৪০০ বছরের পুরোনো যৌনপল্লির গল্পে ‘রঙবাজার’, আসছে দুর্গাপূজায়
Published: 3rd, July 2025 GMT
চারশো বছরের পুরোনো যৌনপল্লি এক রাতেই গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়-এই বাস্তবতাকে কেন্দ্র করেই নির্মিত হয়েছে রাশিদ পলাশ পরিচালিত সিনেমা ‘রঙবাজার’। তামজিদ অতুলের গল্প অবলম্বনে সিনেমাটির চিত্রনাট্য লিখেছেন গোলাম রাব্বানী। দুর্গাপূজা উপলক্ষে মুক্তি পাচ্ছে সিনেমাটি।
লাইভ টেকনোলজিস প্রযোজিত ‘রঙবাজার’-এর শুটিং শুরু হয়েছিল ২০২২ সালে। সিনেমার অধিকাংশ দৃশ্যধারণ হয়েছে দেশের অন্যতম প্রাচীন ও আলোচিত যৌনপল্লি দৌলতদিয়ায়। নির্মাতা বলেন, ‘‘রঙবাজার’ দীর্ঘদিন ধরেই মুক্তির অপেক্ষায় ছিল। তবে এটি সব শ্রেণির দর্শকের জন্য নয়, একটি নির্দিষ্ট শ্রেণির মনস্তত্ত্বকে কেন্দ্র করেই নির্মাণ। তাই সঠিক সময় বেছে নেওয়ার জন্যই অপেক্ষা করা হচ্ছিল।’
দুর্গাপূজার সময়টিকে নিজের জন্য ‘বিশেষ’ উল্লেখ করে রাশিদ পলাশ বলেন, ‘গত বছর মুক্তির পরিকল্পনা থাকলেও দেশের সামগ্রিক অবস্থা মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হয়। এবার পূজায় মুক্তি দিতে চাই। কারণ, এই উৎসবেই আমার “পদ্মাপুরাণ” মুক্তি পেয়েছিল। সে সময় দর্শকের ভালোবাসা পেয়েছিলাম, এবারও তেমনটাই আশা করছি।’
সিনেমার গল্প প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যৌনপল্লি নিয়ে এ দেশে খুব বেশি চলচ্চিত্র তৈরি হয়নি। এই পেশাকে আমাদের সমাজ আজও অন্ধ চোখে দেখে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই পেশারও রং বদলেছে। টানবাজার উচ্ছেদের সময় যা ঘটেছিল, তার পরিণতি আজও টের পাওয়া যায়। সিনেমায় আমরা সেই সময়টাকে তুলে ধরেছি-এই পেশা কি উচ্ছেদের পর বিলুপ্ত হয়েছে, নাকি সমাজের ভেতরে আরও ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়েছে?’
‘রঙবাজার’-এ বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন শম্পা রেজা, তানজিকা আমিন, নাজনীন হাসান চুমকি, জান্নাতুল পিয়া, শাহজাহান সম্রাট, মৌসুমী হামিদ, মানিক সাহা, লুৎফুর রহমান জর্জ ও মাহমুদুল ইসলাম মিঠু প্রমুখ।
নির্মাতা ও কলাকুশলীদের প্রত্যাশা, দর্শক এ সিনেমায় বাস্তবতাকে নতুনভাবে দেখবেন। সমাজের এক প্রান্তে পড়ে থাকা একটি আলো-আঁধারির পেশার মানুষদের গল্প হয়তো নতুন আলোচনার জন্ম দেবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: য নপল ল য নপল ল র গল প
এছাড়াও পড়ুন:
শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।
দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।
ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।
৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।
ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট