ শনিবার সকাল ৯টার দি‌কে মাটিরাঙা সেনা জোনসংলগ্ন সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ওই নারীর নাম দিবালা ত্রিপুরা (৪৫)। তিনি গুইমারা উপজেলার আরবা‌রি এলাকার ধনচন্দ্র ত্রিপুরার স্ত্রী। একই দুর্ঘটনায় শ্যামল বিকাশ ত্রিপুরা (৩১) নামের একজন আহত হয়েছেন। তিনি মোটরসাইকেলটির চালক এবং গুইমারা উপজেলার আরবা‌রি এলাকার বাঁশিমোহন ত্রিপুরার ছে‌লে।

পুলিশ জানায়, খাগড়াছড়ি থে‌কে সকাল আটটায় ছেড়ে আসা শান্তি পরিবহনের বাসটি চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। মাটিরাঙ্গা সেনা জোনসংলগ্ন পাহাড়ে ওঠার সময় সেলাই প্রশিক্ষণকেন্দ্রের সামনে বিপরীত ‌দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় বাসটির। এ সময় মোটরসাইকেলে থাকা দিবালা ত্রিপুরা ও শ্যামল বিকাশ ত্রিপুরা গুরুতর আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের উদ্ধার ক‌রে মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নি‌য়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক দিবালা ত্রিপুরাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন এবং অপরজন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মাটিরাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তৌ‌ফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, দুর্ঘটনার পর বাসটি রেখে চালক পালিয়ে গেছেন। বাস ও মোটরসাইকেলটি বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেমের টানে ভারতে গিয়ে গ্রেপ্তার বাংলাদেশি তরুণী

প্রেমের টানে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে এক বাংলাদেশি তরুণী গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাকে অনুপ্রবেশে সহায়তা করার অভিযোগে তার প্রেমিক ভারতীয় নাগরিককেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ত্রিপুরার সেপাহিজলা জেলায়। অভিযুক্তরা বর্তমানে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন।

জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিএসএফ তাদের আটক করে। পরে স্থানীয় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। 

গ্রেপ্তার ওই বাংলাদেশি তরুণীর নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে তিনি বাংলাদেশের বগুড়া জেলার বাসিন্দা বলে জানানো হয়েছে। আর তার প্রেমিকের নাম দত্ত যাদব। তিনি কর্ণাটকের বাসিন্দা। 

পুলিশ জানায়, ওই বাংলাদেশি তরুণী একসময় মুম্বাইয়ের একটি বিউটি পার্লারে কাজ করতেন। পরে বেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি সংস্থায়  যোগ দেন। এসময় কর্ণাটকের বাসিন্দা দত্ত যাদবের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়। তবে কয়েক মাস আগে ওই তরুণী আবার বাংলাদেশে চলে যায়। প্রেমিকের অনুরোধ রাখতে আবার ভারতে আসেন। তবে তার সঙ্গে পাসপোর্ট ও ভিসা ছিল না। তাই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় অনুপ্রবেশে সহায়তা করায় তার প্রেমিক দত্ত যাদবকেও গ্রেপ্তার করা হয়। 

পুলিশ আরও জানায়, তারা ত্রিপুরা থেকে বেঙ্গালুরুতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন। এসময় বিএসএফ তাদের আটক করে। 

অভিযুক্তদের ভারতীয় পাসপোর্ট আইন এবং ১৪ ফরেনারস অ্যাক্ট ও ভারতীয় ন্যায় সংহিতার অধীন বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানায় পুলিশ। 

ত্রিপুরা রাজ্যের পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, ওই বাংলাদেশি তরুণীকে ভারতে অনুপ্রবেশে কোনো দালাল সহযোগিতা করেছে কি না তা খুঁজে বের করা হচ্ছে। সেটি মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।  

সম্পর্কিত নিবন্ধ