রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় একটি হিমাগারে অস্ত্রের মুখে নিরাপত্তারক্ষী ও শ্রমিকদের জিম্মি করে ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। এতে প্রায় ১৩ লাখ টাকার মালামাল ও নগদ অর্থ লুট হয়েছে বলে দাবি করেছে হিমাগার কর্তৃপক্ষ।

মোহনপুর উপজেলার কানাইখালী এলাকায় অবস্থিত দেশ কোল্ড স্টোরেজে সোমবার (৪ আগস্ট) দিবাগত গভীর রাতে ডাকাতি হয়। হিমাগার কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০-২৫ জনের সংঘবদ্ধ ডাকাতদল হিমাগারে হানা দেয়। তারা ভেতরে ঢুকে নিরাপত্তারক্ষীসহ ১৮ জন শ্রমিককে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বেঁধে ফেলেন। এরপর পাওয়ার হাউজ, বিদ্যুৎ ও প্রকৌশল বিভাগ থেকে নতুন ও পুরাতন ধাতব মালামাল লুট করে নেয় ডাকাতরা। একইসঙ্গে শ্রমিক সরদারের কাছে থাকা ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। 

হিমাগারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বজলুর রহমান জানান, ডাকাতরা তালা ভেঙে যন্ত্রাংশ, গান মেটাল, জার্নাল বিয়ারিংসহ ওয়ার্কশপ হাউজের বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যায়। ভোরে এক শ্রমিক কৌশলে হাত খুলে ফেলে এবং হুইসেল বাজান। তখন অন্য শ্রমিকরাও মুক্ত হন।

খবর পেয়ে মোহনপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, ‘‘ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে যাই। তদন্ত চলছে। ডাকাতির ঘটনায় হিমাগারের কেউ জড়িত আছে কি না, সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ 
 

ঢাকা/কেয়া/বকুল 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

যারা জুলাই বিপ্লব মানবেন না, তাদের জন্য নির্বাচন নাই: জামায়াত আম

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘‘যারা জুলাই বিপ্লব মানবেন না, তাদের জন্য ২৬ সালে কোনো নির্বাচন নাই। ২৬-এ নির্বাচন দেখতে হলে আগে জুলাই বিপ্লবের স্বীকৃতি লাগবে। আর জুলাই বিপ্লবের স্বীকৃতি দিতে হলে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতেই হবে।’’ 

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর পল্টন মোড়ে জামায়াতসহ আন্দোলনরত ৮ দলের আয়োজনে ‘জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও উক্ত আদেশের ওপর গণভোট আয়োজন’সহ ৫ দফা দাবিতে সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

শফিকুর রহমান বলেন, ‘‘সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের মতামতের ভিত্তিতে জুলাই সনদ প্রণীত হয়েছে। গণতন্ত্রের কথা হলো, সংখ্যাগরিষ্ঠরা যা বলবে, বাকিদের তা মেনে নিতে হবে। কিন্তু কেউ কেউ সেটি মেনে নিতে রাজি নয়। জুলাই সনদেই যদি কেউ গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা না দেখায়, জাতীয় নির্বাচনের প্রতি তারা শ্রদ্ধা কীভাবে দেখাবে?’’

‘‘আমাদের দাবি কম, কিন্তু খুব সুস্পষ্ট। জুলাই বিপ্লবকে স্বীকৃতি দিতে হবে। আর জুলাই বিপ্লবের স্বীকৃতি দিতে হলে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতেই হবে। এই আইনি ভিত্তি ছাড়া কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠান হওয়ার সম্ভাবনা নাই।’’ 

শফিকুর রহমান আরো বলেন, ‘‘দলগুলো একমত হয়ে যখন জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছে তখন গণভোট আগে হওয়াই যুক্তিযুক্ত। এর ভিত্তিতে আগামী নির্বাচন হলে কোনো সন্দেহ-সংশয় থাকবে না। জামায়াতসহ আট দল আগামী ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগে জাতীয় নির্বাচন চায়।’’

সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব ইউনুছ আহমাদ, জ্যেষ্ঠ প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজাদ্দিদ বিল্লাহ আল মাদানী, খেলাফত মজলিসের আমির আবদুল বাসিত আজাদ ও যুগ্ম মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক, মহাসচিব জালালুদ্দিন আহমদ, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির আমির সরওয়ার কামাল আজিজি, মহাসচিব মুসা বিন ইযহার, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, মহাসচিব ইউসুফ সাদিক হক্কানী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি ও মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম প্রমুখ। 

ঢাকা/রায়হান//

সম্পর্কিত নিবন্ধ