শেরপুরে অগ্নিকাণ্ডে ৫ দোকান ভস্ম, কোটি টাকার ক্ষতি
Published: 8th, October 2025 GMT
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্ত ঘেঁষা বারোমারী মিশন মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পাঁচটি দোকান পুড়ে ভস্ম হয়ে গেছে।
বুধবার (৮ অক্টোবর) ভোরে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো মার্কেটে।
আরো পড়ুন:
সাড়ে ৪ ঘণ্টার চেষ্টায় কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে
আশুলিয়ায় পোশাক কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৮ ইউনিট
আসন্ন তীর্থ উৎসবকে ঘিরে দোকানগুলোতে মজুত ছিল বিপুল পরিমাণ পণ্যসামগ্রী। চোখের পলকে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। এতে কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা।
ফায়ার সার্ভিস, বারোমারী ও চৌকিদার টিলার বিজিবি সদস্যরা দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। পরে পুড়ে যাওয়া মালামাল সরাতেও সহযোগিতা করেন বিজিবি সদস্যরা।
মিশন কর্তৃপক্ষ জানান, মার্কেটের ভাড়ার আয়ে তাদের দৈনন্দিন ব্যয় নির্বাহ করা হত। অন্যদিকে এসব দোকানের ওপরই নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করতেন স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে তারা এখন নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন।
নালিতাবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার ও টিম লিডার জাকারিয়া ইসলাম বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “একটি কাপড়ের দোকানের বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে কাজ চলছে।”
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আক্তার ববি বলেন, “আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের আবেদন সাপেক্ষে তাদের সরকারিভাবে আর্থিক সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে।”
ঢাকা/তারিকুল/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আগ ন ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
সিদ্ধিরগঞ্জে বলাৎকারের অভিযোগ মাদ্রাসা শিক্ষক আটক, গণপিটুনি
সিদ্ধিরগঞ্জে দশ বছরের এক মাদরাসা ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে এক শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি প্রকাশ পেলে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী অভিযুক্ত শিক্ষক ও মাদরাসার প্রিন্সিপালকে গণপিটুনি দেয়।
বুধবার (৮ অক্টোবর) রাতে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৯নং ওয়ার্ডের জালকুড়ি ইসলামিয়া ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার ৩ অক্টোবর রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই মাদরাসার শিক্ষক মো. সাইফুল ইসলাম (২৭) ভয়-ভীতি দেখিয়ে তৃতীয় তলার বাথরুমে নিয়ে দশ বছরের এক ছাত্রকে বলাৎকার করেন।
ঘটনাটি পরদিন ছাত্রটি মাদরাসার প্রিন্সিপাল মিজানুর রহমানকে জানালে তিনি কাউকে কিছু না বলতে ভয় দেখান বলে অভিযোগ রয়েছে।
ঘটনাটি বুধবার রাতে স্থানীয়দের মধ্যে জানাজানি হলে ক্ষিপ্ত এলাকাবাসী রাত পৌনে ৯টার দিকে অভিযুক্ত শিক্ষক ও প্রিন্সিপালকে ধরে গণপিটুনি দেয়।
খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
পুলিশ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসি। এলাকাবাসী উত্তেজিত ছিল। অপ্রিতিকর পরিস্থিতি এড়াতে অভিযুক্ত শিক্ষককে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় বইছে। স্থানীয়রা অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।