চুলের কোমলতা ধরে রাখার জন্য হেয়ার স্পা করা খুব জরুরি। পার্লারে গিয়ে স্পা করাতে না চাইলে ঘরেই প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে চুল স্পা করে নিন। তিনটি উপায় জানিয়ে দিচ্ছি। 

নারকেলের দুধ
নারকেলের দুধ চুলে ব্যবহার করতে পারেন। নারকেলের দুধে ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা চুলের আর্দ্রতা জোগায়। বাজারচলতি নারকেলের দুধ নিতে পারেন, আবার ডাবের শাঁস মিক্সিতে পেস্ট করে নিতে পারেন। নারকেলের দুধে ১ টেবিল চামচ কর্নফ্লাওয়ার, ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল, ১ টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে নিন। ভালো করে ফেটিয়ে নেবেন। এই ক্রিম চুলে মেখে ১ ঘণ্টা বসে থাকুন। শ্যাম্পু করে নিলেই পেয়ে যাবেন নরম ও মসৃণ চুল।

আরো পড়ুন:

দুই সপ্তাহ চিনি না খেলে শরীরে যেসব পরিবর্তন আসে

বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু মানবপিরামিড

অ্যালোভেরা ক্রিম
চুলেও জেল্লা ফেরাতে সহায়ক অ্যালোভেরা। ২ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে ২ টেবিল চামচ নারকেল তেল, ২টি ভিটামিন ই ক্যাপসুলের নির্যাস এবং ১ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে নিন। তৈরি হেয়ার স্পায়ের ক্রিম। শ্যাম্পু করে আধ ভেজা চুলে এই হোমমেড ক্রিম লাগিয়ে নিন। ৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। তার পরে শ্যাম্পু করে নিলেই কাজ শেষ।

তিসি ও চালের হেয়ার ক্রিম
অল্প পানিতে ২ টেবিল চামচ তিসির বীজ এবং চাল ফুটিয়ে নিন। ঘন হয়ে গেলে নামিয়ে নিন। মিশ্রণটি ছেঁকে নিন। এতে পানিতে গুলিয়ে রাখা ১ টেবিল চামচ কর্নফ্লাওয়ার, ১ টেবিল চামচ নারকেল তেল  একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটা ভালো করে ফেটিয়ে নিন। তৈরি হেয়ার ক্রিম। এই ক্রিমও ১ ঘণ্টা চুলে মেখে বসে থাকতে হবে।  বাড়িতে হেয়ার স্পা করলে গরম তোয়ালে চুলে মুড়ে রাখতে পারেন। এতে স্যালোঁর মতোই ফল পাবেন। 

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চ ল র যত ন ন রক ল র দ ধ

এছাড়াও পড়ুন:

ইতিবাচকভাবে দেখছে জামায়াতে ইসলামী

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দেওয়া জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায়-সম্পর্কিত সুপারিশকে ‘ইতিবাচকভাবে’ দেখছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এখন এর বাস্তবায়নে অবিলম্বে আদেশ জারি এবং আইনি ভিত্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে দলটি।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় জামায়াতের প্রতিনিধিত্ব করা দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের গতকাল মঙ্গলবার রাতে প্রথম আলোকে দেওয়া তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ দাবি জানান।

আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, ‘আমরা কমিশনের সুপারিশকে ইতিবাচকভাবে দেখছি। অবিলম্বে সনদ বাস্তবায়নের আদেশ দেওয়ার দাবি করছি। সেই সঙ্গে জাতীয় নির্বাচনের আগে আগামী নভেম্বরের মধ্যে গণভোটের মাধ্যমে আইনি ভিত্তি দেওয়ার দাবি করছি।’

জামায়াত শুরু থেকেই জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আদেশ জারি এবং এর আইনি ভিত্তি দিতে গণভোটের দাবি করে আসছে। সে গণভোট জাতীয় নির্বাচনের আগেই আয়োজনের দাবি করছে দলটি।

জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট কেন—সে বিষয়ে গতকাল পৃথক বক্তব্য দিয়েছেন দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। তাঁর নেতৃত্বে গতকাল দুপুরে জামায়াতের সাত সদস্যের প্রতিনিধিদল প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে দলের পক্ষ থেকে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে নির্বাচন কমিশনকে ১৮ দফা সুপারিশ জমা দেওয়া হয়। সে ১৮ দফায় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজনের সুপারিশও ছিল বলে জানান তিনি।

মিয়া গোলাম পরওয়ার সাংবাদিকদের বলেন, ‘১৮ দফার মধ্যে গণভোটকে নির্বাচনের আগে করতে হবে।...জুলাই জাতীয় সনদে সেসব বিদ্যমান রাষ্ট্রকাঠামোকে পরিবর্তন করে যে সংস্কারগুলোর ব্যাপারে আমরা ঐকমত্য হয়েছি, জাতিকে তো সেটা জানতে হবে। জানার পরেই না তারা “হ্যাঁ”, “না” ভোট দেবে। যদি একই দিনে ভোট হয়, তাহলে ভোটাররাও তো জানতে পারল না।’ এ ছাড়া একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট হলে জটিলতা দেখা দিতে পারে বলেও মনে করে জামায়াত।

সম্পর্কিত নিবন্ধ