বাংলাদেশে তৈরি এয়ার কন্ডিশনার বাজারে আনলো প্যানাসনিক
Published: 22nd, January 2025 GMT
এয়ার কন্ডিশনার (এসি) তৈরিতে ৬৫ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একটি শীর্ষস্থানীয় বৈচিত্র্যময় প্রযুক্তি কোম্পানি প্যানাসনিক আজ বাংলাদেশে তৈরি ইনভার্টার এসি লাইন-আপ-কেইউ সিরিজের নতুন পরিসর চালু করেছে।
নতুন মডেলগুলো স্থানীয় চাহিদা অনুসারে কাস্টমাইজ করা হয়েছে এবং ১.০, ১.৫ এবং ২.০-টন মডেলে পাওয়া যাবে।
কেইউ সিরিজের পাশাপাশি গ্রাহকরা ডব্লিউইউ, এইচইউসহ বিশাল রেঞ্জের মডেল থেকে বেছে নিতে পারবেন। বাংলাদেশে আমাদের অথোরাইজড পার্টনারদের সব রিটেইল আউটলেটে এখন থেকে সব মডেলের এয়ার কন্ডিশনার পাওয়া যাচ্ছে।
পিএলএসআইএনডির প্যানাসনিক মার্কেটিং ইন্ডিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মি.
পিএলএসআইএনডির প্যানাসনিক মার্কেটিং ইন্ডিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মি. ফুমিয়াসু ফুজিমোরি বলেন, দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে বাংলাদেশ প্যানাসনিকের জন্য একটি কৌশলগত দেশ এবং আমাদের নতুন পরিসরের এয়ার কন্ডিশনার চালু করা হয়েছে ভোক্তাদের প্রতিক্রিয়ার ভিত্তিতে এবং স্থানীয় পরিবেশের সাথে মানানসই করে ডিজাইন করা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে উৎপাদন থেকে শুরু করে একটি সংযুক্ত, আরামদায়ক, সুবিধাজনক এবং ইনর্ভাটার প্রযুক্তির-প্যানাসনিকের নতুন পরিসরের এসি প্রযুক্তি, স্থায়িত্ব, বিশ্বাস এবং গুণমানের প্রতিশ্রুতি দেয়।
পিএলএসআইএনডির সার্কের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মি. ভূপেন্দ্র ভরদ্বাজ বলেন, আমরা কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশের একজন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অংশীদার, মৌলিক শীতলকরণ, অর্থাৎ অভ্যন্তরীণ বায়ু স্বাস্থ্যবিধি, দক্ষতা এবং প্রযুক্তিগত ইন্টিগ্রেশনের (সংযোগ) বাইরেও আমাদের ভোক্তা চাহিদা পূরণে অবদান রাখছি।
ঢাকা/হাসান/এনএইচ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
এক নারীকে বিয়ে, তুমুল সমালোচনার জবাবে যা বললেন দুই ভাই
ভারতের হিমাচল প্রদেশের শিলাই গ্রামে হাট্টি উপজাতির দুই ভাই এক নারীকে বিয়ে করেছেন। এরপরেই তাদের বিয়ের খবর দেশি-বিদেশি মিডিয়ার সংবাদ শিরোনামে পরিণত হয়। চলছে আলোচনা ও সমালোচনা। বিশেষ করে আলোচনায় এসেছে হাটি সম্প্রদায়।
শতাব্দী প্রাচীন বহুপতিত্ব বিবাহ রীতিতে বিয়ে করার পর দুই ভাই জানিয়েছেন তারা এই বিয়ে করে সুখে আছেন। ‘হাটি’ সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য রক্ষা করতে পেরে তারা যে গর্বিত হয়েছেন, তাও জানিয়েছেন।
