নারীর প্রতি সহিংসতা নিয়মে পরিণত হয়েছে: মহিলা পরিষদ
Published: 6th, March 2025 GMT
নানা অজুহাতে নারীকে হেনস্তা করা এবং নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনা নিয়মে পরিণত হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। এসব ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং সামাজিকভাবে প্রতিবাদ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে তারা।
আজ বৃহস্পতিবার মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম এবং সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান। বিবৃতিতে বলা হয়, আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সহকারী বাইন্ডার মোস্তফা আসিফ কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রীকে পোশাক নিয়ে হেনস্তার ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে অভিযোগ ও শাহবাগ থানায় মামলা করেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সম্প্রতি লক্ষ করা যাচ্ছে, নানা অজুহাতে নারীকে হেনস্তা ও নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনা নিয়মে পরিণত হয়েছে। পাশাপাশি গণপরিসরে নারীর নিরাপত্তা ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে। এসব ঘটনা নারীর মর্যাদা, নিরাপত্তা, স্বাধীন চলাচল ও ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। যার মাধ্যমে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে ও স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শেষ হলো বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র যৌথ সামরিক মহড়া ‘টাইগার শার্ক’
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়া ‘টাইগার শার্ক’ সফলভাবে শেষ করেছে। আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও সহযোগিতা বৃদ্ধি, পারস্পরিক সমন্বয় এবং দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে পরিচালিত এই মহড়ার মাধ্যমে দুই পক্ষের প্রতিরক্ষা অংশীদারত্ব জোরদার হয়েছে।
শনিবার ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের দীর্ঘস্থায়ী অঙ্গীকারের প্রতিফলন টাইগার শার্ক মহড়া। এই মহড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কমান্ড এবং বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা একসঙ্গে চিকিৎসা প্রশিক্ষণ, টহল, লক্ষ্যভেদ অনুশীলন, সাঁতার, ডুবসাঁতার এবং ক্লোজ কোয়ার্টারস কমব্যাটসহ বিভিন্ন সমন্বিত প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশ নেন।
যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স (ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত) ট্রেসি জ্যাকবসন বলেন, ‘এই যৌথ সামরিক মহড়া নিরাপদ, শক্তিশালী ও আরও সমৃদ্ধ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতিকে পুনর্ব্যক্ত করে। এটি যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অংশীদারত্বেরও প্রতীক।’
কৌশলগত প্রশিক্ষণের পাশাপাশি টাইগার শার্কে অন্তর্ভুক্ত ছিল বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞদের বিনিময়, যৌথ পরিকল্পনা সেশন এবং কৃত্রিম অনুশীলন পরিবেশে প্রশিক্ষণ। এসব কার্যক্রম ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমন্বিত কৌশল গঠনে সহায়তা করা।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কমান্ড হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাচীনতম ও বৃহত্তম যুদ্ধ কমান্ড, যা ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরের অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কার্যক্রম তদারকি করে এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করে।