জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থান চলাকালে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নিপীড়নের ঘটনায় জাতিসংঘের তথ্য অনুসন্ধানী মিশনের প্রতিবেদন আগামীকাল বুধবার সদস্য দেশগুলোকে জানাবেন বিশ্ব সংস্থাটির মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক।

জাতিসংঘের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট অনুসারে, এই অনুষ্ঠানটি জেনেভা থেকে ইউটিউব চ্যানেলে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬ টায় সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।

বাংলাদেশে জবাবদিহি, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার সংস্কারের লক্ষ্যে তথ্য অনুসন্ধান ও সুপারিশ নিয়ে দলটি সদস্য রাষ্ট্র ও নাগরিক সমাজের সঙ্গে আলোচনা করবে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকলীন সরকার ও বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন।

ভলকার তুর্ক আশা প্রকাশ করেন, তাদের স্বাধীন তথ্য অনুসন্ধান প্রতিবেদন বাংলাদেশের প্রকৃত ও বাস্তব চিত্র তুলে ধরায় এটি জবাবদিহি, ক্ষতিপূরণ এবং এ অবস্থা থেকে উত্তরণ ও সংস্কারকে সমর্থন করবে।

জেনেভায় মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫৮তম অধিবেশনে একটি বিশ্বব্যাপী আপডেট উপস্থাপনকালে তিনি বলেন, ‘ফৌজদারি মামলায় যথাযথ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা ও সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক সহিংসতার তদন্ত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

তুর্ক বলেন, গত বছর বাংলাদেশে সহিংসতায় এক ব্যাপক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়। তৎকালীন সরকার ছাত্র আন্দোলনকে ‘নৃশংসভাবে দমনে’ মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ ল ই গণহত য

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিগগিরই দায়িত্ব ছাড়তে পারেন

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ শিগগিরই দায়িত্ব ছাড়তে পারেন। বিষয়টি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল দুটি সূত্র সিএনএনকে এ তথ্য জানিয়েছে। এটি হবে জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতা গ্রহণ করার পর তাঁর প্রশাসনে প্রথম বড় ধরনের পরিবর্তন।

সূত্র জানায়, সপ্তাহের শুরুতে ওয়াল্টজকে স্পষ্ট জানানো হয় যে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের নেতৃত্বে তাঁর সময় শেষ হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা উপ-উপদেষ্টা অ্যালেক্স ওয়াং এবং আরও কয়েকজন উপদেষ্টা সম্ভাব্য বিদায়ের তালিকায় আছেন, যদিও তাঁদের সময়সীমা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ বর্তমান জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ওয়াল্টজের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন। যদিও এখনো এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি।

ওয়াল্টজের পদ শঙ্কায় পড়ে যায় তখন, যখন তিনি একটি নিরাপত্তাসংক্রান্ত বার্তার গ্রুপ চ্যাটে ভুলক্রমে একজন সাংবাদিককে যুক্ত করেন। যদিও তখন প্রেসিডেন্ট তাঁকে বরখাস্ত করেননি। তবে সেই ঘটনার পর থেকে ওয়াল্টজ তাঁর প্রভাব হারাতে থাকেন।

বর্তমানে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদের ১০০ দিন পার করেছেন এবং তিনি এখন আর ‘বিশৃঙ্খলার’ ছাপ নিয়ে খুব বেশি উদ্বিগ্ন নন বলে জানা গেছে।

এদিকে ডেমোক্র্যাট সিনেটর মার্ক কেলি মন্তব্য করেছেন, ট্রাম্প প্রশাসন ভুল ব্যক্তিকে (ওয়াল্টজ) দায়ী করছে। তিনি মনে করেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল; কারণ, তিনিই ইয়েমেন হামলার পরিকল্পনা একটি গ্রুপ চ্যাটে শেয়ার করেছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