কুনহাট গ্রামের বাসিন্দা সুনীতা চৌহান জানিয়েছেন, হাটি সম্প্রদায়ের বহুবিবাহ প্রথার ঐতিহ্য সম্পর্কে তিনি সচেতন ছিলেন। এবং কোনো ধরণের চাপ ছাড়াই তিনি দুই ভাইকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সুনীতা এমন বিবাহ প্রথাকে সম্মান করেন বলেও জানিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
জম্মু-কাশ্মীরে গোলাগুলি, ২ ভারতীয় সেনা নিহত
তরুণীর সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে বৃদ্ধ হারালেন ১২ কোটি টাকা
তিনি আরও যোগ করেছেন যে তিনি তাদের তৈরি বন্ধনকে সম্মান করেন।
জানা গেছে, প্রদীপ নেগি সরকারি কর্মচারী এবং কপিল নেগি বিদেশে হসপিটালিটি সেক্টরে কর্মরত আছেন।
ফেসবুকে প্রকাশিত এক ভিডিওতে প্রদীপ নেগি বলেন, ‘‘এই বিবাহ প্রথা বহু প্রজন্ম ধরে চলে আসছে। হাটি সম্প্রদায়ের মধ্যে এই প্রথা চলতেই থাকবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু মানুষ গালি দিচ্ছে, তাতে আমার কিছু আসে যায় না। এই প্রথা শুধু আমাদের এলাকায় নয়, উত্তরাখণ্ডের জৌনসার-বাওয়ার অঞ্চলেও প্রচলিত। ওখানে একই নারীর সঙ্গে দুই বর মালা বদল করে বিবাহ সম্পন্ন করেন।’’
প্রদীপের ভাই কপিল নেগি জানান, ‘‘যে তাদের এই বিবাহ সম্পূর্ণ স্বেচ্ছায় হয়েছে। এতেপরিবারের পক্ষ থেকেও পূর্ণ সমর্থন ছিল।আমরা আমাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির পক্ষে কথা বলে যাবো। যারা আমাদের রীতি জানেন না, তারাও বিভিন্ন মতামত দিচ্ছেন। কিন্তু আমরা, আমাদের পরিবার ও সমাজ এতে সন্তুষ্ট।’’
প্রদীপ আরও বলেন, ‘‘আমাদের খ্যাতির কোনো লোভ নেই।সংবাদ শিরোনামে আসার জন্য আমরা বিয়ে করিনি। এই বিয়ের একমাত্র উদ্দেশ্য হলো একসঙ্গে থাকা এবং ভালোবাসা বজায় রাখা। মানুষকে বলছি, আমাদের সমালোচনা করবেন না—আমরা আমাদের জীবন নিয়ে সন্তুষ্ট।’’
এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শিল্লাই গ্রামের ট্রান্স-গিরি অঞ্চলে ১২ জুলাই শুরু হয়। তিন দিনব্যাপী চলে অনুষ্ঠান। নাচ, স্থানীয় লোকগীতি এবং গ্রামীণ উৎসবের রঙিন আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
এই বিয়ের উদ্দেশ্য হলো পূর্বপুরুষদের জমি খণ্ডিত হতে না দেওয়া। জমি খণ্ডিত হয়ে যাওয়া পাহাড়ি কৃষি সম্প্রদায়ের জন্য একটি বড় সমস্যা। এ ধরনের বিবাহে সাধারণত বড় ভাইকেই সন্তানদের আইনি পিতা হিসেবে গণ্য করা হয়। এবং জমির মালিকানাও একই মায়ের সন্তানদের কাছে থেকে যায়।
উল্লেখ্য, হিমাচল প্রদেশে, ‘ওয়াজিব-উল-আরজ’ নামে ঔপনিবেশিক যুগের এক রাজস্ব নথিতে ‘জোড়িদারা’ ব্যবস্থা লিপিবদ্ধ রয়েছে। ওই দলিলে গ্রামের সামাজিক ও অর্থনৈতিক রীতিনীতি লিপিবদ্ধ করা হয়েছে এবং বহুপতিত্ব বিবাহ প্রথাকে হাটি সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতিও দেওয়া হয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি ও বিবিসি
ঢাকা/লিপি