বলিউডের হিট তারকা বলতেই দিলীপ কুমার, রাজেন্দ্র কুমার, রাজেশ খান্না, অমিতাভ বচ্চন, ধর্মেন্দ্র, শাহরুখ খান, সালমান খান, আমির খান কিংবা হৃতিক রোশনের নাম প্রথমেই আসে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো, ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত টানা ২৮টি সফল ছবি দিয়ে ইতিহাস গড়েছিলেন যিনি, সেই নায়ক ছিলেন আর কেউ নন বিনোদ খান্না।

আড়ালের এক তারকা
সত্তরের দশকের অন্যতম জনপ্রিয় ট্রেড ম্যাগাজিন ট্রেড গাইডের তথ্য অনুযায়ী, বিনোদ খান্না ওই সময় একটিও ফ্লপ না দিয়ে টানা ২৮টি ছবি হিট করেন। তাঁর কোনো ছবি প্রযোজক বা পরিবেশকের লোকসানের কারণ হয়নি। একক নায়ক বা মাল্টিস্টারার—সব ধরনের ছবিতেই ছিল তাঁর দাপুটে উপস্থিতি। তাঁর হিট সিনেমার মধ্যে আছে ‘ইমতেহান’, ‘পাথর অউর পায়েল’, ‘হাথি কি সাফাই’, ‘লাগাম’, ‘আধা দিন আধি রাত’, ‘খুন পসিনা’, ‘অমর আকবর অ্যান্থনি’, ‘মুকাদ্দর কা সিকান্দার’, ‘খুন কা বদলা খুন’ ইত্যাদি।

ফ্লপ কীভাবে এড়িয়ে গেলেন
ট্রেড গাইডের মূল্যায়নে যেসব ছবিকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ফেলা হতো, সেগুলোকে ধরা হতো ফ্লপ ছবি হিসেবে। তবে বিনোদ খান্নার তালিকায় এমন কোনো ছবি ছিল না। কোনোটি সুপারহিট, কোনোটি মোটামুটি ব্যবসা করেছে, কিন্তু কোনোটিই ফ্লপ হয়নি। তাঁকে সিনেমায় নিয়ে প্রযোজককে লোকসান গুনতে হয়নি।

আরও পড়ুনসারা জীবনের সঞ্চয় খুইয়ে হতাশায় বাবার মৃত্যু, দুই সন্তানের দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন০৯ জুলাই ২০২৫

অন্য তারকাদের কৃতিত্ব
সমালোচকেরা অবশ্য বলেন, ছবিতে অন্য তারকা থাকলে (বিশেষত অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে) ছবিগুলোয় শুধু বিনোদের কৃতিত্ব দিয়ে পুরো সাফল্য মাপা উচিত নয়। ‘হেরা ফেরি’, ‘মুকাদ্দর কা সিকান্দার’-এর মতো ছবিতে অমিতাভও ছিলেন মুখ্য ভূমিকায়। তবু এই সময়ের মধ্যে কোনো ফ্লপ না থাকা এবং একটানা সফলতা নিঃসন্দেহে বিরল এক রেকর্ড।

অমিতাভের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তিনি?
এ কথা অনস্বীকার্য যে বিনোদ খান্না সত্তরের দশকে অমিতাভ বচ্চনের অন্যতম বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছিলেন। পর্দায় তাঁর ব্যক্তিত্ব, সংলাপ বলার ভঙ্গি ও চরিত্রের পরিপক্বতা দর্শকের মনে গভীর ছাপ ফেলেছিল।

সিনেমার দৃশ্যে বিনোদ খান্না। আইএমডিবি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামসহ চার জেলায় নতুন ডিসি

চট্টগ্রামসহ দেশের চার জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে সরকার। আজ বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

ফেনীর জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলামকে চট্টগ্রামে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব মনিরা হককে (আগে নওগাঁর ডিসি হিসেবে পদায়নের আদেশ হয়েছিল) ফেনী, বিদ্যুৎ বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ সোলায়মানকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উপসচিব আফছানা বিলকিসকে মাদারীপুরের ডিসি করা হয়েছে।

এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর নওগাঁর ডিসি মোহাম্মদ আবদুল আউয়ালকে চট্টগ্রামের ডিসি হিসেবে বদলি করা হয়েছিল। কিন্তু সরকার থেকে তাঁকে সেখানে যোগ না দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আজ সেই বদলির আদেশ বাতিল করা হয়েছে। মানে, তিনি নওগাঁর ডিসি হিসেবেই থাকছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