আধা কিলোমিটার কাঁচা সড়ক দাগনভুঞার ছয় গ্রামের মানুষের দুঃখের কারণ হয়ে উঠেছে। আবার এ সড়কটি দাগনভুঞা ও কোম্পানীগঞ্জের মানুষের চলাচলের সেতুবন্ধন হিসেবে পরিচিত। ফলে দীর্ঘদিন ধরে সড়কের অবস্থার কারণে দুই উপজেলার মানুষই কষ্ট পাচ্ছেন। 
উপজেলার ইয়াকুবপুর ইউনিয়নের দেবরামপুর গ্রামের চাপরাশি বাড়ির দরজা থেকে চৌমুহনী  বাজার পর্যন্ত আধা কিলোমিটার দীর্ঘ একটি কাঁচা সড়ক  রয়েছে। এ সড়ক  দিয়ে  উপজেলার  দেবরামপুর, ইয়াকুবপুর, দক্ষিণ আলীপুর  এবং পাশের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম মোহাম্মদনগর, উদরাজপুর ও চরপার্বতী গ্রামের  কয়েক  হাজার  মানুষ  যাতায়াত করেন। ইয়াকুবপুর  ইসকাকীয়া এতিম খানা  আলীম মাদ্রাসা, মানিকপুর  উচ্চ বিদ্যালয়, মৌলভী শামসুল  হক দাখিল মাদ্রাসা, বাঘডুবি উচ্চ বিদ্যালয়, বসুরহাট সরকারি  এএইচসি উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি  ইকবাল মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজ ও দুধমুখা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও এই সড়ক  দিয়ে  যাতায়াত করে। রিকশা, সিএনজি অটোরিকশাসহ খাটো গাড়িও চলে সড়কে। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে সড়কটি চলাচলের  অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বৃষ্টির কারণে সড়কে গর্তের সৃষ্টি  হয়, কাদায় ভরে যায়। যাত্রীদের প্রায় সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়। 
গত বছর আগস্টের বন্যায় সড়কটি বিধ্বস্ত হয়ে যায়। অথচ গত এক বছরেও সংস্কারের কোনো উদ্যেগ নেওয়া হয়নি। স্থানীয়রা জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক  সংস্কারের  জন্য  উপজেলা  প্রকৌশল বিভাগে একাধিকবার দাবি জানালেও কোনো কাজ হয়নি। স্থানীয়  বাসিন্দা  মাওলানা  আতিক উল্যাহ জুলফিকার বলেন, ‘আধা কিলোমিটার কাঁচা সড়কের মধ্যে কিছু অংশে ইট বিছানো হয়েছে। এতে জনদুর্ভোগ কিছুটা হলেও কমে। বাকি অংশেও  ইট বিছানো হলে উপকৃত হবে মানুষ। দুই  উপজেলার  মানুষের  যোগাযোগ সহজ হবে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায়  দুর্ভোগের  কবলে পড়েছেন জনগণ। উপকূলীয় এলাকা হওয়ার কারণে সড়কটি কর্তৃপক্ষের নজরে পড়েনি।’
আবুল  বাসার বলেন, ‘এ সড়কটি নিয়ে  মানুষের  দুঃখের সীমা নেই। বর্ষার মৌসুমে হাতে জুতা নিয়ে সড়কে চলাচল করতে  হয়। সামান্য  বৃষ্টি হলে কদমাক্ত হয়ে যায় পুরো সড়ক। গাড়ি  চলাচল  করতে পারে না। সংস্কার  হলে দুই  উপজেলার  মানুষ কষ্ট থেকে মুক্তি পাবেন।’
উপজেলা  প্রকৌশলী  মো.

মাছুম  বিল্লাহ বলেন, ‘এই সড়কটির বেহাল অবস্থার কথা আমাদের কেউ জানাননি। একটি  সড়ক  যদি বহু  মানুষের  কষ্টের কারণ হয় তাহলে অবশ্যই প্রকৌশল বিভাগের দায়িত্ব আছে। উপজেলার  গ্রামীণ সড়কগুলো সংস্কারে সরকারের  আন্তরিকতার অভাব নেই। অর্ধ কিলোমিটার  কাচাঁ সডক যেহেতু  দুই  উপজেলার   মানুষের  সেতুবন্ধন সেহেতু  অগ্রাধিকার ভিত্তিতে  কাজটি করার চেষ্টা  করব।’

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপজ ল র

এছাড়াও পড়ুন:

রূপগঞ্জে নিরাপদ সড়কের দাবিতে সেচ্ছাসেবীদের মানববন্ধন

রূপগঞ্জের তারাবো বিশ্বরোড় থেকে ডেমরা ব্রিজ পর্যন্ত সড়কটিতে রাতে বাতি না জ্বালানোর কারণে ও ব্রিজের রাবার খসে পড়ায় বাড়ছে সড়ক দূর্ঘটনা। এসব দূর্ঘটনা রোধে নিরাপদ সড়কের দাবিতে শুক্রবার বাদ জুম্মা সামাজিক সংগঠন “শান্তি সংঘ ফাউন্ডেশন” এর উদ্যোগে ডেমরা-সিলেট সড়কের তারাবো এলাকায় মানববন্ধন করা হয়েছে। 

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সেচ্ছাসেবক মোহাম্মদ সেলিম, আলিফ, আব্দুল্লাহ, আলী আসরাফ, জাবের, সাব্বির, শান্ত, রাসেল, আমিনুল, জহিরুল প্রমুখ

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, তারাবো বিশ্বরোড থেকে ডেমরা ব্রিজ পর্যন্ত সড়কটিতে সড়ক বাতি না জালানোর কারণে সন্ধার পর অনিরাপদ হয়ে পড়ে সড়কটি। প্রায়ই ঘটছে সড়ক দূর্ঘটনা। এতে নিহত ও আহত হয়েছেন অনেকে। 

তাই দ্রুত সড়ক বাতি মেরামত করে জনস্বার্থে প্রতিদিন বাতি জালাতে হবে। এবং এ সড়কে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে। ব্রিজের জোড়ায় নষ্ট হয়ে যাওয়া রাবার পুনঃস্থাপন করতে হবে। 

সড়ক দখল করে অবৈধ্য ভাবে ট্রাক পার্কিং বন্ধ করতে হবে এবং এ সড়কে ছোট বড় খানাখন্দ গুলো সংস্কার করতে হবে। অবিলম্বে যদি এসব সমস্যা সমাধান না করা হয় তবে, ব্যপক কর্মসূচির হুশীয়ারী দেন বক্তারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ১০ বছরে সড়কে ধুয়েমুছে সাফ ৪ হাজার কোটি টাকা
  • চালকের কষ্ট তিন গুণ তাই গাড়ি ভাড়া দ্বিগুণ
  • রাঙামাটির ৭ সড়কই ভালো
  • দরবেশ হাট ডিসি সড়কে শত শত গর্ত
  • ৩০ সড়কে যানবাহন চলাচলই কঠিন
  • সীমান্ত বাণিজ্যে নতুন আশা ‘প্রশস্ত’ বিলোনিয়া সড়ক
  • ছোট সড়কে বড় যানবাহন দুর্ভোগ চরমে
  • হাজারো মানুষের দুর্ভোগ দুই কিমি কাঁচা সড়কে
  • রূপগঞ্জে নিরাপদ সড়কের দাবিতে সেচ্ছাসেবীদের মানববন্ধন