লাইফ কেয়ার ও সিডিএর বিরুদ্ধে চক্রান্তকারীদের শাস্তির দাবি
Published: 12th, July 2025 GMT
ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে সিডিএ সংস্থা ও লাইফ কেয়ার ডায়াগনস্টিকের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের চেষ্টা চলছে—এমন দাবি তুলে অপপ্রচারকারীদের শাস্তি দাবি করেছেন সংশ্লিষ্টরা। আজ শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্যের বিরুদ্ধে সিডিএ সংস্থা ও বাসাবোর লাইফ কেয়ার ডায়াগনস্টিক এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপস্থিত ছিলেন সিডিএ নির্বাহী পরিচালক মো.
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ১ জুলাই ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের মিলনায়তনে একটি সংবাদ সম্মেলনে কয়েকজন ব্যক্তি সিডিএ সংস্থা ও বাসাবোর লাইফ কেয়ার ডায়াগনস্টিকের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে ধরেন। তাদের দাবি প্রত্যাখ্যান করে সিডিএ ও প্রতিষ্ঠানটির সংশ্লিষ্টরা জানান, উক্ত বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর এবং একজন এনজিও ব্যক্তিত্ব মো. ইসহাক আলী মনিকে সামাজিকভাবে হেয় করার উদ্দেশ্যে প্রচার করা হয়েছে।
বক্তারা জানান, লাইফ কেয়ার ডায়াগনস্টিক বাসাবো শাখা স্বাস্থ্যসেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং তাদের কোনো আর্থিক লেনদেন বা সরঞ্জাম ক্রয়ের সঙ্গে অভিযুক্তদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
এছাড়া বলা হয়, কিছু রাজনৈতিক স্বার্থান্বেষী মহল দীর্ঘদিন ধরে এনজিও ব্যক্তিত্ব ইসহাক আলী মনির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে, যা এক ধরনের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়রানি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গনস ট ক
এছাড়াও পড়ুন:
ফেনীতে বন্যার পানি কমেছে, ভেসে উঠছে ক্ষতচিহ্ন
ফেনীতে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। তবে পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দৃশ্যমান হচ্ছে ক্ষতর চিহ্ন।
সরজমিন পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানি কমে যাওয়ায় নিরাপদে আশ্রয় নেওয়া বাসিন্দারা নিজ নিজ ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন। তবে ঘরে কাঁদা থাকায় স্বাভাবিকভাবে বসবাস শুরু করতে আরও দু-তিনদিন সময় লাগবে। কর্দমাক্ত ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে দেখা গেছে অনেককে।
এদিকে ফেনী থেকে ফুলগাজী পর্যন্ত যান চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। তবে এখনও যান চলাচল বন্ধ রয়েছে পরশুরাম সড়কে। যেসব এলাকা থেকে পানি সরে গেছে সেসব এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক করা হয়েছে।
বন্যায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন হতদরিদ্র, দিনমজুর ও প্রান্তিক কৃষকরা। মানুষের ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, গ্রামীণ সড়ক নষ্ট হয়ে গেছে। পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। সড়ক গুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
জেলা প্রশাসন থেকে দেওয়া তথ্যমতে জানা যায়, মুহুরী নদীর পানি পরশুরাম পয়েন্টে বিপৎসীমার তিন মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ছাগলনাইয়া পয়েন্টে হরিপুর এলাকা হয়ে মুহুরি নদীর পানি ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে ছাগলনাইয়া, ফেনী সদর ও দাগনভূঁইয়ার কিছু গ্রাম বেশ কয়েকটি এলাকা নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।
এ দিকে গেল রাতে ফেনী শহরের পেট্রোবাংলা এবং আরামবাগ এলাকায় আবার কিছুটা পানি উঠেছিল। তবে সকালে নেমে গেছে। এ বন্যায় ৩৭ হাজার মানুষ পানিতে নিমজ্জিত ছিল। এখনও সাড়ে চার হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছে। ৫০০০ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ঘরে ফিরেছে। এখনও ৮৭টি আশ্রয়কেন্দ্র চালু রয়েছে। উপজেলাগুলোতে ১৬০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দুর্গতদের মধ্যে ২২০০ প্যাকেট শুকনা ও অন্যান্য খাবার দেওয়া হয়েছে।
ফুলগাজীর মুন্সিরহাট আলী আজম বিদ্যালয় ও কলেজ আশ্রয়কেন্দ্র থেকে চার দিন পর বের হয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। তিনি বলেন, সরকারি কোনো সহযোগিতা পাননি তিনি।
শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বন্যার সময় আমাদের ঘর পানিতে তলিয়ে ছিল। ৪ দিন পর পানি নেমে গেছে। তবে ঘরে কিছু পানি রয়ে গেছে। সেই পানি সেচে থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বন্যার সময় পানির জন্য কোথাও যেতে না পেরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘরের দমদমার ওপরে ছিলাম। চিড়া-মুড়ি খেয়ে কষ্ট করে কোনোরকম দিন পার করেছি।’
গোসাইপুর গ্রামের বাসিন্দা খোদেজা আক্তার ও পাখি আক্তার বলেন, ‘বন্যার পানি প্রবেশ করে ঘরের সবকিছু নষ্ট করে ফেলেছে। চারদিন শুকনো খাবার খেয়ে দিন পার করেছি। ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করছি। রান্না করার মাটির চুলা বন্যার পানিতে ভেঙে যাওয়ায় টিনের চুলায় রান্না করছি।’
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আক্তার হোসেন মজুমদার বলেন, পানি নেমে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করা হবে।
ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, বন্যায় সর্বশেষ ১১২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে ফুলগাজীতে ৬৭, পরশুরামে ২৭, ছাগলনাইয়ায় ১৫, ফেনী সদর ও দাগনভূঞায় দুটি গ্রাম।