গুম, খুঁন, হত্যা, নির্যাতন আওয়ামী লীগের কাজ, বিএনপির নয়। বিএনপির নেতাকর্মীরা কোন প্রকার অপ্রীতিকর কাজে জড়িত অতীতেও ছিলো না আর বর্তমানে নেই।

তাছাড়া আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা এমন কোন অপকর্মমূলক কাজ করবেন না, যেন হাসিনার মত আপনাদেরকে দেশ ছেড়ে পালাতে হয় বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সাখাওয়াত ইসলাম রানা। 

মঙ্গলবার বিকেলে নারায়নগঞ্জ সদর উপজেলার গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের শীতলক্ষ্যা সেতু প্রাঙ্গণে গোগনগর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভা এবং কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালিন সময় অনেক মানুষকে বাড়িতে থাকতে দেয়নি কিন্তু আমরা তা কখনো করবো না। আপনারা যদি বাড়ীতে থাকেন তাহলে ভালো, আর যদি আওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণ সহ নাশকতার চেষ্টা করবেন তাহলে এদেশের জনগণ কিন্তু আপনাদের ছেড়ে দিবে না।

ছাত্র জনতার লাশের উপর দাঁড়িয়ে আপনারা আবারও ক্ষমতায় বসতে চাচ্ছেন। জনগণের ভোটের অধিকার নষ্ট করে একনায়কতন্ত্র রাষ্ট্র বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না। 

বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, গোগনগর আমাদের, এটাকে সুন্দর রাখার দায়িত্ব আমাদের। আমি বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা কর্মীদের আহবান করবো আপনারা রাস্তার দুপাশে এবং বাড়ির আঙ্গিনায় বেশি করে গাছ লাগান।

কারন এই অঞ্চলে বেশ কয়েকটি সিমেন্ট ফ্যাক্টরি থাকায় বাতাসে প্রচুর ধূলিকণা রয়েছে। যা পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরূপ। আগামীদিনের জন্য আমরা ভালো কিছু করতে চাই। তাই বেশি করে গাছ লাগান, পরিবেশ বাঁচান। 

গোগনগর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মোঃ আফজাল হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মমিনুর রহমান বাবু, গোগনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ আক্তার হোসেন, সদর থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম সরদার, গোগনগর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম মিজি, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মাহবুবুর রহমান জুলহাস, জহিরুল ইসলাম হারুন, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা জাসস এর সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মোঃ মাসুম, গোগনগর ইউনিয়ন জাসস এর সাধারণ সম্পাদক ইয়ার হোসেন মোল্লা, গোগনগর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মোঃ বিল্লাল হোসেন প্রমুখ।  আলোচনা সভা শেষে নেতৃবৃন্দ শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ ব এনপ র আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

সড়ক নষ্টের কারণ অনুন্নত ড্রেনেজ ও নিম্নমানের কাজ

সমকাল: নির্মাণ বা সংস্কারের এক বছরের মধ্যে চট্টগ্রামের সড়কগুলো কেন ভেঙে যায়?
ড. আসিফুল হক: এর পেছনে বড় কারণগুলো হলো, অনুন্নত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, সড়ক নির্মাণে ডিজাইন ফল্ট, নির্ধারিত গ্রেডের বিটুমিন ব্যবহার না করা, নিম্নমানের নির্মাণকাজ ও যথাযথভাবে তদারকি না করা। এক কথায় যেসব পরিবেশের কারণে সড়ক নষ্ট হয় তার সবকিছু চট্টগ্রামে বিদ্যমান। বিটুমিনের সবচেয়ে বড় শত্রু পানি। অধিকাংশ সড়ক বিটুমিনের। বর্ষায় চট্টগ্রামের সড়কগুলো পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে যায়। পরিকল্পিত পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থাও নেই। অল্প বৃষ্টিতেই সড়কের ওপর দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ে। জলাবদ্ধতার কারণে সড়কে কয়েকদিন পানি জমে থাকে। ফলে দ্রুত সড়কগুলো বেহাল হয়ে পড়ে। এছাড়া সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের কাজ করা হয়। যার কারণে সড়ক দ্রুত ভেঙে যায়। যথাযথ মান বজায় রেখে সড়ক নির্মাণ করা হলে ৫-১০ বছরেও সড়ক ভাঙার কথা নয়। সড়কে যখন কোনো গর্ত হয় তখন তাৎক্ষণিক সংস্কার করা হয় না। ফলে এটি বড়
 হয়ে ক্রমান্বয়ে যানচলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। অথচ নিয়মিত সংস্কারের জন্য সিটি করপোরেশনের নিজস্ব অ্যাসফল্ট প্ল্যান রয়েছে। সড়ক ভাঙ্গার সঙ্গে সঙ্গে সংস্কার করা হলে খরচও কম হয়। সড়কও ভালো থাকে।
সমকাল: টেকসই সড়ক নির্মাণে কি উদ্যোগ নিতে পারে সিটি করপোরেশন?
ড. আসিফুল হক: সড়ককে টেকসই করতে চট্টগ্রামের পরিবেশ অনুযায়ী পরিকল্পিতভাবে সড়ক ডিজাইন করতে হবে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে। সড়ক নির্মাণে যথাযথ মান বজায় রাখতে হবে। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রা বেড়েছে। তীব্র গরমে সড়কের বিটুমিন গলে যায়। এ জন্য সঠিক মানের বিটুমিন ব্যবহার করতে হবে। বর্তমানে  ৮০-১০০ গ্রেডের বিটুমিন ব্যবহার করা হয়। এখন সেটা ৬০-৮০ গ্রেডের বিটুমিন ব্যবহার করতে হবে। যেটি অধিক তাপ সহনশীল। 
সমকাল: টেকসই সড়ক নির্মাণে বিকল্প আধুনিক কোন পদ্ধতি রয়েছে কি না?
ড. আসিফুল হক: বিকল্প পদ্ধতিও সড়ক নির্মাণ করা যেতে পারে। রিজিড পেভমেন্ট (কংক্রিটের ঢালাই) পদ্ধতি প্রয়োগ করতে পারে। সড়কের ইন্টার সেকশনগুলোতে সবসময় সংস্কার করা যায় না। ইন্টার সেকশনগুলোতে এ পদ্ধতি প্রয়োগ করা যেতে পারে। সড়কের এক লেইন রিজিড পেভমেন্ট করা হলে বর্ষায় ওই এক লেইন দিয়ে যানচলাচল করা নিশ্চিত করা গেলে সড়ক কম ভাঙ্গবে। রিজিড পেভমেন্ট পানিতে ডুবলেও ভাঙ্গে না। এছাড়া সড়ক নির্মাণে পলিমারাইজড বিটুমিন ব্যবহার করা যেতে পারে। এটা ব্যয়বহুল। তবে পরীক্ষামূলকভাবে কোন একটি সড়কে প্রয়োগ করা যেতে পারে। এটি সফল হলে নগরের সবগুলো সড়কে এ পদ্ধতি বাস্তবায়ন করতে পারে সিটি করপোরেশন। 
সমকাল: সড়ক টেকসই করতে কাজের মান কতটা গুরুত্বপূর্ণ
ড. আসিফুল হক: কাজের মান বজায় না রাখলে যেকোন পদ্ধতিতে তৈরি সড়ক ভেঙ্গে যাবে। তথাকথিত মেরামত করে সড়ক ঠিক রাখা যাবে না। কাজের মানে আপোষ না করে তদারকি নিশ্চিত করা হলে সড়ক হবে দীর্ঘস্থায়ী ও মজবুত।

     

সম্পর্কিত নিবন্ধ