Samakal:
2025-11-03@05:20:37 GMT

৩০ সড়কে যানবাহন চলাচলই কঠিন

Published: 5th, July 2025 GMT

৩০ সড়কে যানবাহন চলাচলই কঠিন

নির্মাণের মাত্র দুই মাসের মাথায় সাগরের ঢেউয়ের আঘাতে বিধ্বস্ত হয়েছে সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া ফেরিঘাট সংযোগ সড়কের একাংশ। সড়কটি এখন যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী। শুধু এটি নয়, উপজেলার নতুন-পুরোনো প্রায় ৩০টি সড়ক এখন যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী। এসব সড়কের দ্রুত সংস্কার না হলে মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে।
ভাটিয়ারী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আনোয়ার বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের কয়েকটি সড়ক যানবাহন ও জনচলাচলের অনুপযোগী হয়েছে। সেগুলো সংস্কারের জন্য দায়িত্বে থাকা সরকারি কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।’
উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা  তাওহিদুল হক চৌধুরী বলেন, ‘পৌরসভার নামারবাজার মহাসড়কের আন্ডারপাস সড়টি অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। জমে থাকা পানির কারণে সড়কে চলাচলে কষ্ট পাচ্ছেন মানুষ।’
উপজেলার যেসব সড়ক খারাপ সেগুলো হলো–মীরের হাট দক্ষিণের সড়ক, মহালংকা সড়ক, ছোট দারোগারহাট রোড় পশ্চিমে ভান্ডারী সড়ক, মীরারহাট হামিদুল্লাহ সড়ক, জাফর নগর স্কুল সড়ক, ছলিমপুর আদুল্লাঘাটা সড়ক, ভাটিয়ারী তুলাতলী-ইমামনগর সংযোগ সড়ক, মির্জানগর ছোঁয়াখালি ঘাটগর সড়ক, কদমরসুল শিপইয়ার্ড সড়ক, সোনাইছড়ি কেশবপুর সফিউল্লাহ নিজামী বাড়ি সড়ক, রাবিয়া বানু শাখা সড়ক। সৈয়দপুর ও বারৈয়ারঢালা ইউনিয়নের কমর আলী কমরদহ সড়ক ভুঁইয়া হাট টু বেঁড়িবাধ, বাদল গাজী সড়ক, সিরাজ সড়ক পূর্ব বাগখালী, বুড়া ইস্কুল সড়ক, পূর্ব বাগখালী সড়ক, মহানগর সৈয়দ জসিম উদ্দিন সড়ক, শাহ মোহাম্মদ ভূঁইয়া সড়ক, কদর ভূঁইয়া সড়ক, দক্ষিণ বগাচতল সি রোড, দক্ষিণ বগাচতল সোনা মিয়া ভূঁইয়া সড়ক, তাকিয়াপাড়া সড়কের অবস্থাও বেহাল।
ভাটিয়ারী ইমামনগরের বাসিন্দা, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘কয়েকশ বছরের পুরোনো মির্জানগর ছোঁয়াখালি ঘাট সড়কটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সঙ্গে সংযুক্ত। এই সড়কের প্রায় এক কিলোমিটারর অংশ চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।’ 
সরেজমিন দেখা যায়, নবনির্মিত বাঁশবাড়িয়া ফেরিঘাট সড়কে সাগরের বড় বড় ঢেউ এসে আছড়ে পড়ছে। ঢেউয়ের ধাক্কায় ৭০০ মিটার সড়কের ১০০ মিটার সাগরে বিলীন হয়ে গেছে। কিছু অংশে ইট ও  ব্লক সরে গেছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) জানিয়েছে, সড়কের উপরিতল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেটি সংস্কার করা হয়েছে। 
গত ২৪ মার্চ সরকারের পাঁচজন উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার দুই বিশেষ সহকারীকে সঙ্গে নিয়ে  বাঁশবাড়িয়া-গুপ্তছড়া ফেরিঘাটের উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.

