গুম, খুঁন, হত্যা ও নির্যাতন আওয়ামী লীগের কাজ, বিএনপির নয় : রানা
Published: 4th, February 2025 GMT
গুম, খুঁন, হত্যা, নির্যাতন আওয়ামী লীগের কাজ, বিএনপির নয়। বিএনপির নেতাকর্মীরা কোন প্রকার অপ্রীতিকর কাজে জড়িত অতীতেও ছিলো না আর বর্তমানে নেই।
তাছাড়া আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা এমন কোন অপকর্মমূলক কাজ করবেন না, যেন হাসিনার মত আপনাদেরকে দেশ ছেড়ে পালাতে হয় বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সাখাওয়াত ইসলাম রানা।
মঙ্গলবার বিকেলে নারায়নগঞ্জ সদর উপজেলার গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের শীতলক্ষ্যা সেতু প্রাঙ্গণে গোগনগর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভা এবং কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালিন সময় অনেক মানুষকে বাড়িতে থাকতে দেয়নি কিন্তু আমরা তা কখনো করবো না। আপনারা যদি বাড়ীতে থাকেন তাহলে ভালো, আর যদি আওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণ সহ নাশকতার চেষ্টা করবেন তাহলে এদেশের জনগণ কিন্তু আপনাদের ছেড়ে দিবে না।
ছাত্র জনতার লাশের উপর দাঁড়িয়ে আপনারা আবারও ক্ষমতায় বসতে চাচ্ছেন। জনগণের ভোটের অধিকার নষ্ট করে একনায়কতন্ত্র রাষ্ট্র বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না।
বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, গোগনগর আমাদের, এটাকে সুন্দর রাখার দায়িত্ব আমাদের। আমি বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা কর্মীদের আহবান করবো আপনারা রাস্তার দুপাশে এবং বাড়ির আঙ্গিনায় বেশি করে গাছ লাগান।
কারন এই অঞ্চলে বেশ কয়েকটি সিমেন্ট ফ্যাক্টরি থাকায় বাতাসে প্রচুর ধূলিকণা রয়েছে। যা পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরূপ। আগামীদিনের জন্য আমরা ভালো কিছু করতে চাই। তাই বেশি করে গাছ লাগান, পরিবেশ বাঁচান।
গোগনগর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মোঃ আফজাল হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মমিনুর রহমান বাবু, গোগনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ আক্তার হোসেন, সদর থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম সরদার, গোগনগর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম মিজি, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মাহবুবুর রহমান জুলহাস, জহিরুল ইসলাম হারুন, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা জাসস এর সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মোঃ মাসুম, গোগনগর ইউনিয়ন জাসস এর সাধারণ সম্পাদক ইয়ার হোসেন মোল্লা, গোগনগর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মোঃ বিল্লাল হোসেন প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে নেতৃবৃন্দ শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ ব এনপ র আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জ অঞ্চল পানি শূণ্য হয়ে পড়ার আশংকা
নারায়নগঞ্জে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এর অধীনে পানি সম্পদ পরিকল্পনা সংস্থার আয়োজনে উপজেলা ভিত্তিক পানি সম্পদের গ্রামীন অংশগ্রহনমূলক সমীক্ষায় প্রাপ্ত তথ্যের সঠিকতা নিরূপন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ সময় ভূগর্ভস্থ পানি ক্রমশ কমে যাওয়ায় নারায়ণগঞ্জ অঞ্চল পানি শূণ্য হয়ে পড়ার আশংকা ব্যক্ত করেন বিশেষজ্ঞরা। সোমবার (২৪ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাছলিমা শিরিনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুস সামাদ। আরও উপস্থিত ছিলেন-প্রকৌশলী ফয়সাল মেহেদী, উপজেলা প্রকৌশলী ইয়াসির আরাফাত রুবেল, পিআইও পবিত্র মন্ডল চন্দ্র সহ উপজেলার কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিগন।
সভায় পানি আইন ২০১৩ এর কার্যকর প্রয়োগে বাংলাদেশের উত্তর কেন্দ্রীয় হাইড্রোলজিক্যাল অঞ্চলের দশটি জেলায় পানি সম্পদের প্রাপ্যতা গ্রামীণ অংশ গ্রহণমূলক সমীক্ষায় প্রাপ্ত তথ্যের সঠিকতা নিরূপণ বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
জানা গেছে, ভূগর্ভস্থ পানি কমে যাওয়ায় নারায়ণগঞ্জের গোগনগর, বক্তাবলি, কুতুবাইল ও শিবুমার্কেটসহ বেশ কয়েকটি এলাকা বর্তমানে ঝুঁকিতে রয়েছে। যা ১০ বছরে ১০০ ফুটেরও নিচে চলে গেছে। ২০২৫ সালে তা ১৫১ ফুটেরও নিচে দাঁড়িয়েছে।
ফতুল্লা, রূপগঞ্জ ও সোনারগাঁও এলাকার চিত্র অনেকটা একই রকম। গত বছর এনায়েতনগর ইউনিয়নে সুপেয় পানি মিলতো ১৭৫ ফুট গভীরে। এই বছর আরো ১৩ ফুট গভীরে গিয়ে ১৮৮ ফুটে মিলছে এনায়েতনগরে ভূগর্ভের সুপেয় পানি।
এদিকে, গত বছরের তুলনায় এবছর ফতুল্লা ইউনিয়নে ৮ ফুট গভীরে নেমছে ভূ-গর্ভের পানি। যেখানে ১৯০ ফুট গভীরে পাওয়া যেত সুপেয় পানি, সেখানে এখন পানির স্তর মিলছে ১৯৮ ফুট গভীরে। এক বছরের ব্যবধানে কাশিপুরে পানির স্তর নেমেছে ৬ ফুট গভীরে।
বর্তমানে এই ইউনিয়নে পানির স্তর ১৭১ ফুট গভীরে রয়েছে। গত বছরের তুলনায় ২ ফুট নিচে নেমে ১৪২ ফুট গভীরে মিলছে গোগনগর ইউনিয়নের সুপেয় পানির স্তর। আর ১ ফুট করে নিচে নেমে ১০৬ ফুট গভীরে রয়েছে আলীরটেক ও বক্তাবলী ইউনিয়নের পানির স্তর।
কর্মশালায় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুস সামাদ বলেছেন, নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলে দিনের পর দিন যেভাবে পানির স্তর নিচের দিকে চলে যাচ্ছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, আমরা এক সময় পানি শূন্য হয়ে পড়বো।
তাই পানির অপচয় রোধে সকলের সচেতন হতে হবে। এ ছাড়াও পানি দূষন হতে সকলকে সভা সমাবেশের মাধ্যমে তৎপর হতে হবে।