নথি জালিয়াতির দুর্নীতি মামলায় চট্টগ্রামের সাবেক জেলা জজ, ডিসিসহ ৫ জনের বিচার শুরু
Published: 1st, July 2025 GMT
কক্সবাজারে ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত নথি জালিয়াতির মামলায় কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি), সাবেক জেলা ও দায়রা জজসহ পাঁচ জনের বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের জজ মিজানুর রহমানের আদালত এ আদেশ দিয়েছেন। আসামিদের বিরুদ্ধে কক্সবাজারের মাতারবাড়ি কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত একটি মামলার নথি জালিয়াতির অভিযোগে মামলা হয়।
আসামিরা হলেন- কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো.
দুদকের পিপি কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাবলু জানান, দুদক ও আসামিপক্ষের শুনানির পর আদালত সব আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। আগামী ৩ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর আদেশ দিয়ে ওই দিন মামলার বাদীর সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন। ৩ আগস্ট পর্যন্ত আসামিদের অর্ন্তবতী জামিন মঞ্জুর করেছেন।
জানা যায়, কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি এলাকায় কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে স্থানীয় বাসিন্দা এ কে এম কায়সারুল ইসলাম চৌধুরী ২০১৪ সালের ১৯ নভেম্বর আদালতে মামলাটি করেছিলেন। এতে কক্সবাজারের তৎকালীন জেলা প্রশাসক রুহুল আমিনকে প্রধান আসামি করে ২৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য দুদককে নির্দেশ দেন। কিন্তু তৎকালীন জেলা ও দায়রা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদার মামলার এক নম্বর আসামি রুহুল আমিনের নাম বাদ দিয়ে নথিপত্র পাঠান দুদকের প্রধান কার্যালয়ে। জেলা প্রশাসক রুহুল আমিনের নাম বাদ দেওয়ার ঘটনা জানতে পেরে একই আদালতে বাদী কায়সারুল ইসলাম চৌধুরী জেলা প্রশাসক রুহুল আমিন, জেলা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদারসহ সাত জনের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা করেন। ওই মামলার তদন্ত শেষে দুদকের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন ২০২৪ সালের ১ জুলাই আদালতে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্তে নথি জালিয়াতির ঘটনায় সহযোগিতা করায় সাবেক জেলা প্রশাসক ও জেলা জজ ছাড়াও আসামি করা হয় বাদীপক্ষের আইনজীবী মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, নাজির স্বপন কান্তি পাল এবং আদালতের স্টেনোগ্রাফার জাফর আহমদকে। চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি কক্সবাজারের বিশেষ জজ আদালতে জালিয়াতির বিষয়ে দুদকের দেওয়া প্রতিবেদনের ওপর শুনানি হয়।
গত ২৩ জানুয়ারি আদালত ওই প্রতিবেদন আমলে নিয়ে অভিযুক্ত পাঁচ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে তারা আদালতে হাজির হয়ে অর্ন্তবতী জামিন পান। সম্প্রতি মামলাটি চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে বিচারের জন্য স্থানান্তর করা হয়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জন র ব র দ ধ র হ ল আম ন ল ইসল ম র জন য গ রহণ তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপির প্রার্থী পুনর্বিবেচনার দাবিতে সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়ক আটকে বিক্ষোভ
সুনামগঞ্জ-৫ আসনে (ছাতক ও দোয়ারাবাজার) বিএনপির মনোনীত প্রার্থী পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ছাতক উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চৌধুরী ও তাঁর সমর্থকেরা। এই দাবিতে আজ রোববার বিকেলে সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় সড়ক আটকে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তাঁরা।
সড়ক আটকে সমাবেশ ও বিক্ষোভ হওয়ায় বেলা সাড়ে তিনটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত দুই দিকে শত শত যানবাহন আটকে পড়ে। এতে চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হয়।
এই আসনে এবার দলের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে সাবেক সংসদ সদস্য ও সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কলিম উদ্দিন আহমদকে (মিলন)। এই আসনে কলিম উদ্দিন আহমদ ও মিজানুর রহমান চৌধুরীকে কেন্দ্র করে নেতা-কর্মীরা দুই ভাগে বিভক্ত।
আজ বিকেলে সমাবেশে মিজানুর রহমান চৌধুরী নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি গত ১৬টি বছর সব চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে মাঠে ছিলাম। ২০০৯ সালে বিপুল ভোটে ছাতক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। ২০১৮ সালে দল দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাকে এই আসনে মনোনয়ন দিয়েছিলেন। আমি মাত্র এক ঘণ্টায় ধানের শীষে বিপুল পরিমাণ ভোট পাই। দুর্দিনে আমি নেতা-কর্মীদের নিয়ে মাঠে ছিলাম।’
সুনামগঞ্জ-৫ আসনে প্রার্থিতা নিয়ে মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমার বিশ্বাস ছিল এবারও এখানে আমার নামটি প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হবে। এমনটা নেতা-কর্মীরাও চেয়েছিলেন। কিন্তু অন্য একটি নাম ঘোষণা করায় নেতা-কর্মীদের মতো আমিও বিস্মিত, হতভম্ব।’
প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে মিজানুর রহমান বলেন, ‘এই দাবি মাঠের নেতা-কর্মীদের যেমন, তেমনি আমারও। আমি মিজান চৌধুরী রোদ-বৃষ্টি, ঝড়-তুফানে, পানি-কাদায় বেড়ে উঠা রাজনৈতিক কর্মী। আমি বিএনপিকে ভালোবাসি, বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমানকে ভালোবাসি। আমি আশাবাদী, এখানে দল প্রার্থী পরিবর্তন করবে।’
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ছাতক উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফরিদ আহমদ, জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ফারুক আহমদ প্রমুখ।