সোনারগাঁয়ে এডিস মশা নিধনে জুলফিকার ফাউন্ডেশন
Published: 10th, October 2025 GMT
সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় এডিস মশার প্রকোপ ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিগত এক বছরে ওই এলাকায় এডিস মশার কামড়ে শিশু ও নারী-পুরুষসহ তিন শতাধীক লোক ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এরই মধ্যে আক্রান্ত এক কলেজ শিক্ষক ও এক মাদ্রাসা ছাত্রসহ কমপক্ষে ৩ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত হয়েছে।
এডিস মশা নিধনে এবার স্থানীয় মোগরাপাড়া চৌরাস্তা, বাড়ি মজলিশ, বাড়ি চিনিষ, সাদীপুর ও লালাহপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় উদ্যােগ গ্রহণ করেছে বিসমিল্লাহ এনএম জুলফিকার ফাউন্ডেশন নামের একটি সামাজিক ও মানবিক সংগঠন। মানবতার সেবা-ই মুক্তির সোপান এ স্লোগানকে সামনে রেখে শুক্রবার বিকেলে মশা নিধন মেশিন (ফাস্ট ফগার) ও মসকিউটো লিকুইড ঔষধ সামগ্রী জনগনের মাঝে বিতরণ করেন।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান, বিসমিল্লাহ এনএম জুলফিকার ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোক্তার হোসেন, সাংবাদিক আল আমিন তুষার, মশিউর রহমান, ইমরান হোসেন, কামরুল ইসলাম পাপ্পুসহ স্থানীয় বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
বিসমিল্লাহ এনএম জুলফিকার ফাউন্ডেশনের পক্ষে মশা নিধন মেশিন (ফাস্ট ফগার) ও মসকিউটো লিকুইড ঔষধ সামগ্রী জনগণের মাঝে বিতরণ করেন- ফাউন্ডেশনটির ভাইস চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোক্তার হোসেন।
এসময় মোক্তার হোসেন বলেন, মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় এডিস মশার প্রকোপ ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিগত এক বছরে ওই এলাকায় এডিস মশার কামড়ে শিশু ও নারী-পুরুষসহ তিন শতাধীক লোক ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছে।
এরই মধ্যে আক্রান্ত এক কলেজ শিক্ষক ও এক মাদ্রাসা ছাত্রসহ কমপক্ষে ৩ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বিসমিল্লাহ এনএম জুলফিকার ফাউন্ডেশন এডিস মশা নিধনে এখন থেকে ওই এলাকায় সবসময় কাজ করবে। মশা নিধনে মসকিউটো লিকুইড ঔষধ স্প্রে করবে।
প্রয়োজনে যে কেউ মশা নিধনে ফাউন্ডেশনের কাছ থেকে ফাস্ট ফগার মেশিন ও মসকিউটো লিকুইড ঔষধ সামগ্রী বিনামূল্যে সংগ্রহ করতে পারবেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
রুরাল পাওয়ার কোম্পানিতে নির্বাহী পরিচালক পদে চাকরি, বয়স ৪৫ হলেও আবেদন
নির্বাহী পরিচালক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (আরপিসিএল)। প্রথমে তিন বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হবে। সর্বোচ্চ ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত আরও দুটি মেয়াদে (প্রতিটি ৩ বছর) চুক্তি নবায়ন করা যেতে পারে। ১৯ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।
পদের নাম ও বিবরণনির্বাহী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন)
পদসংখ্যা: ০১
নিয়োগের ধরন: চুক্তিভিত্তিক (প্রাথমিকভাবে ৩ বছর)। যোগ্য প্রার্থীর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৬৫ বছর পর্যন্ত দুই মেয়াদে (প্রতিটি ৩ বছর) নবায়নের সুযোগ থাকবে।
দায়িত্বগুলো১. কোম্পানির বিদ্যুৎ উৎপাদনব্যবস্থার জন্য প্রকল্প প্রোফাইল প্রস্তুতসহ পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা ও সমন্বয় করা এবং সুশাসনের নীতিমালা অনুযায়ী প্রযোজ্য সব আইন, বিধি ও নীতিমালা মেনে চলা নিশ্চিত করা।
