পাবনায় জেলা প্রশাসন আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে হট্টগোল হয়েছে। ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় শেখ মুজিবুর রহমান দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন’ বিএনপি নেতার এমন বক্তব্যের প্রতিবাদে ও ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ তুলে এ হট্টগোল করেন মুক্তিযোদ্ধারা। পরে দ্রুত অনুষ্ঠান শেষ করে জেলা প্রশাসন। মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বুধবার বিকেলে শহরের শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেনে, সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু হয় বেলা তিনটায়। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ফুল তুলে দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর পর আলোচনা পর্ব শুরু হয়। জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আইনজীবী মাসুদ খন্দকার তাঁর বক্তব্যের একপর্যায়ে ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় শেখ মুজিবুর রহমান দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন’ এমন কথা বলেন। এতে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি অংশ উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তাঁরা ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ তুলে হট্টগোল করতে থাকেন। দুই থেকে তিন মিনিট হট্টগোল চলতে থাকলে বিএনপি নেতা মাসুদ খন্দকার মঞ্চ থেকে নেমে যান। এরপর মুক্তিযোদ্ধারা শান্ত হন। পরে জেলা প্রশাসন বাধ্য হয়ে দ্রুত অনুষ্ঠান শেষ করে দেয়।

এ ব্যাপারে মাসুদ খন্দকার বলেন, ‘সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যাঁরা হট্টগোল করেছেন, তাঁরা স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দোসর। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে তাঁরা রাজপথে ছিলেন। সুন্দর একটি অনুষ্ঠানকে নষ্ট করতেই তাঁরা এসেছিলেন। হট্টগোল করেছেন। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’

 

 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

রামগড়ে ভ্যাকসিন দেয়ার পর অর্ধশত গরু-ছাগলের মৃত্যু 

খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার লামকুপাড়া এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগাক্রান্ত গরু ও ছাগল মারা গেছে। গত ১৫ দিনে চারটি গরু ও প্রায় অর্ধশত ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করে মৃত পশুর ময়নাতদন্ত ও রোগাক্রান্ত পশুর নমুনা সংগ্রহ করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের চট্টগ্রাম থেকে আসা মেডিকেল টিমের সদস্যরা। তারা এলাকায় এসে খামারিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষে ৬ সদস্যের তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা ভেটেনারি কর্মকর্তা ডা. সাহব উদ্দিন।

আরো পড়ুন:

গোপালগঞ্জে মহাজনী সুদের চাপে শ্রমিকের মৃত্যু, দাবি পরিবারের

নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা 

স্থানীয়রা খামারিরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পশু চিকিৎসকের পরামর্শে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে। খামারিরা মনে করছেন, এ সব ভ্যাকসিনে সমস্যা ছিল অথবা একই সিরিঞ্জে সবগুলো পশুকে ভ্যাকসিন দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। 

ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর অতিরিক্ত জ্বর, চামড়ায় গুটি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে গরু ও ছাগল মারা যায়। কোনো চিকিৎসায় আর বাঁচানো যাচ্ছে না।

প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত পশু মাটিচাপা দেয়া এবং আক্রান্ত পশুকে অন্য পশু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।

ঢাকা/রূপায়ন/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