) এম সাখাওয়াত হোসেন। এর আগে সড়কটি নির্মাণ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। উদ্বোধনের দুই মাসের মাথায় সড়কটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বিআইডব্লিউটিএর উপপরিচালক মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘প্রবল জোয়ারে সংযোগ সড়কটির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সেটি এখন গাড়ি চলাচলে উপযোগী করা হয়েছে। সড়কের উপরিতলের ইট সরে গিয়ে কিছু অংশের মাটি সরে গেছে।’
সড়ক ও জনপথ বিভাগের চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোসলেম উদ্দিন বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক পরিদর্শন করেছি। বর্ষায় প্রবল ঢেউ থেকে কিভাবে সড়কটি রক্ষা করা যায়, সে পরিকল্পনা করা হচ্ছে।’

সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘উপজেলা ও পৌরসভার যেসব সড়ক সংষ্কারের অবস্থা খারাপ সেগুলো পযায়ক্রমে সংষ্কার করা হবে।’

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক উপজ ল সড়ক র হ সড়ক

এছাড়াও পড়ুন:

চলন্ত অবস্থায় বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করতে সক্ষম সড়ক চালু ফ্রান্সে

জ্বালানিসাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব হওয়ায় বর্তমানে বিশ্বব্যাপী বৈদ্যুতিক গাড়ির উৎপাদন ও ব্যবহার বাড়ছে। তবে এসব গাড়ি বাসা বা নির্দিষ্ট স্থানেই শুধু চার্জ করা যায়। ফলে দূরে ভ্রমণের সময় গাড়ির চার্জ শেষ হয়ে গেলে বিপদে পড়েন অনেকেই। এ সমস্যা সমাধানে তারের সংযোগ ছাড়াই বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করতে সক্ষম ১ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘ওয়্যারলেস চার্জিং সড়ক’ চালু করেছে ফ্রান্স। প্যারিসের উপকণ্ঠে চালু হওয়া সড়কটিতে চলাচলের সময় বিভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিক গাড়ি, বাস ও ভারী ট্রাকের ব্যাটারি স্বয়ংক্রিয়ভাবে চার্জ হয়ে যাবে।

বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করার জন্য সড়কটিতে নিরবচ্ছিন্নভাবে ২০০ কিলোওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। প্রয়োজনে সেটি ৩০০ কিলোওয়াট পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যা টেসলার ভি থ্রি সুপারচার্জারের মতো বিশ্বের দ্রুততম চার্জারগুলোর সমান শক্তি সরবরাহ করতে সক্ষম। এই সড়কের নিচে স্থাপন করা হয়েছে অসংখ্য তামার কুণ্ডলী। এসব কুণ্ডলী চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করে, যা বিশেষ রিসিভারযুক্ত বৈদ্যুতিক গাড়িতে শক্তি স্থানান্তর করে। পদ্ধতিটি অনেকটা ওয়্যারলেস চার্জিং প্রযুক্তির মতো, যেখানে পাওয়ার ব্যাংক বা চার্জিং প্যাডে মোবাইল ফোন রেখে চার্জ নেওয়া হয়। চৌম্বক ক্ষেত্রের মাধ্যমে বিদ্যুৎ স্থানান্তর হওয়ায় ভারী বৃষ্টি, বরফ বা তুষারপাতেও চার্জিং প্রক্রিয়ায় কোনো ব্যাঘাত ঘটে না। দ্রুত চার্জিং সুবিধার ফলে গাড়ি ও ট্রাক এখন দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে পারবে, মাঝপথে চার্জ নিতে থামার প্রয়োজন হবে না। ফলে গাড়িতে বড় ও ভারী ব্যাটারি বহনের প্রয়োজনীয়তা অনেক কমে যাবে।

এরেনা ইভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই স্বয়ংক্রিয় চার্জিং সড়কে মাত্র কয়েক মিনিট চললেই বৈদ্যুতিক গাড়ির রেঞ্জ বা চলার সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ে। ফলে বৈদ্যুতিক গাড়ির দীর্ঘ যাত্রায় চার্জ ফুরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা সমাধানে প্রযুক্তিটি নতুন সম্ভাবনা দেখাচ্ছে। প্রযুক্তিটি যদি ব্যাপকভাবে চালু করা যায়, তবে তুলনামূলকভাবে হালকা, সাশ্রয়ী এবং কম ব্যাটারিসমৃদ্ধ বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি করা সম্ভব হবে। এতে গাড়ির উৎপাদন খরচও কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ইলেকট্রিওনের তৈরি সড়কটির নকশাতেও রয়েছে বাড়তি সুবিধা। বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করার প্রযুক্তি রাস্তার ভেতরের অংশে থাকায় ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি কম। ফ্রান্সের পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০৩৫ সালের মধ্যে দেশজুড়ে প্রায় ৯ হাজার কিলোমিটার ওয়্যারলেস চার্জিং সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে, যাতে বৈদ্যুতিক যানবাহন চলাচল আরও সহজ, কার্যকর ও পরিবেশবান্ধব হয়ে ওঠে।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চলন্ত অবস্থায় বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করতে সক্ষম সড়ক চালু ফ্রান্সে