২. প্রযুক্তিগত সমীক্ষা পরিচালনা, কৌশল ও নীতিমালা প্রণয়ন, এবং প্রকল্পের কার্যকর পরিকল্পনা নিশ্চিত করা; এর মধ্যে ইঞ্জিনিয়ারিং, নির্মাণ ও তত্ত্বাবধান অন্তর্ভুক্ত। PDFP, DPP, GSA/FSA, PPA, PCR, প্রি-ফিজিবিলিটি স্টাডি, টেন্ডারিং ও কন্ট্রাক্ট ম্যানেজমেন্টে পারদর্শী হতে হবে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: যেকোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়/প্রতিষ্ঠান থেকে যন্ত্রপ্রকৌশল/ ইলেকট্রিক্যাল/ ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং (EEE)-এ স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। গ্রেডিং পদ্ধতিতে উত্তীর্ণ প্রার্থীর ন্যূনতম GPA থাকতে হবে ৫-এর মধ্যে ৩.৫ এবং ৪-এর মধ্যে ২.৫। প্রচলিত পদ্ধতিতে (ক্লাস/ডিভিশন) উত্তীর্ণ হলে ন্যূনতম ২য় বিভাগ/ক্লাস থাকতে হবে। কোনো পর্যায়েই ৩য় বিভাগ/ক্লাস গ্রহণযোগ্য নয়।
অভিজ্ঞতা: সরকারি খাতে (GoB/SOE/স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান) প্রার্থীর কমপক্ষে ১৮ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে, যার মধ্যে কমপক্ষে ৩ বছর সিনিয়র ব্যবস্থাপনায় (জাতীয় বেতন স্কেল গ্রেড ৪ বা তার ঊর্ধ্বে) বিদ্যুৎ খাতে থাকতে হবে।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিদ্যুৎ খাতের কোম্পানিতে (SOC) কমপক্ষে ১৮ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে, যার মধ্যে কমপক্ষে ৩ বছর সিনিয়র ব্যবস্থাপনায় (DGM বা সমমান ও তার ঊর্ধ্বে)।
বেসরকারি খাতে আবেদনকারীর কমপক্ষে ১৮ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে, যার মধ্যে ৩ বছর বিদ্যুৎ খাতের সুপরিচিত প্রতিষ্ঠানে সিনিয়র ব্যবস্থাপনা বা নেতৃত্ব পর্যায়ে থাকতে হবে। অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেটে দায়িত্বগুলো বিস্তারিতভাবে উল্লেখ থাকতে হবে।
বিদ্যুৎ উৎপাদন/সঞ্চালন/বিতরণ ইউটিলিটি–সংক্রান্ত পরিকল্পনা বা প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় কমপক্ষে ৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
আরও পড়ুনএই ‘ভুলে ভরা’ বিসিএস প্রশ্নপত্র কারা তৈরি করল৮ ঘণ্টা আগেবয়সসীমান্যূনতম: ৪৫ বছর
সর্বোচ্চ: ৬০ বছর
বেতন ও ভাতামূল বেতন: ১,৪৯,০০০ টাকা।
গ্র্যাচুইটি, কনট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্রুপ ইন্স্যুরেন্স, লিভ এনক্যাশমেন্ট, চিকিৎসা ব্যয়ের পুনর্ভর্তি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা কোম্পানির নীতিমালা অনুযায়ী প্রযোজ্য হবে।
আবেদনের পদ্ধতি১। আগ্রহী প্রার্থীদের নির্ধারিত আবেদন ফরম পূরণ করে ৩ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, এনআইডি, সব একাডেমিক ও অভিজ্ঞতার সনদপত্র সংযুক্ত করতে হবে এবং নির্দিষ্ট স্থানে স্বাক্ষর করতে হবে। মৌলিক সনদপত্র মৌখিক পরীক্ষায় যাচাই করা হবে।
২। পূরণকৃত ফরম ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র অফিস সময় (সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা) এর মধ্যে জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুনবিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে নেবে ৪০ জন, চাকরি পেতে করুন আবেদন৫ ঘণ্টা আগেআবেদনের ঠিকানাজেনারেল ম্যানেজার (এইচআরএম), বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (ইজিসিবি), ইউনিক হাইটস (১৫ তম তলা), ১১৭ কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ, ইস্কাটন গার্ডেন, ঢাকা-১২১৭।
আবেদনের সময়সীমা১৯ অক্টোবর ২০২৫
নির্দেশনা১। সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের প্রার্থীদের এনওসি বা যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
২। কেবল সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত প্রার্থীদের সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হবে।
৩। সাক্ষাৎকারে অংশগ্রহণের জন্য কোনো টিএ/ডিএ দেওয়া হবে না।
বিস্তারিত জানতে ও আবেদন করতে ভিজিট করুন https://rpcl.gov.bd/
আরও পড়ুনএমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান হাসনাতের১ ঘণ্টা আগে