ডিউক বল বিতর্ক: ক্রিকেটারদের উল্টো ছিঁচকাঁদুনে বললেন বল কারখানার মালিক
Published: 12th, July 2025 GMT
বল নিয়ে বিতর্ক পিছুই ছাড়ছে না ইংল্যান্ড-ভারত টেস্ট সিরিজে। সর্বশেষ আজ ভারতের ইনিংসের ৫৬তম ওভার শেষে আবার বল বদলাতে বাধ্য হয়েছেন আম্পায়াররা। দিনের প্রথম পানি পান বিরতির পর আম্পায়াররা যখন বল বাছাই করছিলেন তখন টেলিভিশনে একরকম চেচিয়েও ওঠেন ধারাভাষ্যকার রবি শাস্ত্রী। ভারতের সাবেক কোচ ও অধিনায়ক বলে ওঠেন, ‘এই যে, আবার। আরেকটি বল পাল্টানো হচ্ছে! আমি এখন এটাকে হাস্যকরই বলব, বল বদলাতে হলে পানি পান বিরতির শুরুতে করলেই তো হতো।’
শাস্ত্রী তো আম্পায়ারদের সমালোচনা করলেন, তবে খেলোয়াড়েরা বিরক্ত ডিউক বল নিয়ে। বল দ্রুত নরম হয়ে যাচ্ছে, ছিঁড়ে যাচ্ছে সুতো। সব মিলিয়েই সিরিজের শুরু থেকেই ডিউক বল নিয়ে কথা কম হচ্ছে না। বলের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে মন্তব্য করেছেন অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার, এমনকি ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক নাসের হুসেনও বলের আচরণে ‘অস্বাভাবিকতা’ দেখছেন।
আগের যুগে কেউ এত অভিযোগ করত না। আজকালকার খেলোয়াড়েরা ছিঁচকাঁদুনে। মানুষকে বুঝতে হবে বল বানানোটা সহজ কাজ নয়। যদি সহজই হতো তবে শত শত বল তৈরির কারখানা থাকত।দিলীপ জাজোদিয়া, মালি, ডিউক বললর্ডস টেস্টে শুবমান গিলকে তো দেখা গেছে আম্পায়ারদের সঙ্গে রীতিমতো তর্কে জড়াতে। একবার তো ইনিংসের ১১ তম ওভারেই বল পাল্টাতে হয়েছে।
তবে এসব সমালোচনাকে মোটেও পাত্তা দিচ্ছেন না বল প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের মালিক দিলীপ জাজোদিয়া। উল্টো ক্রিকেটারদের মানসিকতার দিকেই আঙুল তুলে বলেছেন আজকালকার খেলোয়াড়েরা ছিঁচকাঁদুনে।
ডিউক বলটা দ্রুত নরম হয়ে যায়, আকৃতি দ্রুত বদলে যায়.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আম প য়
এছাড়াও পড়ুন:
তিউনেসিয়ায় প্রেসিডেন্টকে নিয়ে খবর না দেখায় কারাদণ্ড
টেলিভিশনে তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদকে নিয়ে সম্প্রচারিত একটি খবর দেখতে অস্বীকৃতি জানানোয় একজন তিউনিসীয় বন্দীকে বাড়তি আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দেশটির একটি মানবাধিকার সংস্থা এবং ওই বন্দীর আইনজীবী গত শুক্রবার এ কথা জানিয়েছেন।
আইনজীবী আদেল সাগাইর বলেন, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে প্রথমে দণ্ডবিধির ৬৭ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছিল। এই ধারা রাষ্ট্রপ্রধানের বিরুদ্ধে অপরাধের সঙ্গে সম্পর্কিত। পরে মামলাটির রাজনৈতিক দিকটি আড়াল করতে ওই ধারা পরিবর্তন করে জনসমক্ষে অশোভন আচরণের অভিযোগ আনা হয়।
তিউনিসিয়া লিগ ফর হিউম্যান রাইটসের গাফসা শহর শাখা জানায়, ওই বন্দী তাঁর কারাকক্ষের টেলিভিশনে প্রেসিডেন্টকে নিয়ে সম্প্রচারিত একটি সংবাদ দেখতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।
সাইদ ২০১৯ সালের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসেন। ২০২১ সালে একচেটিয়াভাবে দেশটির সার্বিক ক্ষমতা দখল করেন। এর পর থেকে ডিক্রি দিয়ে শাসন করেছেন।
গত বছরের অক্টোবরে উত্তর আফ্রিকার দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পান কাইস সাইদ। তবে নির্বাচনে ভোট পড়ার হার ছিল দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইতিহাসে সবচেয়ে কম।