কুষ্টিয়ায় জেলা প্রশাসক তৌফিকুর রহমান চালের লাগাতার দাম বৃদ্ধির কারণে বাজার তদারকি করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে টাস্কফোর্স কমিটি শহরের বড়বাজার ঘুরে চালের দাম যাচাই ও মুনাফার হার তদারকি করেন। এর পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের পাইকারি ও খুচরা ক্রয়-বিক্রয় মূল্যের রশিদ মনিটরিং করেন।

গত ১৮ ডিসেম্বর কুষ্টিয়ার মোকামে উৎপাদিত সব ধরনের চাল মিলগেটে কেজি প্রতি এক টাকা করে কমিয়ে বিক্রির ঘোষণা দেন জেলা প্রশাসক। এর আগে মতবিনিময় সভায় মিলমালিকেরা এ দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেন কিন্তু তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। মিলগেট থেকে খুচরা বাজারে আগের দামে সব রকম চাল বিক্রি হচ্ছে। বরং চালের বাজার আরো ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে।

খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, আগের দামেই মিলগেটে চাল বিক্রয় হচ্ছে। এ নিয়ে বাজারে আসা সাধারণ ক্রেতারাও প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। তবে ভরা মৌসুমে এভাবে চালের দাম বাড়ার যৌক্তিকতা নেই। ধানের দাম বৃদ্ধিকে দোষারোপ করছেন মিল মালিকরা।

আরো পড়ুন:

রাজশাহী বিভাগে আমন সংগ্রহ সফল হবে: খাদ্য বিভাগ

চাল ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা নিশ্চিত করা হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা 

বাজার তদারকি শেষে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অতিরিক্ত দাম নিলে কঠোর ব্যবস্থা জানিয়ে জেলা প্রশাসক তৌফিকুর রহমান বলেন, ‘‘চালের বাজারের প্রকৃত চিত্র বের করতে চাচ্ছি। কোথায় অসামঞ্জস্য, কেন দাম বাড়ছে বলে অভিযোগ আসছে। সেজন্য খুচরা পর্যায়ে ও মিলগেটে তদারকির মাধ্যমে ক্রসচেক করা হচ্ছে।’’

তিনি জানান, বাজারে আমদানি করা চালের দাম কম। তাহলে আদৌও চালের দাম বাড়ার যৌক্তিকতা আছে কি-না খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি তদারকিতে চালের দাম বাড়ার যৌক্তিকতা না থাকে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেলা প্রশাসক আরো বলেন, ‘‘অনিয়ম আছে কি-না আমি এখনি তা বলতে চাচ্ছি না। ম্যাজিস্ট্রেটরা ভাউচার সংগ্রহ করেছেন। তারা ক্রসচেক করার পর আমরা বুঝতে পারব কেউ আসলে কারসাজি করেছে কি-না কিংবা কোনো সিন্ডিকেট আছে কি নেই? যদি প্রমাণ খুঁজে পাই, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

এ সময় কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পার্থ প্রতীম শীল, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আল ওয়াজিউর রহমান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/কাঞ্চন/বকুল 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র রহম ন ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

মুশফিকের প্রেমকাহিনির মঞ্চে ম্যাথুসের বিদায়ী সুর

* শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৬ টেস্টে বাংলাদেশের একটাই জয়। সেটি আবার শ্রীলঙ্কাতে। সেই জয় বাংলাদেশের শততম টেস্টে বলে আপনার তা খুব ভালোমতোই মনে থাকার কথা।

* টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের ৬০০ ছাড়ানো একমাত্র স্কোরটি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সেটিও শ্রীলঙ্কাতে।

* টেস্টে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। হ্যাঁ, হ্যাঁ, সেটিও শ্রীলঙ্কাতেই।

শেষ দুটি আবার একে অন্যের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। দুটি একই টেস্টে। ২০১৩ সালে যে টেস্টে বাংলাদেশের ৬৩৮, সেটিতেই মুশফিকুর রহিমের ডাবল সেঞ্চুরি। টানা ১২ টেস্টে হারার পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ড্র-ও।

এই পুরোনো প্যাচাল খুব বেশি অপ্রাসঙ্গিক লাগবে না, যখন জানবেন ওই টেস্টটা হয়েছিল গল ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে। পশ্চাৎপটে অতিকায় গল ফোর্টের পাথুরে কাঠামো আর দুই পাশে সাগর মিলিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর স্টেডিয়ামের একটি। ২০০৪ সালে সুনামিতে লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়ার পর পুনর্জন্ম নেওয়া গলের সেই মাঠেই আজ শুরু বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা প্রথম টেস্ট। শুরু আসলে তিন ধরনের ক্রিকেটেই একে অন্যের নাড়ি-নক্ষত্র বুঝে নেওয়ার লড়াই। যাতে টেস্ট আছে, ওয়ানডে আছে, আছে টি-টোয়েন্টিও। দুই টেস্টের পর সাদা বলের সিরিজে তিনটি করে ম্যাচ।

আরও পড়ুনআমিনুল ইসলাম বুলবুলকে চিনতে হলে এই লেখাটা পড়তে হবে০২ জুন ২০২৫

দুই দল পরস্পরের খুব চেনা। বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ২৬টি টেস্ট খেলেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ঘন ঘন দেখা হলে হৃদ্যতা যেমন হয়, তেমনি রেষারেষিও। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে। গত কয়েক বছরে এই দুই দল মুখোমুখি হলেই মাঠে বা মাঠের বাইরে উত্তেজনার ফুলকি ছুটেছে। ‘টাইমড আউট’ হয়তো সেটির এক নম্বরে, এর বাইরেও নানা কিছু মিলে লঙ্কা-বাংলা এখন গনগনে এক দ্বৈরথের নাম।

গত চার বছর দুই দলের মধ্যে চতুর্থ টেস্ট সিরিজ। দুই দলের জন্যই রণকৌশল ঠিক করা তাই খুব সহজ হওয়ার কথা। বাংলাদেশ দলের জন্য হয়তো তা থাকছে না শ্রীলঙ্কা দলে নতুনের সমারোহে। ১৮ জনের দলের এক–তৃতীয়াংশই এখনো টেস্ট খেলার অপেক্ষায়। বাংলাদেশ দলেও কিছু পরিবর্তন আছে, তবে তা ধর্তব্যের মধ্যে নয়।

টেস্টের প্রস্তুতিতে গলে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল

সম্পর্কিত নিবন্ধ