চালকের ‘ঘুমে’ নিহত ৭, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হয়নি
Published: 7th, August 2025 GMT
মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় লক্ষ্মীপুরের একই পরিবারের সাত জন প্রাণ হারানোর পর মাইক্রোবাসের চালক আকবর হোসেন (২৪) এখনো গ্রেপ্তার হয়নি। নিহতদের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন, চোখে ঘুম নিয়ে গাড়ি চালানোর কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (৬ আগস্ট) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ পূর্ব বাজারে মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। এতে তিন শিশু সাত জন নিহত হয়। দুর্ঘটনা কবলিতদের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ উপজেলার উত্তর চৌপল্লী গ্রামে।
দুর্ঘটনা কবলিত মাইক্রোবাসের আহত যাত্রীদের বরাত দিয়ে তাদের স্বজন আব্দুর রহিম বলেন, ‘‘চালকের ঘুমের কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তার কারণে আমার পরিবার ধ্বংস হয়ে গেছে। এখনো পর্যন্ত পুলিশ চালককে ধরতে পারেনি। আমরা মামলা করব এবং তাকে ছাড়ব না।’’
আরো পড়ুন:
সুনামগঞ্জে পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার
মেরামতের দুই মাসেই ফের বেহাল মানিকপুর সড়ক
চালক আকবর হোসেন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার হাজিরপাড়া ইউনিয়নের হাসানপুর গ্রামের মৃত ফয়েজ আহমেদের ছেলে। দুর্ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।
প্রবাসী বাহার, তার বাবা আব্দুর রহিম ও শ্বশুর ইস্কান্দার মির্জা জানান, আড়াই বছর পর ওমান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন বাহার উদ্দিন। তাকে আনতে গিয়ে পরিবারের ১১ সদস্যের সবাই রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে মাইক্রোবাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রায় ৩০ মিটার গভীর খালে পড়ে যায়।
দুর্ঘটনায় বাহারের মা, দুই পুত্রবধূ, তিন নাতনি ও শাশুড়ি মারা যায়। প্রাণে বেঁচে ফিরেছেন বাহার, তার বাবা, শ্বশুরসহ চারজন। পরিবার সদস্যরা জানান, বাহারের দুই ভাই রুবেল ও রনি বিদেশ থেকে ফিরলে চালকের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
এই দুর্ঘটনায় লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ উপজেলার উত্তর চৌপল্লী গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়দের দাবি, অবহেলাজনিত এই মৃত্যুর দায় থেকে চালককে কোনোভাবেই ছাড়া দেয়া যাবে না।
চালককে আটকে পুলিশ কাজ করছে বলে জানিয়েছেন চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
ঢাকা/জাহাঙ্গীর/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন সড়ক দ র ঘটন ন হত লক ষ ম প র পর ব র র উপজ ল র দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
আকবররা যাচ্ছেন কাতার
আগামী ১৪ নভেম্বর থেকে কাতারে অনুষ্ঠিত হবে এশিয়া কাপ রাইজিং স্টারস টুর্নামেন্ট। যেখানে খেলবে বাংলাদেশও। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) আয়োজিত টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এশিয়া কাপ রাইজিং স্টারসে অংশগ্রহণের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আকবর আলীর নেতৃত্বে খেলতে যাবে বাংলাদেশ 'এ' দল।
দলে সুযোগ পেয়েছেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে আলো ছড়ানো জিসান আলম, আরিফুল ইসলাম, জাওয়াদ আবরার, মেহেরব হাসান অহিনদের ক্রিকেটারদের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন আবু হায়দার রনি, ইয়াসির আলি চৌধুরি, মাহিদুল ইসলাম ভুঁইয়া ও মোহাম্মদ মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরিকে নেওয়া হয়েছে দলে।
প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের গ্রুপে রয়েছে আফগানিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা। 'বি' গ্রুপের চার দল ভারত, পাকিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমান। দুই গ্রুপের সেরা দুই দলকে নিয়ে ২১ নভেম্বর হবে সেমি-ফাইনালের দুই ম্যাচ। আর ২৩ তারিখ শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ দিয়ে পর্দা নামবে এই টুর্নামেন্টের।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সাল থেকে চলতে থাকা ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপের নামই এবার বদলে করা হয়েছে রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপ।
বাংলাদেশ স্কোয়াড:
জিসান আলম, হাবিবুর রহমান সোহান, জাওয়াদ আবরার, আরিফুল ইসলাম, আকবর আলী (অধিনায়ক), ইয়াসির আলী চৌধুরী, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, রাকিবুল হাসান, মেহেরব হাসান অহিন, আবু হায়দার রনি, তোফায়েল আহমেদ, মোহাম্মদ স্বাধীন ইসলাম, রিপন মণ্ডল, আব্দুল গাফফার সাকলাইন ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী।
বাংলাদেশের ম্যাচের সূচি:
বাংলাদেশ বনাম হংকং: ১৫ নভেম্বর
বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান: ১৭ নভেম্বর
বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা: ১৯ নভেম্বর
ঢাকা/ইয়াসিন