চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৪৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

গতকাল সোমবার দুপুর ২টা থেকে মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রুজুকৃত মামলার আসামিসহ সন্ত্রাসী কার্যকলাপে লিপ্ত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করতে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে। চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন থাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দায়েরকৃত মামলার আসামিসহ একাধিক মামলার আসামি রয়েছে। 

আরো পড়ুন:

ফেনীতে যুবলীগ নেতাকে ধরে পুলিশে দিল ছাত্ররা 

কর্ণফুলী উপজেলা যুবলীগের ২ নেতা গ্রেপ্তার

ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য বল গ আওয় ম ল গ গ র প ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

সড়ক নষ্টের কারণ অনুন্নত ড্রেনেজ ও নিম্নমানের কাজ

সমকাল: নির্মাণ বা সংস্কারের এক বছরের মধ্যে চট্টগ্রামের সড়কগুলো কেন ভেঙে যায়?
ড. আসিফুল হক: এর পেছনে বড় কারণগুলো হলো, অনুন্নত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, সড়ক নির্মাণে ডিজাইন ফল্ট, নির্ধারিত গ্রেডের বিটুমিন ব্যবহার না করা, নিম্নমানের নির্মাণকাজ ও যথাযথভাবে তদারকি না করা। এক কথায় যেসব পরিবেশের কারণে সড়ক নষ্ট হয় তার সবকিছু চট্টগ্রামে বিদ্যমান। বিটুমিনের সবচেয়ে বড় শত্রু পানি। অধিকাংশ সড়ক বিটুমিনের। বর্ষায় চট্টগ্রামের সড়কগুলো পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে যায়। পরিকল্পিত পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থাও নেই। অল্প বৃষ্টিতেই সড়কের ওপর দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ে। জলাবদ্ধতার কারণে সড়কে কয়েকদিন পানি জমে থাকে। ফলে দ্রুত সড়কগুলো বেহাল হয়ে পড়ে। এছাড়া সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের কাজ করা হয়। যার কারণে সড়ক দ্রুত ভেঙে যায়। যথাযথ মান বজায় রেখে সড়ক নির্মাণ করা হলে ৫-১০ বছরেও সড়ক ভাঙার কথা নয়। সড়কে যখন কোনো গর্ত হয় তখন তাৎক্ষণিক সংস্কার করা হয় না। ফলে এটি বড়
 হয়ে ক্রমান্বয়ে যানচলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। অথচ নিয়মিত সংস্কারের জন্য সিটি করপোরেশনের নিজস্ব অ্যাসফল্ট প্ল্যান রয়েছে। সড়ক ভাঙ্গার সঙ্গে সঙ্গে সংস্কার করা হলে খরচও কম হয়। সড়কও ভালো থাকে।
সমকাল: টেকসই সড়ক নির্মাণে কি উদ্যোগ নিতে পারে সিটি করপোরেশন?
ড. আসিফুল হক: সড়ককে টেকসই করতে চট্টগ্রামের পরিবেশ অনুযায়ী পরিকল্পিতভাবে সড়ক ডিজাইন করতে হবে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে। সড়ক নির্মাণে যথাযথ মান বজায় রাখতে হবে। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রা বেড়েছে। তীব্র গরমে সড়কের বিটুমিন গলে যায়। এ জন্য সঠিক মানের বিটুমিন ব্যবহার করতে হবে। বর্তমানে  ৮০-১০০ গ্রেডের বিটুমিন ব্যবহার করা হয়। এখন সেটা ৬০-৮০ গ্রেডের বিটুমিন ব্যবহার করতে হবে। যেটি অধিক তাপ সহনশীল। 
সমকাল: টেকসই সড়ক নির্মাণে বিকল্প আধুনিক কোন পদ্ধতি রয়েছে কি না?
ড. আসিফুল হক: বিকল্প পদ্ধতিও সড়ক নির্মাণ করা যেতে পারে। রিজিড পেভমেন্ট (কংক্রিটের ঢালাই) পদ্ধতি প্রয়োগ করতে পারে। সড়কের ইন্টার সেকশনগুলোতে সবসময় সংস্কার করা যায় না। ইন্টার সেকশনগুলোতে এ পদ্ধতি প্রয়োগ করা যেতে পারে। সড়কের এক লেইন রিজিড পেভমেন্ট করা হলে বর্ষায় ওই এক লেইন দিয়ে যানচলাচল করা নিশ্চিত করা গেলে সড়ক কম ভাঙ্গবে। রিজিড পেভমেন্ট পানিতে ডুবলেও ভাঙ্গে না। এছাড়া সড়ক নির্মাণে পলিমারাইজড বিটুমিন ব্যবহার করা যেতে পারে। এটা ব্যয়বহুল। তবে পরীক্ষামূলকভাবে কোন একটি সড়কে প্রয়োগ করা যেতে পারে। এটি সফল হলে নগরের সবগুলো সড়কে এ পদ্ধতি বাস্তবায়ন করতে পারে সিটি করপোরেশন। 
সমকাল: সড়ক টেকসই করতে কাজের মান কতটা গুরুত্বপূর্ণ
ড. আসিফুল হক: কাজের মান বজায় না রাখলে যেকোন পদ্ধতিতে তৈরি সড়ক ভেঙ্গে যাবে। তথাকথিত মেরামত করে সড়ক ঠিক রাখা যাবে না। কাজের মানে আপোষ না করে তদারকি নিশ্চিত করা হলে সড়ক হবে দীর্ঘস্থায়ী ও মজবুত।

     

সম্পর্কিত নিবন্ধ