বুধবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দেবে ডিআরইউ
Published: 11th, February 2025 GMT
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার বিচার দাবিতে আগামীকাল বুধবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দেবে ঢাকা ভিত্তিক রিপোর্টারদের সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ডিআরইউয়ের সামনে সাগর-রুনি হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেন সংগঠনটির সভাপতি সভাপতি আবু সালেহ আকন।
তিনি বলেন, এখানে আমরা যারা আছি সবাই সাগর-রুনি হত্যার বিচার চাই। আগামী নতুন কমিটিতে যারা আসবেন তারাও আশা করি এই হত্যার বিচার চাইবেন। যারা আমাদের আন্দোলন সংগ্রামকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করতে চেয়েছেন, পকেটে টাকা ভরেছেন, সরকারের টাকায় বিদেশে গেছেন, আলিশানভাবে থেকেছেন, ইনশাল্লাহ তাদেরও বিচার হবে।
আবু সালেহ আকন বলেন, আজকের সমাবেশ থেকে সংগ্রাম পরিষদ গঠনের কথা এসেছে। আমরা জেনেছি আগামী ২ মার্চ এই হত্যার প্রতিবেদন দাখিলের কথা রয়েছে। আমরা ২ মার্চ পর্যন্ত দেখব। যদি ২ মার্চ এই হত্যার প্রতিবেদন দাখিল করা না হয়, তাহলে আমরা সংগ্রাম কমিটি গঠন করে রাস্তায় নামব এবং জোরালোভাবে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ব। এছাড়া এই হত্যার বিচার দাবিতে আগামীকাল বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হবে।
ডিআরইউ সভাপতি বলেন, গত ১৩ বছরেও এই হত্যার বিচার হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকার যে ফ্যাসিস্ট ছিল তার প্রমাণ হচ্ছে, এই হত্যার বিচারকে তারা ভিন্নখাতে প্রভাবিত করেছে। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে প্রভাবশালীরা জড়িত ছিল। তার প্রমাণ হচ্ছে, আমরা এখনো খুনিদের নাম জানতে পারি নাই। সেই সময় শেষ হয়েছে, এখন আওয়ামী লীগ নেই। এখন বিপ্লবী সরকার ক্ষমতায়। আমরা তাদের কাছে আশা করছি, এই হত্যার বিচার পাব। যদি না পাই আপনারা মনে রাখবেন, কেয়ামত পর্যন্ত এই হত্যার বিচার দাবি করে যাব আমরা।
সমাবেশে এর আগে সিনিয়র সাংবাদিকরা দাবি জানিয়ে বলেন, আমরা যারা মাঠের সাংবাদিক হিসেবে তখন সাগর-রুনির বাসায় গিয়েছি, তারা কেউ হত্যার বিচারের দাবি থেকে সরে দাঁড়াব না। আমরা আগামী বছরের এই দিনে বিচারের দাবি আর করতে চাই না। অতি দ্রুত আমাদের এই দাবি বাস্তবায়ন করুন। আমরা আরও দাবি করছি, সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের দিনটি সাংবাদিক সুরক্ষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হোক।
প্রতিবাদ সমাবেশ বক্তব্য রাখেন ডিআরইউয়ের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য কুদরত-ই-খুদা, রাশেদ আহমেদ, স্থায়ী সদস্য গাজী আনোয়ার, ডিইউজে প্রচার সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বাবুল তালুকদার প্রমুখ।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় নৃশংসভাবে খুন হন এ সাংবাদিক দম্পতি। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর ১৩ বছর পেরিয়ে গেলেও কোনো সুরাহা হয়নি। কবে নাগাদ মামলার তদন্ত শেষ হবে বলতে পারছেন না তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। থানাপুলিশ-ডিবি-র্যাবের হাত ঘুরে বর্তমানে মামলার তদন্তভার পেয়েছে পিবিআই। সবমিলিয়ে চার বার বদল হয়েছে তদন্ত সংস্থা। কিন্তু দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি।
ঢাকা/আসাদ/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স বর ষ ট র তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
গুচ্ছে প্রাথমিক ভর্তি কার্যক্রম শুরু ২২ জুন
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে দেশের ১৯টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের আগামী ২২ জুন প্রাথমিক ভর্তি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এ কার্যক্রম আগামী ২৮ জুন পর্যন্ত চলবে।
গত ১২ জুন ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের পছন্দক্রমসহ আবেদনের সময়সীমা শেষ হয়েছে।
সোমবার (১৬ জুন) সকালে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের সঙ্গে আয়োজিত ভার্চুয়াল মিটিং শেষে বিষয়টি নিশ্চিত করেন গুচ্ছ ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক এবং মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ।
আরো পড়ুন:
রাবির ‘এ’ ইউনিটের বিষয়ভিত্তিক মেধাতালিকা প্রকাশ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশংসা কুড়িয়েছে রাজশাহী কলেজ
গুচ্ছের আহ্বায়ক বলেন, “গুচ্ছের প্রাথমিক ভর্তি (অ-ব্যবহারিক বিষয়) শুরু হবে ২২ জুন এবং চলবে ২৮ জুন পর্যন্ত। অপরদিকে বিশেষায়িত বিষয়গুলোর (চারুকলা, সংগীত, নাট্যকলা ও পরিবেশনা বিদ্যা, চলচ্চিত্র ও মিডিয়া এবং শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়াবিজ্ঞান) ব্যবহারিক পরীক্ষা ও কোটার ভেরিফিকেশন শুরু ২১ জুন থেকে ২৮ জুনের মধ্যে।”
৩০ জুনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশিত হতে পারে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, “চূড়ান্ত ভর্তি সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে ২৮ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই এর মধ্যে। এছাড়া ক্লাস শুরু করার সম্ভাব্য দিন নির্ধারিত হয়েছে আগস্টের প্রথম সপ্তাহে।”
তিনি জানান, এবার শিক্ষার্থীরা নিকটস্থ যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাথমিক ভর্তি নিশ্চয়ন করতে পারবেন। পরবর্তীতে কাগজ উঠিয়ে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি হবেন যেখানে জমা দিতে হবে। এতে ভোগান্তি কমবে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের।
গুচ্ছ পদ্ধতির এই ভর্তি কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী ১৯ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়,জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়,রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, নেত্রকোণা বিশ্ববিদ্যালয়, জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল, ভর্তি সংক্রান্ত নোটিশ এবং অন্যান্য নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজ নিজ ওয়েবসাইটে ও গুচ্ছের অফিশিয়াল পোর্টালে প্রকাশ করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, ভর্তি কার্যক্রমের প্রতিটি ধাপ যাতে স্বচ্ছ, সুষ্ঠু ও জটিলতা-মুক্তভাবে সম্পন্ন হয়, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই গ্রহণ করা হয়েছে।
ঢাকা/আবিদ/মেহেদী